পুনে, ২৯ জানুয়ারি: সহপাঠীকে ধর্ষণ ও খুন করার ছক। দেওয়া হল ১০০ টাকার সুপারিও! আশ্চর্যজনকভাবেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। তার বিরুদ্ধেই সুপারি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে পুনের প্রান্তিক এলাকার দৌণ্ডর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। জানা গিয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল ছাত্রীটির। কারণ, সে শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করে যে তার সহপাঠী না কী রিপোর্ট কার্ডে তার বাবার সই নকল করেছে। বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়াকে স্বাভাবিকভাবেই বকুনি দেন শিক্ষক। তাতেই বেজায় ক্ষেপে যায় ওই পড়ুয়া। নালিশ করার বদলা এবং সহপাঠীকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ফন্দি আঁটতে শুরু করে। অভিযোগ, এরপরই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ ও খুন করার জন্য ক্লাসের অপর এক ছাত্রকে ১০০ টাকার সুপারি দেয় সে। কিন্তু কোনওভাবে স্কুলে এই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনাটি জানতে পারেন ওই ছাত্রীর বাবাও। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিসের দ্বারস্থ হন। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত সপ্তম শ্রেণির দুই নাবালকদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি স্কুল কর্তৃপক্ষও। ওই ছাত্রীটির পরিজনদের অভিযোগ, পুরো ঘটনাটি জানার পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং চুপ থেকেছেন। দুই ছাত্রকে কোনও শাস্তিও দেননি। এমনকী স্কুলের নাম খারাপ হওয়ার ভয়ে প্রিন্সিপাল গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানায় ছাত্রীটির বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং দু’জন শিক্ষককে ডেকে পাঠায় পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিস।