কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
পায়েলের বাড়ি বেড়াচাঁপার দেবালয় ঘোষপাড়ায়। চার অক্টোবর ট্যাব কেনার জন্য সরকারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা পায় সে। ১৬ তারিখ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মোবাইলের দোকানে যায়। মোবাইল কেনে ১০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। ৫০০ টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে দোকানদারকে দেয়। কেনার পর বিক্রেতা একটি গিফট ভাউচার দেয় পায়েলকে। দিয়ে বলেন, ‘২৪ নভেম্বর একটি লটারি হবে। আকর্ষণীয় সব পুরস্কার রয়েছে। ভাউচার যত্ন করে রেখে দিও।’ পায়েল তার বাবা সুমন ঘোষকে গিফট ভাউচারটি দিয়ে রেখে দিতে বলে। ২৪ নভেম্বর একটি ফোন আসে। বলা হয়, ‘বেড়াচাঁপা ফুটবল মাঠে আসুন। সেখানে লটারি হচ্ছে।’ পায়েল যায়।
বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হচ্ছিল মাইকে। হঠাৎ পায়েলের কানে যায়, ‘প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছেন পায়েল ঘোষ।’ ‘একেবারে প্রথম পুরস্কার?’ বিস্মিত হয়ে বলে বছর সতেরোর এই কিশোরী। কিছুক্ষণ পর সে জানতে পারে, একটি ব্যাটারিচালিত স্কুটার জিতে নিয়েছে সে। এই বয়সে স্কুটার সবারই পছন্দ। অভাবিত আনন্দে চোখে জল চলে আসে পায়েলের। এর আগে সবুজসাথী সাইকেল পেয়েছিল সরকারের কাছ থেকে। এবার সরকারেরই দেওয়া টাকায় প্রথমে হল মোবাইল। তারপর আস্ত একটি স্কুটার! প্রায় নাচতে নাচতে বাড়ি ফেরে সে।
পায়েল বলেছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী ট্যাব কেনার টাকা দিয়েছেন বলেই আজ আমাদের বাড়িতে একটা স্কুটার ঢুকল। ভাবতেই কেমন লাগছে! মুখ্যমন্ত্রীর সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল পেয়েছি। তারপর ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা পেলাম। এবার স্কুটার। ওঁকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। উনি আমার ভাগ্যলক্ষ্মী। প্রণাম জানাই।’ ছাত্রীটি জানিয়েছে, তার লাইসেন্স পেতে এক বছর সময় লাগবে। ততদিন বাড়ির কেউ চালাবেন। তাকে স্কুটারে নিয়ে পৌঁছে দেবে স্কুলে। অল্প সময়ে স্কুল ও টিউশনিতে যেতে পারবে এখন থেকে। এর ফলে অনেক সময় বাঁচবে। পড়াশোনার সময় বেশি মিলবে। পায়েলের বাবা সুমন ঘোষ বলেন, ‘দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ সামাল দিতে দিতে নাজেহাল অবস্থা আমার। মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানগুলি না পেলে চালাতেই পারতাম না। আমাদের বাড়িতে এই প্রথম স্কুটার এল। ভাবতেই পারছি না। বাইক বা স্কুটার কেনার আশা কোনওদিনই করিনি। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হল। তিনি আমাদের সংসারের ভাগ্যলক্ষ্মী।’