বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন

‘আমার স্পষ্ট কথা বলতে অসুবিধে নেই’

‘গৃহস্থ’ নামটা বাঙালি দর্শকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
হ্যাঁ, বাঙালিদের ক্ষেত্রে এই নামটার অন্য তাৎপর্য রয়েছে। ঘরে থাকতে চাওয়া, ঘরে ফিরতে চাওয়া। সংসার গুছিয়ে রাখাকেই তো ‘গৃহস্থ’ বলি। এই ছবিতে আমার চরিত্র অপর্ণার ক্ষেত্রে তা নয়। ও একটা বাড়িতে নিজেকে বন্দি করে রেখেছে। ওর বাড়ি থেকে বেরতে খুব ভয়। মেয়েটির বাচ্চা রয়েছে। অপর্ণা ভাবে, বাড়ি থেকে বেরলে ওর বাচ্চার কোনও ক্ষতি হয়ে যাবে। এক জায়গায় থাকতে শুরু করলে খুব ডার্ক চিন্তাভাবনা আসে। ও বাড়িতে থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে দেখে কে এল, কে গেল। কেউ পটকা ফাটালেও ও পুলিসে অভিযোগ করে। ফলে ওকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু এই সিসিটিভির মাধ্যমেই ও একটা খুন দেখে ফেলে। সেখান থেকে ওর জীবনটা পাল্টে যায়। 
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার?
পুরোপুরি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। কোনও সুখী গৃহস্থর কথা ‘গৃহস্থ’ বলছে না। অনেক ট্রমা, ডার্কনেস, কষ্টর কথা বলছে। সেটাও গৃহস্থরই অংশ। কিন্তু বাংলা ছবিতে আমার দিক থেকে সাহসী এই ছবি। এই মূহূর্তে বাংলা ছবির ফর্মুলাতে মৈনাক ভৌমিকের ‘গৃহস্থ’ পড়ে না। 
পরপর বেশ কয়েকটা ছবিতে মানসিক সমস্যা রয়েছে, এমন চরিত্রে আপনাকে দেখা যাচ্ছে। 
দেখুন, হিরোইনের মানসিক অসুখ রয়েছে, এটা মেনে নিতে দর্শকের এমনিই অসুবিধে হয়। হিরোইন সবেতেই পারফেক্ট হবে। আমরা এভাবেই হিরোইনদের চিনে এসেছি। কিন্তু মানুষের তো ভালো, মন্দ দুটোই থাকে। অপর্ণা তেমনই। ও পারফেক্ট নয়। ওর বেশ কিছু অসুবিধে আছে।
চরিত্র গঠনে ব্যক্তি অভিজ্ঞতা কাজে লাগে?
এমন চরিত্র তো সচরাচর আসে না। যখন আসে, তখন আমাকে নিজের ট্রমা, দুঃখের দিকে তাকাতে হয়েছে। নিজের কিছু অতীতকে ছুঁয়ে দেখতে হয়েছে, যাতে সেগুলো অনুভব করে আমি অপর্ণার ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস করতে পারি। আমি মনে করি, কেউ যদি জীবনে ট্রমা, দুঃখ না পেয়ে থাকে তাহলে সুপারফিশিয়াল ভাবে অপর্ণা চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হতো না। 
নিজের দুঃখ তো ভুলে থাকতে চায় মানুষ, সেগুলো ফিরে দেখা কঠিন নয়?
