নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য একাধিক প্রস্তাব রাজ্যের শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে জমা পড়ল। মঙ্গলবার ওই প্রস্তাবগুলি হুগলি জেলাতে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে জমা পড়েছে। এদিন রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কালীপদ মণ্ডল ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পরে সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। পাশাপাশি উত্তরপাড়ার প্রাচীন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি, একাধিক স্কুল ও শিক্ষকশিক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে জেলার কর্তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবারের সফর প্রসঙ্গে স্ট্যান্ডিং কমিটির অন্যতম সদস্য ও হুগলির চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘দপ্তরের কাজের উন্নতির জন্য প্রস্তাব নেওয়া এবং সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার কাজ স্ট্যান্ডিং কমিটি করে। এদিনও সেই কাজেই চেয়ারম্যান নিজে এসেছিলেন। আমরা জেলার শিক্ষাব্যবস্থার হাল খতিয়ে দেখেছি। জেলার তরফে একগুচ্ছ সুপারিশ এসেছে। সমস্তটাই কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে উপযুক্ত সুপারিশ করা হবে।’ হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরির মতো প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পাঠাগারের উন্নতি নিয়ে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। জেলায় ব্লক প্রতি একটি করে ইংরেজি মাধ্যম প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল করা দরকার। বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুলের ব্যাপক প্রয়োজন। এই জেলার আট লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে উচ্চপর্যায়ের পঠনপাঠনের জন্য তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় শিক্ষা পরিকাঠামো আরও আধুনিক ও জনমুখী করার জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখা হয়েছে।’
এদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা প্রথমে উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি পরিদর্শনে যান। পরে সুগন্ধা হাইস্কুল সহ একাধিক স্কুল, স্কুলের মিড ডে মিল ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। বিকেলে সার্কিট হাউসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই একগুচ্ছ প্রস্তাব কমিটির সামনে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ইংরেজি মাধ্যম প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল গড়ার দাবি পেশ করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যের স্টেট লাই঩ব্রেরির মর্যাদাপ্রাপ্ত জয়কৃষ্ণ পাঠাগারের পরিকাঠামো নিয়েও কমিটির কাছে একাধিক প্রস্তাব জমা পড়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এক জনপ্রতিনিধি বলেন, জয়কৃষ্ণ লাই঩ব্রেরি বিরাট জমির উপরে গড়ে উঠেছে। সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা তৈরি হয়েছে। কর্মী সংখ্যা কম থাকার কারণে গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে। সেই বিষয় তুলে ধরে একাধিক প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে দৃষ্টিহীনদের জন্য যে স্কুল আছে তার পরিকাঠামো উন্নতি নিয়েও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’-নিজস্ব চিত্র