কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
এক সময় এই এলাকার চাদুরিয়া ঘাটের পাশ দিয়ে নদী বইত। সেই নদীপথে মানুষ যাতায়াত করতেন। ব্যবসা-বাণিজ্যও চলত। মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতেন। চাষের জমিতে ব্যবহার হতো নদীর জল। মানুষ স্নান করতেন, প্রতিমা বিসর্জন দিতেন। এখন সে সব হয় না। এলাকা থেকে মূল নদী প্রায় ছ’কিলোমিটার দূরে সরে গিয়েছে। বর্তমানে কল্যাণী ব্লকের চাদুরিয়া দুই নম্বর পঞ্চায়েতের শিবতলা ঘাটের কাছে ভাগীরথী নদী থেকে একটি ছোট খাল দিয়ে জল চাকদহ ব্লকের চাদুরিয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘাটে আসে। তবে শুধুমাত্র জোয়ারের সময় নদীর জল খাল দিয়ে এসে পৌঁছয় এই ঘাটে। জোয়ার নামলে জল সরে যায়। ফলে চাষের কাজে পর্যাপ্ত জল খাল থেকে মেলে না। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন চালিয়ে জমিতে জল দিতে হয় কৃষকদের। এর জন্য মোটা টাকা খরচ হয়। সেই সমস্যা সমাধানে ঘাটের পাশেই বিশাল জলাধার তৈরি হচ্ছে। যেটি খালের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে জোয়ারের জল ঢুকবে জলাধারে। পরে জোয়ার নেমে গেলে জলাধারেই থেকে যাবে জল। মানুষ তা ব্যবহার করবে।
পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা খাটুয়া রায় বলেন, ‘জোয়ারের সময় খাল দিয়ে যে জল নদী থেকে আসে সেই জল সংরক্ষণের জন্য জলাধার হচ্ছে। সেই জল চাষে ব্যবহার হবে। প্রতিমা নিরঞ্জনও হবে। মৎস্যজীবীদেরও উপকার হবে। নিজস্ব চিত্র