এই পদ্ধতিটা একেবারেই সহজ ছিল না। আমি চাইলে অন্য মেথড অ্যাক্টিং নিয়ে কাজ করতে পারতাম। কিন্তু আমি এটাই চেয়েছিলাম। আমার সাবপ্রেসড দুঃখকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। পরিচালক সেটা করতে দিয়েছিলেন।
ছবির সাফল্যে প্রচার কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিস্ট্রিবিউশন, মার্কেটিংও জরুরি। আমি দেখেছি অত্যন্ত খারাপ কিছু ছবি আসে। তারপর কর্পোরেট বুকিং করে হাউজফুল বলা হয়। আমি নিজেকে সাধারণ দর্শক মনে করি। ‘চালচিত্র’, ‘খাদান’, ‘বহুরূপী’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মানে দর্শক দেখেছে। কিন্তু যেসব ছবি নিয়ে আলোচনা নেই, অথচ হাউজফুল, সেসব ছবি কারা দেখল, সেটাই ভাবি।
এতে ক্ষতি কার?
দর্শক, ইন্ডাস্ট্রি দু’তরফেই ক্ষতি। দর্শককে বিশ্বাস করানো হল, দেখ আমার ছবি কত লোক দেখতে আসছে! একটা কোম্পানিকে ধরা হল। যারা সব টিকিট কিনে নিজের কর্মীদের ছবি দেখাল। শো হাউজফুল হল। দর্শক কিন্তু টিকিট কাটল না। এটা বলিউডেও হয়েছে। এতে আমাদের আয়ও বাড়বে না। কাজও বাড়বে না। শুধু কলার তোলা হল। কিন্তু কোনও লাভ হল কি?
আপনার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে?
যখন আমার ছবি চলে তখন শোতে ডাকে, বিজ্ঞাপন পাই। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ এত হিট হয়েছিল, সেবার দুর্গাপুজোতে যা উপার্জন করেছিলাম, চাইলে একসঙ্গে দুটো গাড়ি কিনতে পারতাম। ছবি দেখে চাহিদা তৈরি হয়েছিল। কোনও কর্পোরেট বুকিংয়ের গল্প ছিল না। আমার সঙ্গে এটা এখনও হয়নি। কিন্তু এটা হতে দেখছি। 
স্পষ্ট কথা খোলাখুলি বলছেন, এতে সমস্যা হয় না?
যখন আমার কোথাও খুঁটি বাঁধা নেই, আমার বলতে অসুবিধে কী? কোনও প্রযোজনা সংস্থায় যদি খুঁটি বাঁধা থাকত, তখন আমাকে যদি আর কাজে না নেয়, সেটা হয়তো ভাবতাম। আমি আমার মতো করে বাঁচি। ফলে আমার স্পষ্টবক্তা হতে অসুবিধে হয় না। মা, দাদু দু’জনের ক্ষেত্রেই স্পষ্টবক্তা হওয়ায় ক্ষতি হতে দেখেছি। কিন্তু কোথাও তো স্ট্যান্ড নিতে হবে। আমি যে ‘হেমা কমিটি’ নিয়ে এত কথা বলেছি, সেই কথা বলা থামাইনি কিন্তু। এ তো খুব খোলামেলা ভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে হয়। আমাকে যদি এতবছর দর্শক ট্যালেন্টের জন্য অ্যাকসেপ্ট করে, তাহলে ভবিষ্যতেও করবে। ইন্ডাস্ট্রি অল্পবয়সি মেয়েদের জন্য একটু সুন্দর হোক, এটাই চাইছি। এখানে কাজ করতে এলে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের থ্রেট মাথায় করে আসতে হবে, এটা যেন না হয়। কোনও প্রমাণ ছাড়া কারও দিকে আঙুল তোলায় আমি বিশ্বাসী নই। কিন্তু যেটা স্পষ্ট ভাবে বলা উচিত, সেটা স্পষ্ট করেই বলা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আর ন্যাকা ন্যাকা ডিপ্লোম্যাটিক উত্তর দেওয়ার কোনও মানে নেই।
স্বরলিপি ভট্টাচার্য
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পরিবারের কারুর ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি। ব্যবসাপাতি হলেও অর্থপ্রাপ্তিতে বাধা থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৭৮ টাকা৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড১০৮ টাকা১১১.৭৮ টাকা
ইউরো৮৯.৪৬ টাকা৯২.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা