সংবাদদাতা, হলদিয়া: দ্বিতীয় বছরেই বাজিমাত করেছে হলদিয়া চা উৎসব। শুক্রবার চৈতন্যপুর মোড়ে অভিনব চা উৎসব ঘিরে হলদিয়াবাসীর উন্মাদনা তুঙ্গে ওঠে। শীতের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উৎসবে ৫০ হাজারের বেশি কাপ চায়ে চুমুক দিলেন চাপ্রেমীরা। এক দু’রকমের চা নয়, ১০-১২ রকমের চায়ে চুমুক দিয়ে কার্যত আহ্লাদে আটখানা আট থেকে আশি নানা বয়সের মানুষ। চা-য়ের সঙ্গে ছিল রকমারি বিস্কুট ও গরম বেগুনি। সকালে ও সন্ধ্যায় নানা স্বাদের চা-য়ের সঙ্গে গরম বেগুনির জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চা আড্ডার সঙ্গে ছিল নানা ধরনের লোকগান, আবৃত্তি, নাচ। জমজমাট চায়ের আড্ডায় কবি, লেখক, শিক্ষকরা ছাড়াও শ্রমিক, ব্যবসায়ী, গৃহবধূ, স্কুল পড়ুয়া সকলেই ভিড় করেন। চা-য়ে টানে এমন জমায়েত যে কোনও জনসভাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। একদিনের ওই চা উৎসবের আয়োজন করেছিল হলদিয়া উৎসব কমিটি। তাদের উৎসবের ক্যাচলাইন ‘চলো যাই চা খাই’। বড় মাপের ওই চা উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। তিনি বলেন, আমি রাজনীতির মানুষ, রাজনীতিই আমার জীবন। চা-চক্র জনসংযোগের একটি বড় মাধ্যম। শুধু একটি চা চক্র নয়, চায়ের উৎসবে হাজার হাজার নানা বয়সের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এত মানুষের উপস্থিতি আমাকে আবার হলদিয়া উৎসব শুরু করতে প্রেরণা দিয়েছে। 
এদিন সকাল থেকে দিনভর চা উৎসবে হাজির থেকে সবাইকে উৎসাহিত করেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মানসী দে শেঠ, আশিস লাহিড়ি, সুদীপ্তন শেঠ প্রমুখ। এদিন চা উৎসবে হলদিয়ার শতাধিক শিল্পী নাচ ও গান পরিবেশন করেন। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন স্বাদের চা খাওয়ানো হয়েছে। দুধ চা ও লিকার চা তো ছিলই, এছাড়াও ছিল গ্রিন টি, লেবু চা, মশলা চা, আদা চা। তবে লঙ্কা চায়ের আকর্ষণ সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে।