কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরস্মিতা সল্টলেক কেন্দ্রীয় স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা প্রদীপ মজুমদার পোর্ট ট্রাস্টের কর্মী। বছর দুয়েক আগে তারা নিউ বারাকপুরের এস এন ব্যানার্জি রোডের আবাসনের তিন তলায় ফ্ল্যাট কিনে থাকতে শুরু করেন। আগে তারা সল্টলেক সেক্টর-১ এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ স্থানীয়রা আচমকাই উপর থেকে নীচে ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান। কৌতূহলের বশে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখেন এস এন ব্যানার্জি রোডের উপর রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে রয়েছে কিশোরী। ওই সময় কিশোরীর বাবা ও দাদা বাড়িতে ছিলেন না। তার মা রান্না ঘরে ছিলেন। স্থানীয়দের চিৎকারে তিনি জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন, মেয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত তাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষাণা করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির ছোট মেয়ে খুব আদরে মানুষ হয়েছিল। সামান্য অন্ধকারেও ভয় পেত। তবে যে কোনও বিষয়ে জেদ একটু বেশি ছিল। ইদানীং পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় মা বকাঝকা করতেন। শনিবার রাতেও তাকে পড়াশুনা নিয়ে সচেতন হতে বলেছিলেন। তারপর অন্যান্য দিনের মতো সকলে একইসঙ্গে বসে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোতে গিয়েছিল। এদিন সকাল থেকে উঠে পরস্মিতা জানিয়েছিল তার পেটে ব্যাথা হচ্ছে। তাই স্কুল যাবে না। বাড়ির কেউ স্কুল যেতে জোরাজুরিও করেনি। বাবা অফিসে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দাদাও কলেজ চলে গিয়েছিল। বাড়িতে পরস্মিতা ও তার মা ছিল। মা রান্না ঘরে ব্যস্ত হতেই সে ছাদে চলে গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই ছাত্রী পাঁচতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। মৃত ছাত্রীর দাদা জিৎ মজুমদার বলেন, বাড়িতে তেমন কিছুই ঘটেনি। পড়াশোনার জন্য সাধারণভাবে মা কিছুটা বকাবকি করেছিলেন। তার জন্য এমনটা হয়েছে বলে মনে হয় না। এ দিন সকাল থেকে বোন বলছিল পেট ব্যথা করছে। তাই স্কুলও যায়নি। ও খুব ভীতু প্রকৃতির। কীভাবে এই ঘটনা ঘটাল, আমরা বুঝতে পারছি না। ফাইল চিত্র