নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিধায়ক, এমপি। আম আদমি পার্টি (আপ)-র বিভিন্ন স্তরের নেতাকেই গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে ইডি ও সিবিআই। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে ভর করেই দিল্লিতে ক্ষমতাসীন হয়েছিল আপ। অথচ সেই দলের নেতাদেরই আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ২০১৫ ও ২০২০-পরপর দু’বার দিল্লি বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও বিজেপিকে বিধ্বস্ত করেছিল আপ। সামনে ফের ভোট। তৃতীয়বারেও তারা ক্ষমতায় ফিরতে পারবে কিনা, তা নিয়েই এখন জল্পনা চরমে। দুর্নীতির অভিযোগ কি এবার পথে বসাবে ক্ষমতাসীন দলকে? যদিও একের পর এক জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস স্বস্তি দিচ্ছে আপকে। অধিকাংশ সমীক্ষারই ইঙ্গিত, ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কুর্সিতে ফিরছে ঝাড়ু-পার্টি। সেক্ষেত্রে রাজধানীতে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন আরও একবার অধরাই থেকে যাবে বিজেপির। 
সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে,  ৫১ শতাংশ ভোট পেতে পারে আপ। টাইমস নাউ নবভারত টাইমের সমীক্ষা অনুযায়ী,  তাদের ভোট শেয়ার ৫০ শতাংশ থাকতে পারে। দিল্লি তথা উত্তর ভারতের অন্যতম দলিত সমাজের সমীক্ষা করা সংস্থার রিপোর্টও কেজরির দলকেই এগিয়ে রেখেছে। ওই সংস্থার সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দিল্লির দলিত ভোটব্যাঙ্কের ৪৪ শতাংশই আপের ঝুলিতে যেতে পারে। রাজস্থানের ফালুদির সাট্টার দর তথা পূর্বাভাসেও দেখা যাচ্ছে, হাওয়া আপের পালেই। 
সাম্প্রতিক একের পর এক ভোটে জনমত সমীক্ষা ও এক্সিট পোল, কোনও পূর্বাভাসই মেলেনি। সুতরাং এখন এইসব সমীক্ষার  মাহাত্ম্য তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপি বেশ অস্বস্তিতে। যে কোনও নির্বাচনের আগেই বিজেপি দলীয়ভাবে অভ্যন্তরীণ ও বেসরকারি পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে পৃথক দুটি সমীক্ষা করে। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হল, এখনও পর্যন্ত কোনও সমীক্ষা রিপোর্ট দলের অন্দরে আসেনি।  ২৭ বছর পর এবারই সবথেকে সেরা সুযোগ বিজেপির দিল্লি দখলের। এবারও যদি দিল্লি দূর অস্ত থাকে, তাহলে সেটা হবে নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত ব্যর্থতা।