যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
শনিবার সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত লালবাজার এই দাগিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানাতে পারেনি। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কলকাতার গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠিকে বারবার ফোন ও মেসেজ পাঠানো হলেও সাড়া মেলেনি। ফলে এই দাগিদের বাইরে রেখেই, আজ ভোট হতে চলেছে কলকাতা শহরে। ফলে সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটে কলকাতা শহরে হিংসার আশঙ্কা রয়েই গেল।
এবার শুধু কলকাতার জন্য ১৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। শহরের ১৫৭৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৪৭৫৫টি বুথে এবার ভোট হবে। প্রতিটি বুথে, অর্থাৎ ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চারজন থেকে সর্বাধিক ২৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও প্রতিটি বুথে ভোটারদের লাইন ঠিক করার জন্য কলকাতা পুলিসের লাঠিধারী হোমগার্ড বা কনস্টেবল থাকবে।
কলকাতা পুলিসের ন’টি ডিভিশনের ন’জন ডিভিশনাল ডিসি ছাড়াও ১৮ জন অতিরিক্ত ডিসি আজ রাস্তায় নামছেন। এই ২৭ জন ডিসির নেতৃত্বে ভোটে শান্তি রক্ষার জন্য ২৯১ জন ইন্সপেক্টর, ১২৬৫ জন সাব ইন্সপেক্টর, ২৩৩০ জন সশস্ত্র পুলিস (কনস্টেবল বা হোমগার্ড অথবা এনভিএফ মিলিয়ে), টিয়ার গ্যাস সহ ২০০ হোমগার্ড বা কনস্টেবল, লাঠিধারী পুলিস কর্মী ২৭০৭ জন মোতায়েন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ৫৮২ মহিলা কনস্টেবল থাকছে। কলকাতার অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার-১ তথা ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম নিজে লালবাজার কন্ট্রোল রুম থেকে ভোট পরিচালনা করবেন। ভোট চলাকালীন কন্ট্রোল রুমে থাকার কথা রয়েছে পুলিস কমিশনার ডাঃ রাজেশ কুমারেরও।
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে কলকাতায় এবার ১৭৮টি কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি থাকছে। অর্থাৎ শহরে থানা পিছু গড়ে দুটি করে কিউআরটি থাকছে। ভোটে হিংসার খবর আসা মাত্র ৫-৭ মিনিটের মধ্যে কিউ আর টি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। এছাড়াও হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ৭৫টি আরটি মোবাইল, ২৭৪টি সেক্টর মোবাইল সকাল থেকেই কলকাতায় টহল দেবে। এছাড়াও, ফি বছরের মতো কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং এসি (এআরএস) সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দাদের একাধিক টিম শহরের উত্তেজনাপ্রবণ ও স্পর্শকাতর এলাকায় সাদা পোশাকে নজরদারি চালাবে।