সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতীর পাঠভবনের নিখোঁজ হওয়া ছাত্রকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। গত ১২ জানুয়ারি থেকে সুতীক্ষ্ণ দুবে নামের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নিখোঁজ ছিল। ‌বিশেষত, ছাত্রটি হাতে জপের মালা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ায়, সে কোনও ধর্মস্থলে গিয়েছে বলে ওই ছাত্রের মা-বাবা আশঙ্কা করেছিলেন। এরপর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে পুলিস। রাজ্য ও দেশের নানা প্রান্তে খোঁজ শুরু হয়। এরপর দক্ষিণ ভারতের কোয়েম্বাটুরে সুতীক্ষ্ণের খোঁজ পায় শান্তিনিকেতন থানা। ‌ সেখানকার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর সুতীক্ষ্ণকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। ‌ শান্তিনিকেতন থানার এই ভূমিকায় অত্যন্ত খুশি সুতীক্ষ্ণের বাবা দেবেন্দ্রনাথ দুবে। 
প্রসঙ্গত, পড়তে যাওয়ার নাম করে ওই ছাত্র ঘর ছাড়েন। ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। বিশেষত, মোবাইল না নিয়ে যাওয়ায় তার সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিল না তার পরিবার। এরপরেই দেবেন্দ্রনাথবাবু শান্তিনিকেতন থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঘর থেকে বেরনোর সময় একটি জপের মালা ও একটি ব্ল্যাঙ্কেট সঙ্গে নিয়েছিলেন সুতীক্ষ্ণ। তাই পরিবারের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল মহাকুম্ভের মেলা কিংবা কোয়েম্বাটুরের এক সদগুরুর আশ্রমে তিনি যেতে পারেন। তার ভিত্তিতে শান্তিনিকেতন থানা সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে খোঁজ শুরু করে। এরপর কোয়েম্বাটুর পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুতীক্ষ্ণের খোঁজ পায় শান্তিনিকেতন থানা। অবশেষে, ছাত্রটিকে বাড়ি ফেরাতে পেরে স্বস্তিতে পুলিস। ছেলেকে ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি সুতীক্ষ্ণের বাবা দেবেন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন ধর্মচর্চা, বিজ্ঞানসম্মত যোগাভ্যাস শেখার জন্য কোয়েম্বাটুরের ওই আশ্রমে বিশেষ পড়াশোনার একটি কোর্স রয়েছে। তা শেখার জন্যই সুতীক্ষ্ণ সেখানে চলে যান। ওকে বলেছিলাম,পরীক্ষার পর সেখানে যাব। কিন্তু আচমকা না বলে চলে যাবে, ভাবতে পারিনি। পুলিসকে ধন্যবাদ জানাই।