দেশ

বর্ধিত পেনশনের প্রক্রিয়াই বন্ধ! ফাইল না ছাড়তে ‘অলিখিত নির্দেশ’ কেন্দ্রের

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: বর্ধিত হারে পেনশন দেওয়ার প্রক্রিয়াই বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শ্রমমন্ত্রকের অধীন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (ইপিএফও) তরফে এমনই বার্তা গিয়েছে দেশের সবক’টি আঞ্চলিক অফিসে। তবে কোনও লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়নি। মৌখিকভাবে বলা হয়েছে, বর্ধিত হারে পেনশন দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত মুলতুবি রাখতে হবে। এই সংক্রান্ত ফাইলই শুধু নয়, গৃহীত হওয়া আবেদনগুলি পর্যন্ত ‘প্রসেস’ করা যাবে না। কেন এই সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর, বর্ধিত হারে পেনশনের হিসেব সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে দপ্তরের অন্দরে। এমনকী তা দেওয়ার মতো যথেষ্ট টাকা কোষাগারে আছে কি না, সেই সংশয়ও চরমে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সামনে এসেছে পেনশন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে অবমাননার মতো গুরুতর অভিযোগ। তাই গোটা বিষয়টিতে আরও স্বচ্ছতা না আসা পর্যন্ত ওই প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। 
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ১ শতাংশ প্রবীণকেও বর্ধিত হারে পেনশন দিয়ে উঠতে পারেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই গা ছাড়া ভাব নিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার অভিযোগ এনেছে ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনস। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এগজিকিউটিভদের সংগঠনগুলির সর্বভারতীয় মঞ্চ। মোট ২৪০টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দু’লক্ষ অফিসার রয়েছেন এই সংগঠনের আওতায়। তারা মোদি সরকারকে স্পষ্ট জানিয়েছে, একদিকে প্রবীণদের থেকে টাকা চেয়ে নিলেও পেনশন চালু হয়নি। অন্যদিকে বহু আবেদনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন। কিন্তু ডিম্যান্ড নোটিস দিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে না। এই দু’টি পদক্ষেপই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। পাশাপালি তোলা হয়েছে পেনশনের হিসেব সংক্রান্ত প্রশ্ন। ইপিএফও যে ‘প্রো-রাটা’ ভিত্তিতে হিসেব কষছে, সেটাও শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধী। কেন্দ্রের নিজের কষা হিসেব বেআইনি এবং অনৈতিক। পিএফের অছি পরিষদের এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকেও সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার প্রসঙ্গ উঠেছে। বৈঠকের কার্যবিবরণীতেই সরকারিভাবে সেই তথ্য প্রকাশিত। 
পেনশন দেওয়ার টাকা জোগাড় করাটাও অবশ্য এখন কেন্দ্রের কাছে বড় অর্থনৈতিক বোঝা। অছি পরিষদের ‘অ্যাকচুয়ারি’ বা আর্থিক ঝুঁকি সংক্রান্ত হিসেবরক্ষকের কথাতেই তা স্পষ্ট। কনসালট্যান্ট অ্যাকচুয়ারি জয়েশ পণ্ডিত দাবি করেছেন, আবেদনকারীরা যে বাড়তি টাকা দপ্তরে জমা করছেন, তা কোথাও লগ্নি করা হোক। কারণ, নির্দিষ্ট ‘ফর্মুলা’ মেনে পেনশন দিতে হলে তহবিলে বড়সড় ফাঁক তৈরি হবে। সর্বশেষ এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে  বর্ধিত হারে পেনশন নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘কোনওভাবেই পেনশনে ঢিলেমি চলবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই পেনশন দিতে হবে। বৈঠকে এই দাবি তুলেছি। কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা দ্রুততার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করবেন।’ এপ্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ইপিএস-৯৫ স্কিমের আওতায় থাকা পেনশনভোগীদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটির রাজ্য শাখার সভাপতি তপন দত্ত। তিনি বলেন, ‘সরকার কী হিসেবে পেনশন দিচ্ছে, তা কেন প্রতিটি আবেদনকারীকে স্পষ্ট করে বলা হবে না? এই প্রশ্ন আমরা গোড়া থেকেই তুলছি। সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পেনশন দেয়, তাহলে তার অঙ্ক বাড়তে বাধ্য।’
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০১ টাকা
ইউরো৮৭.৪৪ টাকা৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা