নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের আওতাধীন বিধাননগর বিধানসভা, রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা, রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা এলাকায় ইভিএম বিতরণ করা হল বিধাননর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে। শনিবার ওই কলেজ চত্বরে বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা এসে ভোটের দায়িত্ব বুঝে নেন। কলেজ চত্বরে তাঁবু খাটিয়ে বিভিন্ন কাউন্টার করা হয়েছিল। সেখান থেকে ইভিএম, ভিভিপ্যাট বিতরণ করা হয়। শনিবার যা নিয়ে দিনভর সরগরম ছিল এই কলেজ চত্বর। তবে বিধাননগর কলেজ চত্বর সরগরম থাকলেও সল্টলেকে অবশ্য এদিন ভোটের উত্তাপ সেভাবে চোখে পড়েনি। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলও চোখে পড়েনি।
এদিন বিধাননগর গভর্নমেন্ট কলেজ চত্বরের চার পাশে সব দিকের রাস্তায় সাধারণ যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকটা ছুটির দিনের মতো দেখাচ্ছিল ওই চত্বর। চার দিকের রাস্তাগুলিতে একের পর এক বাস, ছোট গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সব গাড়িতে করে ভোটকর্মীদের এদিন গণনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এখান থেকেই ফার্স্ট পোলিং অফিসার, সেকেন্ড পোলিং অফিসার ও থার্ড পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসাররা দায়িত্ব বুঝে নেন। কলেজের সামনে বড় করে তিনটি ফ্লেক্সে বিধানসভা ভিত্তিক পোলিং স্টেশনগুলির নাম দেওয়া ছিল। ভোট কর্মীরা সেখানে লেখা সিরিয়াল দেখে তা জেনে নেন। সেখানেই লাইন দিয়ে ভোট কর্মীরা খাবার খান। অনেককে দেখা যায়, ইভিএম বক্সে মাথা রেখে জিরিয়ে নিচ্ছেন।
বাগুইআটি হিন্দুপীঠ স্কুলের শিক্ষক সুকান্ত বসাক এবার বিধাননগর বিধানসভা এলাকার সুকান্তনগর বিদ্যামন্দির ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার। এদিন বললেন, ভোট কেন্দ্রে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাই প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব। এরজন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার রুহুল কুদ্দুস মোল্লা জানালেন, আগে ১০-১২ বার ভোটের ডিউটি করেছি। এবার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পড়েছে। এবার রাজারহাটে ডিউটি পড়েছে। মধ্যমগ্রামের কদমপুকুর এফপি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মৃণালকান্তি মণ্ডল বললেন, তাঁর ডিউটি পড়েছে বিধাননগর বিধানসভা এলাকায়। খড়দা শিশুশিক্ষা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক মৃণালকান্তি ভৌমিক জানালেন রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা এলাকার রেকজোয়ানি তরুণ সঙ্ঘে তাঁর দায়িত্ব পড়েছে।