উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
বারুইপুর পুরসভায় ১৭টি ওয়ার্ড। এর মধ্যে ছ’টি ওয়ার্ডেই যাদবপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ পরাজিত হয়েছেন। এক, দুই, চার, ১৩, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, চার নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৬৮৫ ভোটে পরাজিত। এক ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কোনও নির্বাচনেই হারেনি, অথচ এই লোকসভা ভোটে তারা হেরেছে। ওই দু’টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতে তৃণমূল ৭১ ভোটে হেরেছে, অন্যটিতে ছয় ভোটে। দুই ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল যথাক্রমে সাত ও ২২ ভোটে হেরেছে। গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটেও এই ফলাফল হয়নি। বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘শহর এলাকায় ফল একেবারেই ভালো হয়নি। আমি খুব তাড়াতাড়ি মিটিংয়ে বসব কাউন্সিলার ও ওয়ার্ড সভাপতিদের সঙ্গে। জনসংযোগে খামতি থাকলে বরদাস্ত করা হবে না।’
অন্যদিকে এই ভোটে সবথেকে শোচনীয় ফল হয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায়। এখানকার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতেই পিছিয়ে তৃণমূল। সোনারপুর উত্তরের মধ্যে রয়েছে এক, পাঁচ, ২৮, ২৯, ৩৫ এবং সোনারপুর দক্ষিণের মধ্যে নয়, ১১, ১২, ১৫, ২৪ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পিছিয়ে তারা। তৃণমূলের দাবি, সব জায়গায় ব্যবধান বেশি হয়নি। তবে এই ফল প্রত্যাশিত ছিল না। স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলারদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই মানুষ ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। তাছাড়া যে সব ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল সেখানেও মার্জিন ৫০০ ভোটের মধ্যে। দল এ নিয়ে অন্তর্তদন্ত করেছে। তাতে উঠে এসেছে, বেশ কিছু ওয়ার্ডে একাধিক গোষ্ঠী তৈরি হওয়া, মানুষের কাছে না পৌঁছনো ইত্যাদি কারণেই এমন ফল হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট তথা সোনারপুর উত্তরের সাংগঠনিক নেতা নজরুল আলি মণ্ডল স্পষ্ট বলেন, ‘বছরভর আমাদের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম জনসংযোগ করেন। সেটা যদি বাকি জনপ্রতিনিধিরাও করতেন তাহলে এই ফল হতো না।’
অন্যদিকে রেকর্ড ব্যবধানে জয়লাভ করা ডায়মন্ডহারবার লোকসভা আসনের ডায়মন্ডহারবার পুরসভা থেকে ২০১১ সালের পর এই প্রথম লিড পেল তৃণমূল। তবুও থেকে গিয়েছে কাঁটা। কারণ পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে চারটিতে কম ব্যবধানে হলেও হেরেছে তারা। সেগুলি হল, দুই, ছয়, নয় এবং ১১। তৃণমূল নেতা সৌমেন তরফদারের বক্তব্য, ‘আগের ভোটে এই ওয়ার্ডগুলিতে আরও বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিল দল। সেটা অনেকটা কাটানো গেলেও, ফারাক থেকেই গিয়েছে।’