পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
১৯৮৪ সালের ৭ ডিসেম্বর। প্রকাশিত হল বরুণ সেনগুপ্তর সম্পাদনায় নতুন দৈনিক ‘বর্তমান’। এর কয়েক বছর পর প্রকাশিত হয় ‘সাপ্তাহিক বর্তমান’ ম্যাগাজিন। আমি তখন নিতান্ত নবাগত লেখক। ইএম বাইপাসে নয়, সেই সময় বর্তমান অফিস এ জে সি বোস রোডে। একদিন লেখা জমা দেওয়ার জন্য পৌঁছে গেলাম তাঁদের দপ্তরে। দেখলাম, একটি কাচের ঘরের মধ্যে বসে রয়েছেন আমার স্বপ্নের সাংবাদিক-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্ত। না, কথা বলার সুযোগ হয়নি সেদিন। দূর থেকেই তাঁকে উজাড় করে দিলাম মনের শ্রদ্ধা। ‘বর্তমান’, ‘সাপ্তাহিক বর্তমান’ ও ‘শারদীয়া বর্তমান’-এ লেখার প্রচুর সুযোগ পেয়েছি। আমার সাহিত্যিক হয়ে ওঠার নেপথ্যে ‘বর্তমান’ গোষ্ঠীর অবদান অনস্বীকার্য। একজন সম্পাদক হিসেবে বরুণবাবু যে সেদিন আমার মতো নতুন এক লেখককে সুযোগ ও স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, তার জন্য ওঁর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। শুধু আমি একা নই, বহু নতুন লেখক-সাহিত্যিককে লেখার জায়গা করে দিয়েছেন তিনি।
‘সাপ্তাহিক বর্তমান’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি সংখ্যায় আমার লেখা নভলেট ‘আসনবনি’ প্রকাশিত হয়। এর মাস ছয়েক পরে এই ম্যাগাজিনেই একটি ধারাবাহিক উপন্যাস লেখার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাঁকুড়া-দামোদর রিভার রেলওয়ে নিয়ে ‘আগুন গাড়ি’ নামে একটি উপন্যাস লিখি। এছাড়াও, ‘বর্তমান রবিবার’, ‘সাপ্তাহিক বর্তমান’ ও ‘শারদীয়া বর্তমান’-এ বহু ধারাবাহিক, ছোটগল্প ও উপন্যাস লিখেছি।
বরুণবাবু আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে, তাঁর হাতেগড়া ‘বর্তমান’ পত্রিকার আজ ৪১তম জন্মদিন। গত চার দশকে ধারে-ভারে বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমান গোষ্ঠী। একে একে যুক্ত হয়েছে ‘সাপ্তাহিক বর্তমান’, ‘সুখী গৃহকোণ’ ও ‘শরীর ও স্বাস্থ্য’ ম্যাগাজিন। কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছে হিন্দি বর্তমান কাগজ।
আশা করি, এই পত্রিকা আরও এগিয়ে যাবে। বরুণ সেনগুপ্তর দেখানো পথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে শাণিত কলম ঝলসে উঠবে।