সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, যশ মোকাবিলায় আগে থেকে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রশাসন। বিশেষ করে এই জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে একাধিক আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। যশের জেরে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতেই রাস্তার ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে আবার সুন্দরবন অঞ্চলের সন্দেশখালি-১, সন্দেশখালি-২ এবং হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কারণ, একেবারে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে এই ব্লকগুলির অবস্থান। উম-পুনে এইসব এলাকায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। যশের জেরে যে রাস্তাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পের রাস্তা, আর আই ডি এফ প্রকল্প, এস আর ডি এ এবং জেলা পরিষদের নিজস্ব রাস্তাও রয়েছে। যশের পরই গত ২৭ মে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলাকে চিঠি দিয়ে রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছিল। সেই মতো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে ১৭০ কোটি টাকার রাস্তার ক্ষতির রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য কয়েকটি ছোট ছোট ক্ষতিগ্রস্ত সেতুও রয়েছে। যার বেশিরভাগ কালভার্ট।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, আমাদের জেলায় ১৭০ কোটি টাকার রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলি দ্রুত সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ১৭ জুন এ ব্যাপারে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। আমরা এলাকা ভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা ধরে ধরে আলোচনা করব। তারপর সেই তালিকা অনুযায়ী সংস্কারের কাজ শুরু হবে।