বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুলিস ও পবিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে কলেজে ভর্তির সময় রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্পের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে পায়েলের পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব থেকে ধীরে ধীরে তারা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। তাদের সম্পর্কের কথা পায়েল বাড়িতেও জানান। প্রথমে ওই যুবককে পায়েলের বাড়ির লোকজন পছন্দ না করলেও মেয়ের ইচ্ছের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাঁরা সম্পর্ক মেনে নেন। পায়েলের পিসি মিঠু ভৌমিক বলেন, পায়েলকে আমি নিজের মেয়ের মতোই ছোটবেলা থেকে মানুষ করেছি। ছোট থেকেই পায়েল আমাকে সব কথা জানাত। ওই ছেলেটির সঙ্গে পায়েলের সম্পর্কের কথা আমরা জানতাম। ছেলেটি বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িতেও এসেছে। হঠাৎই ওই যুবক পায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তা মানতে না পেরেই পায়েল আত্মহত্যা করেছে।
পায়েলের ঘনিষ্ঠরা জানান, পায়েল খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিলেন। ছেলেটি তেমনভাবে কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তার কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই নানা অছিলায় টাকা আদায় করত ছেলেটি। পায়েলকে নিয়ে একাধিক জায়গায় ঘুরতেও যেত। সম্পর্কের কথা সবারই জানা ছিল। কিন্তু, হঠাৎই ওই যুবক অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই কারণেই পায়েলের সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্ক অস্বীকার করে সে। ওইদিন সন্ধ্যায় যুবকটি তার নয়া সম্পর্ক ও ঘনিষ্টতার কথা বোঝানোর জন্য নতুন প্রেমিকার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ছবি তুলে পায়েলের মোবাইলে পাঠায়। সেই ছবি দেখার পরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পায়েল। এরপরই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পায়েলের মা কাকলি দেবনাথ বলেন, ওই সন্ধ্যায় আমরা সবাই পাশের ঘরে ছিলাম। এমন হবে ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি। ছেলেটি আমার মেয়ের কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই টাকা নিত। আমার মেয়েকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় মেয়ে তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। আমরা চাই, ছেলেটির কড়া শাস্তি হোক। এদিকে হাসিখুশি ওই কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়েছে। বন্ধুবান্ধব থেকে পরিচিত মহল, সকলেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তারা ছেলেটির শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। ছাত্রীর বাবা সুখেন দেবনাথ বলেন, মেয়ের মৃত্যুর একদিন পর রানাঘাট থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছি। ওই যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।