শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
উদাহরণ দিয়ে মেট্রো ভবনের এক কর্তা বলেন, ‘ধরুন, কোনও রেকের আটটির মধ্যে চারটি কোচ যখন যতীন দাস পার্ক স্টেশনে ঢুকেছে, তখন ঘোষণা শোনা গেল, পরবর্তী স্টেশন কালীঘাট। পুজোয় লক্ষ লক্ষ যাত্রী এই বিভ্রান্তিকর ঘোষণার শিকার হয়েছেন। নির্দিষ্ট পুজো প্যান্ডেলের জন্য কোনও স্টেশনে নামতে গিয়ে তাঁরা হয়তো আগের বা পরের স্টেশনে নেমে পড়ছেন। ফের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন কাটতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।’ ওই মেট্রোকর্তা আরও জানান, গত কয়েকবছর ধরেই এই সমস্যা চলছে। সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু যাত্রীস্বার্থে তা সমাধানে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ হয়নি। আক্ষেপের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা মেট্রো ৪০ বছর পূরণ করছে। তার উদযাপনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে কর্তৃপক্ষ। অথচ নিত্যদিন যাত্রী দুর্ভোগের চিত্র অপরিবর্তিত থাকছে।’ মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যে ভুল ঘোষণার ফলে ভুক্তভোগী যাত্রীদের একাংশের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। সব মিলিয়ে স্টেশন মাস্টার থেকে মেট্রোর সাধারণ কর্মীরাও রীতিমতো ক্ষুব্ধ। কর্মীর অভাবে এবারের পুজোয় একাধিক স্টেশন মাস্টারকে হাতে মেশিন নিয়ে বাস কন্ডাক্টারদের মতো টিকিট কাটতে দেখা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেট্রো রেলওয়ে প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সমীর বেরা বলেন, ‘পুজোর ভিড়ে স্টেশন মাস্টার থেকে কর্মীরা কাউন্টারের বাইরে কিউআর কোড ব্যবহার করে টিকিট বেচেছেন। এই ঘটনা কলকাতা মেট্রোর কর্মচারীদের সম্ভ্রম ও ভাবমূর্তিতে সরাসরি আঘাত করেছে।’ এভাবে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে টিকিট বিক্রির টাকা চুরি কিংবা তছরূপ হলে দায় কে নেবে, প্রশ্ন তুলেছেন সমীরবাবু।