গৃহাদি নির্মাণে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণপ্রাপ্তির যোগ আছে। কাজকর্মের স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। বাতের বৃদ্ধি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ চণ্ডীহাট গ্রাম থেকে হুডখোলা জিপে র্যালি শুরু করেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। প্রার্থীর গাড়ির পিছনে কয়েকজন তৃণমূল নেতার চারচাকা, ম্যাটাডরে কর্মী-সমর্থক ও বাইকে কর্মীরা ছিলেন। চণ্ডীহাট, মাঝেরহাট ছেলেগোয়ালিয়া গ্রামে প্রচার সারেন সায়নী। মাঝেরহাটে তাঁকে ম্যাঙ্গো জুস, মিষ্টি খাওয়ান দলীয় কর্মীরা। যদিও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলেননি সায়নী। হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন তিনি। মাইক্রোফোন হাতে শওকত আবেদন করেন সায়নীকে ভোট দেওয়ার জন্য। শানপুকুর অঞ্চলের পাঁচটি গ্রামের পর ভোগালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাংলা, সাতভাইয়া, ভোগালি, জামিরগাছিতে প্রচার সারেন সায়নী। সেখান থেকে রঘুনাথপুর, ভুমরু হয়ে ভোগালি ২ গ্রামে প্রদক্ষিণ করার কথা ছিল সায়নীর। কিন্তু তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে কলকাতা ফিরে যান প্রার্থী। তাঁর জন্য সকাল থেকে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছিলেন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। এই ঘটনায় হতাশ তাঁরা। শওকত বলেন, গরমে উনি অসুস্থ বোধ করায় এদিনের মতো র্যালি বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় আবার পরবর্তী কোনও দিন এই কর্মসূচি নেওয়া হবে। তবে বিকেলে সায়নীর প্রচার ছিল বারুইপুর পূর্বে। সুস্থ হয়ে সেখানে আসেন তিনি। পায়ে হেঁটে জনসংযোগের পাশাপাশি পথসভাতেও অংশগ্রহণ করেন সায়নী। তাঁকে ঘিরে এদিনও মহিলাদের উৎসাহ এবং উচ্ছ্বাস ছিল তুঙ্গে।
অন্যদিকে, এদিন সকালে খেয়াদহ পরিক্রমা করলেন বিজেপি প্রার্থী। একুশের ভোটের নিরিখে এই অঞ্চলে বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। সেই ব্যবধান বাড়াতে হুড খোলা গাড়ি করেই এলাকা ঘুরলেন অনির্বাণ। খেয়াদহ পেট্রোল পাম্প থেকে রাধানগর বিদ্যাসাগর উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত জনসংযোগ যাত্রার আয়োজন করেছিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাতে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন অনির্বাণবাবু। এদিকে, বারুইপুর গ্রামীণ এলাকায় সকাল বিকেল চষে বেড়ালেন সৃজন। প্রথমে বারুইপুর ক্যানিং বর্ডার এলাকা বলে পরিচিত বেলেগাছি পঞ্চায়েত এলাকা পরিক্রমা করেন তিনি। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি দেন নানা প্রতিশ্রুতিও। বিকেলে কল্যাণপুর অঞ্চলে এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমেছিলেন।