বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবক বিভিন্ন খাদান থেকে কয়লা কুড়িয়ে এনে বিক্রি করতেন। বুধবারও সাইকেলে কয়লা তুলে আনার পর তা বিক্রি করে বাড়ি ফেরেন। বিকেলের দিকে তিনি অন্যান্য দিনের মতোই জেকে নগরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সন্ধ্যার সময় তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ পর আবার বেরিয়ে যান। তবে, তিনি সেই সময় কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে বলে যাননি। পুলিস তদন্তে নেমে জেনেছে, ওই যুবক প্রায়দিনই নেশা করতে যেতেন। নেশার ঠেকে বসেই কোনও বিষয় নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিস। মৃত যুবকের ভাই কয়েকদিন আগেই গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
মৃতের আরএক ভাই হালচাল পাশোয়ান বলেন, দাদার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কখনও কয়লা বিক্রি করে, আবার কখনও দিনমজুরি করে তাঁর সংসার চলত। ওর বাড়িতে স্ত্রী ও ২৫দিনের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। কেন যে ওকে দুষ্কৃতীরা খুন করল, তা বোঝা যাচ্ছে না। জেকে নগর বাজার থেকে সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফেরার পর ওকে ফোন করে কেউ ডাকে। তারপরেই ও তড়িঘড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল। মৃতের বন্ধু শিব কুমার, সত্য পাশোয়ান বলেন, ও খুব শান্ত ছিল। কারও সঙ্গে তেমন শত্রুতা ছিল না। বুধবার রাতে ওর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়নি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার জল দপ্তরের মেয়র পরিষদ সদস্য পূর্ণশশী রায় বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস খুনিরা গ্রেপ্তার হবে। রানিগঞ্জ এবং জামুড়িয়া থানার পুলিস এই ঘটনার তদন্ত করছে। বাইরের লোকজন বোগরাচটিতে আসছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়টিও পুলিসকে দেখতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসে এই বোগরাচটিতে এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ, পুলিসের গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই পাড়ায় ফের যুবক খুন হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ছ’ মাস আগেও বোগরাচটির এক বধূকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এই এলাকায় নেশা করার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে দুষ্কৃতীরা জমায়েত হয়। মদ, গাঁজা এবং হেরোইনের মতো নেশার উপকরণ এখানে সহজেই পাওয়া যায়। বাইরের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এলাকারও অনেকেই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে। সেকারণে বোগরাচটিতে অপরাধ বাড়ছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।