দেশ

ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ লক্ষ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ, মূলত যাবে এরাজ্য থেকেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ লক্ষ টন চাল আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই চালের বেশিরভাগটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে চাল পাঠানোর জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের রপ্তানিকারকদের মধ্যে। বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রক সে-দেশের মোট ১০২টি  সংস্থাকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। সেই সংস্থাগুলির তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশই ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার। এরা঩জ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র আছে সেগুলি দিয়েই চাল পাঠানো হবে। বাংলাদেশ খাদ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টন সিদ্ধ চাল ও ১ লক্ষ ৬২ হাজার আতপ চাল আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 
নতুন ধান সবে উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করার সুযোগ আসতেই রাজ্যের খোলাবাজারে ধানের দাম বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সরকার ঘোষিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) প্রায় সমান রয়েছে খোলাবাজারে ধানের দাম। চলতি খরিফ মরশুমে কুইন্টাল প্রতি ২৩০০ টাকা দরে (এমএসপি) সরকার ধান কেনা শুরু করেছে। বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ চাল এরাজ্য থেকে গেলে খোলাবাজারে চালের দাম কতটা বাড়ে, সেটা নিয়ে এখন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খোলাবাজারে চালের দাম এখনই বেশ চড়া। মোটা চাল (স্বর্ণ ধান থেকে উৎপাদিত) ৪০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। 
তবে রাইস মিল মালিকরা বাংলাদেশে চাল পাঠানোর সুযোগ মেলায় খুশি। বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়শনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, এতে শিল্প চাঙ্গা হবে। বরাত না-থাকার জন্য অনেক রাইস মিল বন্ধ হয়ে আছে। সেগুলি এবার চালু হবে। চাষিরাও বেশি দাম পাবেন। তাঁর যুক্তি, সাধারণ ক্রেতাদের  উপর এর প্রভাব পড়বে না। কারণ আর্থিকভাবে সম্পন্নরা খোলাবাজার থেকে ভালো মানের চাল (মিনিকিট, বাঁশকাঠি প্রভৃতি) কিনে খান। ওইসব চাল বাংলাদেশে যাবে না। সেখানে সাধারণ মোটা চাল যাবে। কিন্তু মোটা চালের দাম বাড়লে তার প্রভাব অন্য  চালের উপর পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না ব্যবসায়ী মহল। বাংলাদেশে চাল রপ্তানি হওয়ায় সরকারি মহল অবশ্য খুশি। কারণ এতে চাষিরা খোলাবাজারেও ধানের ভালো দাম পাবেন। গরিব মানুষকে সরকার রেশনে বিনা পয়সায় চাল দেয়। চালের দাম বৃদ্ধির প্রভাব তাদের উপর বিশেষ একটা পড়বে না। দাবি সরকারি মহলের। রাজ্যে বছরে প্রায় আড়াই কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ লক্ষ টন ধান সরকার চাষিদের কাছ থেকে কিনে চাল উৎপাদন করে রেশন দোকান, স্কুলের মিড ডে মিল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরবরাহ করে। বাকি ধান থেকে তৈরি চাল আসে খোলাবাজারে।
3h 3m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০১ টাকা
ইউরো৮৭.৪৪ টাকা৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা