শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
২০১৪ সাল থেকেই কর্মসংস্থান নিয়ে বিজেপির আকাশকুসুম প্রচার চলছে। নরেন্দ্র মোদি বারবার দাবি করেছিলেন, ক্ষমতায় এলেই প্রতি বছর ২ কোটি করে চাকরি হবে। ১০ বছর পরও অবশ্য সেই দাবির ধারেকাছে সরকারি পরিসংখ্যান পৌঁছতে পারেনি। চব্বিশের লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে থেকে শাসক দলের প্রচার শুরু হয়েছিল নতুন করে। বছরে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির। সেইসব অবশ্য থেমে গিয়েছে ভোট মিটতেই। তাহলে কি দেশের বেকারত্ব ঘুচেছে?
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন শূন্যপদের খতিয়ান জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) বলে আবেদন করেছিলেন জনৈক চন্দ্রশেখর গৌড়। গত ৮ অক্টোবর সেই জবাব দিয়েছে কেন্দ্র। ওই আরটিআইয়ের জবাবে ‘ডিপার্টমেন্ট অব এক্সপেনডিচার’ উল্লেখ করেছে ১০ লক্ষ শূন্যপদের। মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর মিলিয়ে মোট ৭৯টি ডিপার্টমেন্টের অনুমোদিত পদ এবং কর্মরতদের সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে ওই আরটিআই জবাবে। রেলে তিন লক্ষেরও বেশি, ডাক বিভাগে প্রায় এক লক্ষ, ডিফেন্সে দু’লক্ষেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে এহেন শূন্যপদের সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। নজর করার মতো ব্যাপার হল, আরটিআইয়ের জবাব গত ৮ অক্টোবর দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এর অর্থ একটিই। পরবর্তী প্রায় আড়াই বছরে মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় দপ্তরে শূন্যপদের পরিসংখ্যান ‘আপডেট’ই করেনি মোদি সরকার! তাহলে কি বাস্তবে এই শূন্যপদের সংখ্যা আরও অনেক গুণ বেশি?