পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলাম ১৯৬২ সালে। সরকারি তরফে ৩ বছরের জন্য ছুটি মঞ্জুর হল। এডিনবরা আর লন্ডনে করলাম এমআরসিপি। দেশে ফিরে মেডিক্যাল কলেজে জয়েন করতেই বলা হল সোজা বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে চলে যেতে! সেটা ১৯৭০ সাল। পরবর্তী ৬ বছর কাটিয়েছিলাম বাঁকুড়াতেই। বাঁকুড়ায় প্রচণ্ড গরম! ক্লাস করাতে গিয়েও গরম লাগে। ঘরে বসেও গা পুড়ে যায়। আর রাত হলেই হয় লোডশেডিং! অন্ধকারে তখন কোথাও বেরনোর জো নেই। রোগী দেখে নিস্তরঙ্গ জীবন কাটাচ্ছি। এল ১৯৭৫ সাল। হঠাত্ শুরু হল জরুরি অবস্থা। কানে আসছিল নানা ব্যক্তিবর্গের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা। এমন একটা সময়ে বাঁকুড়ার বিখ্যাত গরমের মধ্যেই যে বিখ্যাত সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে তা ভাবিনি! সেই প্রথম ওঁকে দেখলাম। কথা হল কিছু। বড়স়ড় কথা কিছু নয়। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টুকটাক বাক্যালাপ। এই ঘটনার পরেও সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তের সঙ্গে নানা জায়গায় দেখা হয়েছে। তাঁর কথা উঠলেই মনে পড়ে তিনি ছিলেন দীর্ঘদেহী, সুদর্শন, সুভদ্র, সদালাপী। কথা বলতেন অসম্ভব সুন্দর ভঙ্গিতে। যে কোনও বিষয়ে প্রচুর তথ্য থাকত। সক্রিয় ছিলেন যে কোনও কাজে। সাধারণ মানুষের খুব প্রিয়পাত্র ছিলেন। ছিলেন আমারও প্রিয় মানুষ।