রাজ্য

স্কুলগুলি পাসওয়ার্ড বদল না করাতেই সাইবার প্রতারণা, পোর্টাল নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশই সার

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশমতো স্কুলগুলি পোর্টালের পাসওয়ার্ড বদল না করাতেই ফায়দা তোলে সাইবার প্রতারকরা। প্রতারকরা পোর্টালে ‘অ্যাকসেস’ নিতে পারে এমন আশঙ্কাতেই এমনটা বলা হয়েছিল। তারপরও বহু স্কুল সেই নির্দেশ মানেনি। তার ফায়দা তোলে প্রতারকরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, শিক্ষাদপ্তরে সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে রয়েছে। তাছাড়া এত সহজে প্রতারকরা পোর্টালে ঢুকতে পারত না। পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি প্রতিটি স্কুলের আলাদা কোড রয়েছে। সেই কোড প্রতারকরা কীভাবে পেল সেটা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছে। এখনও পর্যন্ত পুলিসের জালে একজন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক উঠেছে। তারপক্ষে একা এতগুলি স্কুলের কোড ও পাসওয়ার্ড জানা সম্ভব নয় বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তার মতো শিক্ষাদপ্তরের অনেকেই যুক্ত থাকতে পারে বলে তাঁদের অনুমান।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু হওয়ার পর ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’-এর কমন পাসওয়ার্ড প্রতিটি স্কুলকে দেওয়া হয়েছিল। পরে তা নিজেদের মতো করে বদলে নেওয়ার জন্য বলা হয়। প্রয়োজনে ঘনঘন পাসওয়ার্ড বদলের জন্য বলা হয়েছিল। অনেক স্কুলই শিক্ষাদপ্তরের পরামর্শমতো পাসওয়ার্ড বদল করে। কিছু স্কুল পুরনো পাসওয়ার্ড রেখে দেয়। যেসব স্কুল পোর্টালের পাসওয়ার্ড বদল করেনি সেগুলিকেই প্রতারকরা টার্গেট করে। খুব সহজেই সেই পাসওর্য়াডের মাধ্যমে পোর্টালে অ্যাকসেস নিয়ে টাকা হস্তান্তর করে। পাসওয়ার্ড বদল না করা স্কুলের তালিকা শিক্ষাদপ্তরের কেউ কেউ সরবরাহ করেছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলায় সাইবার প্রতারকদের আলাদা আলাদা গ্যাং অপারেশন করেছে। পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা হাতানোর অন্যতম মূলচক্রী মালদহের বৈষ্ণবনগরের রকি শেখ। পোর্টাল সংক্রান্ত ইনপুট গ্যাংয়ের বাকি সদস্যদের সরবরাহ করেছিল। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ অন্যান্য জেলার স্কুলগুলির পড়ুয়াদের টাকা হাতোনোর ক্ষেত্রে অন্য চক্রীরা তথ্য সরবরাহ করেছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, রকিদের মাথার উপর শিক্ষাদপ্তরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ‘ভূত’ রয়েছে। সর্ষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভূতের সন্ধান পেতেই তদন্তকারীরা মরিয়া প্রয়াস শুরু করেছে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রতারকরা নিখুঁতভাবে বহুদিন ধরেই অপারেশন চালাচ্ছিল। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার চালাত। এলাকার বাসিন্দারা সরল বিশ্বাসে তাদের কাছে অ্যকাউন্ট খোলার জন্য নথি জমা করত। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টে প্রতারণার টাকা জমা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, গ্রেপ্তারের তালিকা অনেক লম্বা হবে। বিহারেও এই চক্রের অনেকেই রয়েছে। তাছাড়া মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরেও অনেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তবে দপ্তরের কেউ জড়িত না থকলে এতবড় কেলেঙ্কারি হতে পারত না। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস বলেন, ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০১ টাকা
ইউরো৮৭.৪৪ টাকা৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা