সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
প্রথম থেকেই উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার বেশি। বুধবার পর্যন্ত এই জেলায় ৩ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৩৫০ জন। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বারাকপুর, বিধাননগর ও বারাসত মহকুমার মোট ১৪টি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন হল— পানিহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজা বস্তি এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অটো-টোটো স্ট্যান্ড সংলগ্ন রবীন্দ্রনাথ অ্যাভিনিউ, উত্তর দমদম পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল আজিজ রোড ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া বিদ্যাপীঠ রোড, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দমদম পার্ক বাজার সংলগ্ন শ্যামনগর রোড ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ বি-ব্লকের রাধাকৃষ্ণ মন্দির গলি, বিধাননগর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রগতি সঙ্ঘ ক্লাবের কাছে কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লি, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুলি শরৎকানন, বারাসত পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদুর সুবর্ণপত্তম, অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শেরপুরের ২ নম্বর এলাকা, হাবড়া-২ ব্লকের গুমা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গুমা রেল বাজার, বারাসত-১নং ব্লকের কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগাছা ও চালতাবেড়িয়া শিবমন্দির পল্লি এবং রাজারহাটের বিষ্ণুপুর-১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতেন্ডা। এই মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওইসব এলাকায় বাড়ি বাড়ি ফিভার ম্যাপিং করা হবে। বাড়ানো হবে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা। এমনকী ওই জোনে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও করা হবে। সেইসঙ্গে ব্যবস্থা করা হবে ভ্যাকসিনের। জোনগুলিকে স্যানিটাইজ করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে আমরা সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এদিকে, অনেকেই মাস্ক না পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই উদাসিনতাকে বরদাস্ত করছে না প্রশাসন। মাস্ক না পরায় গত তিনদিনে দমদম থানা এলাকায় শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লেকটাউন থানা এলাকাতেও গত তিনদিনে গ্রেপ্তার গড়ে কুড়ি।