বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
সিএমওএইচ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, এক সদ্যোজাতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বাধে। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। পুলিসকে খবর দেওয়া হলে তারা হস্তক্ষেপ করে। বিএমওএইচ আরিফ হাসান বলেন, প্রসূতি মৃত সন্তান প্রসব করেছিলেন। তারপরই পরিবারের লোকজন আমাদের কর্মীদের মারধর করে। আমরা থানায় এফআইআর করছি। গাফিলতি হয়েছে কি না দেখার জন্য শিশুটির ময়না তদন্ত করা হবে। বাড়ির লোকেরা অবশ্য ময়না তদন্ত করাতে চান না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সত্যপুর পঞ্চায়েত এলাকার রাধাকন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শান্তনু সিংহের স্ত্রী রূপা সিংহ সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভরতি হন। দুপুরে পুত্রসন্তান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় সন্তানটি। বাড়ির লোকের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রথমদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে বাড়ির লোকজন থানায় যাচ্ছি বলে চলে যায়। পরে তারা আরও লোকজন নিয়ে ফিরে এলে উত্তেজনা বাড়ে। অভিযোগ, নিরাপত্তার কাজে যুক্ত ঠিকাকর্মীদের সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। একসময় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। ভয়ে চিকিৎসক, নার্সরা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।
এই ঘটনার পরই বাড়ির লোকজন প্রতিবেশীদের নিয়ে হাসপাতালের সামনে পথ অবরোধ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলে। পরে পুলিস এলে অবরোধ উঠে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক সেলিমা খাতুন বিবি হাসপাতালে আসেন। তিনি দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। তিনি বলেন, মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ হগেছে। বাড়ির লোকজন ভুল বোঝার কারণে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে সব মিটে গিয়েছে।
শান্তনুবাবু বলেন, এদিন সকালে আমি স্ত্রীকে সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভরতি করি। দুপুরের দিকে তাঁর ব্যথা ওঠে। আমার মা তার কাছে ছিলেন। বারবার নার্সদের ডাকা হলেও তাঁরা আসেননি। এক সময় বাচ্চার মাথা বাইরে বেরিয়ে যায়। তখন চিৎকার চেঁচামেচি করলে তাঁদের টনক নড়ে। তাঁরা এসে সন্তান প্রসব করানোর কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চাটি মারা যায়। তিনি বলেন, সময়ে চিকিৎসক এসে সন্তান প্রসব করানোর ব্যবস্থা করলে তার মৃত্যু হতো না। তিনি বলেন, সন্তান প্রসবের পরেও শিশু চিকিৎসক আসেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়না তদন্ত করতে চাইছে। কিন্তু আমরা তা চাই না।
শান্তনুবাবুর প্রতিবেশী বংশী সিংহ বলেন, শিশু মৃত্যুর পর আমরা প্রথমে থানায় যাই। পরে বিএমওএইচের সঙ্গে দেখা করব বলে হাসপাতালে ফিরে আসি। যখন ঘটনা ঘটে, তখন তিনি ছিলেন না। আমরা আসার পর নিরাপত্তকর্মীরা আমাদের বাধা দেন। এনিয়ে বচসা বাধলে আমাদের মারধর করা হয়। মেরে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা হাসপাতালের সামনে পথ অবরোধ করি।
সন্ধ্যা পর্যন্ত সন্তানটি হাসপাতালেই ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিসও ছিল। বংশীবাবু বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কোনও কথা হয়নি। শান্তনুবাবু বলেন, আমরা সন্তানটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাই। কখন পাব জানি না।