বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ভুক্তভোগীরা বলেন, দেড়মাস আগে পুরনো কামরা বদল করে কোলফিল্ড এক্সপ্রেসে নতুন কোচ লাগানো হয়েছে। তাতে ট্রেনের সৌন্দর্য বাড়লেও যাত্রীদের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রেনের কোচের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, আগে এই ট্রেনে ২১টি কোচ ছিল। এখন তা কমিয়ে ১৭টি করা হয়েছে। এমনিতেই এই ট্রেনে সবসময়ই ভিড় থাকে। ধানবাদ থেকেই অধিকাংশ সিট ভর্তি হয়ে যায়। আসানসোলে উঠে অনেককেই দাঁড়িয়ে যেতে হয়। দুর্গাপুরে যাত্রীদের ভিড় আরও বেড়ে যায়। কোচের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় এখন যাত্রীদের দাঁড়িয়ে যেতেও সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া কোচের সিট নিয়েও তাঁদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
নিত্যযাত্রী সৌভিক দে বলেন, আগের একটি সিটে চার থেকে পাঁচজন বসা যেত। যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে বসে যেতাম। কিন্তু এখনকার সিটগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী বসতে পারবে না। দু’টি সিটের মধ্যে দূরত্বও কম। তার ফলে দাঁড়িয়ে যাওয়াও যায় না। তাছাড়া কোচগুলিও ছোট। ভিড় বেশি হলে ঠিকমতো দাঁড়ানো যায় না। আরএক যাত্রী দেবাশিস দাস বলেন, এখন প্রতিটি কোচের গেটগুলি ছোট হওয়ায় উঠতে অসুবিধা হচ্ছে। আগে অনেক কোচে তিনটি করে গেট থাকত। এখন প্রতিটি কোচেই দু’টি গেট রয়েছে। মহিলা এবং বয়স্কদের এই ছোট গেট দিয়ে উঠতে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল হতে হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়ে রেলমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, এখনও সুরাহা হয়নি। শীতের সময় তবুও ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে যাওয়া যাচ্ছে। গরমের সময় যাতায়াত করা দায় হয়ে উঠবে।
আরএক নিত্যযাত্রী পার্থ দে বলেন, পুরনো কোচেই যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম। এখন অনেক হয়রানি বেড়ে গিয়েছে। নিত্যাযাত্রীরা অনেকেই ব্যাগে কলকাতা থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসেন। আগে সেগুলি সিটের নীচে রাখা যেত। কিন্তু, এখন তা সম্ভব হয় না। এই ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ লাগানো দরকার ছিল। কিন্তু, তা না করে কেন কোচের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হল, তা বোঝা যাচ্ছে না। যাত্রীদের আরও অভিযোগ, নতুন কোচের জানালাগুলিও ততটা উন্নতমানের নয়। ঠিকমতো হাওয়া ঢোকে না। গ্রীষ্মকালে যাতায়াত করতে সমস্যা হবে। কোচের বদল না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কোলফিল্ড আসানসোল ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। ধানবাদ থেকে ছেড়ে আসা এই ট্রেনটিতে নিত্যযাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকে। অনেকেই দুর্গাপুর থেকে এই ট্রেনে চড়ে কলকাতায় অফিস যান। আবার এই ট্রেনে ফিরে আসেন। রেলমন্ত্রক সম্প্রতি যাত্রীদের মন জয় করতে এই ট্রেনের কোচগুলিকে নতুনভাবে সাজিয়েছে। তবে তা নিয়ে নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ বেড়েছে।