কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
মহানগরী কলকাতায় এই ধরনের ক্যামেরা চালু রয়েছে। ওভারস্পিড এবং সিগন্যাল ভাঙলেই যাঁর নামে গাড়ি বা বাইকের রেজিস্ট্রেশন, তাঁর মোবাইল নম্বরে চলে যায় জরিমানার মেসেজ। অনলাইনে সেই জরিমানা দিতে হয়। কলকাতায় থাকলেও, নিউটাউনে এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছিল না। গত আগস্ট মাস থেকে তা শুরু হয়েছে। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনের ইকোপার্ক চত্বর, ক্রোমা এলাকা, সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির সামনে, আলিয়া ইউনিভার্সিটি সহ ছ’টি অঞ্চলে ওই ধরনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ক্যামেরা রয়েছে রাস্তার দু’দিকের লেনেই। অর্থাৎ, ছ’টি পয়েন্টে ১২টি ক্যামেরা বসেছে। পরে এই সংখ্যাটি আরও বাড়ানো হবে।
ক্যামেরা চালুর প্রথম মাস অর্থাৎ আগস্ট মাসে ৪১ হাজার গাড়ি ও বাইকের বিরুদ্ধে কেস হয়েছে। অনলাইনে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। মোবাইলে একের পর এক মেসেজ আসতেই নিউটাউনের বাসিন্দারা অবশ্য সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। কাগজ কলমে তার প্রমাণও মিলেছে। কারণ, পরের মাসেই অর্থাৎ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪ হাজার কেস হয়েছে। জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। অক্টোবরে অবশ্য কিছুটা বেড়েছে। এই মাসে সাড়ে ৮ হাজার কেস হয়েছে। জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। পুলিসের দাবি, নিউটাউনের রাস্তা চওড়া। যানজট নেই। ফলে, বেশিরভাগ গাড়ি চালক ও বাইকার জোরে চলত। সকালের দিকে এবং রাতে সেই গতি আরও বাড়ত। কারণ, তখন রাস্তায় পুলিস কম থাকে। তবে, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালুর পর জরিমানার ভয়ে গাড়ির সেই বেপরোয়া গতি কমেছে। ফলে, এই তিনমাসে দুর্ঘটনাও কমেছে। আগেই প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত। মৃত্যুও ঘটত, এখন তা কমে গিয়েছে।