যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এই কারণেই কলকাতা দক্ষিণ, উত্তর, ডায়মন্ডহারবার ও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ১১টি বিধানসভা এলাকায় কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে শাসকদলের ব্লক নেতাদের নিজের ওয়ার্ডে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। দলের শীর্ষনেতাদের কথায়, গত বিধানসভায় ১০৯টি ওয়ার্ডে এগিয়েছিলাম। অথচ, বর্তমানে ক্ষমতায় আছি ১২৪টি ওয়ার্ডে। এই ১৫টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে থাকার ঘটনাটিকে খুব একটা হালকাভাবে নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। যার জন্যই এবার নির্বাচন শুরুর থেকেই শাসকদলের নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, যে ওয়ার্ড দলের দখলে রয়েছে, সেখানকার কাউন্সিলাররা এবং যেখানে বিরোধী দলের ভূমিকা রয়েছে, সেখানকার ব্লক নেতাদেরকে এলাকাবাসীর সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ থাকতে হবে। এলাকার মধ্যেই তাঁদের কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। সেই কাজ কতটা করতে পেরেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা, তার পরীক্ষা আজ, রবিবার। যদিও কলকাতা জেলার শাসকদলের নেতাদের আশা, শহরজুড়ে যে উন্নয়ন যজ্ঞ হয়েছে, তাতে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৫টিতেই এগিয়ে থাকবেন তাঁরা। শাসকদলের দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমারের কথায়, আগামী বছর পুরসভা নির্বাচন। তাই এটা হল সেমিফাইনাল। কাউন্সিলারদের যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সিংহভাগই পালন করেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খামতিও নজরে এসেছে। যা নিয়ে ভোট পরবর্তী সময়ে আলোচনা হবে।
বর্তমানে কলকাতা পুরসভায় ক্ষমতাসীন রয়েছে তৃণমূল। তাদের ১২৪ জন কাউন্সিলার। অপরদিকে, প্রধান বিরোধী দল বামেদের ১৩ জন কাউন্সিলার, বিজেপির পাঁচজন এবং কংগ্রেসের দু’জন কাউন্সিলার। শাসকপক্ষের দাবি, এবার নির্বাচন অনেক কঠিন। কারণ বিজেপির বড়সড় প্রভাব পড়েছে দলের অভ্যন্তরে। কেউ কেউ দলে থেকেও ‘বকলমে’ পদ্ম শিবিরের হয়েই ভোট করিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সব মিলিয়ে লড়াই যথেষ্ট রয়েছে। উত্তর কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কলকাতা উত্তরের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কলকাতায় নির্বাচনের সাফল্য নির্ভর করে কাউন্সিলারদের উপরে। আমাদের দলের কাউন্সিলাররা যেভাবে সারাবছর কাজ করেছেন, মানুষের পাশে থেকেছেন, তাতে আমরা জেতা নিয়ে ভাবছি না। কিছু এলাকা আমাদের দখলে নেই। তবে সেখানেও এবার আমরা এগিয়ে থাকব।
গত বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুরের মতো ‘প্রেস্টিজিয়াস’ কেন্দ্রে রাজ্যের মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত হেরে যাওয়ায় সেখানকার নেতাদের উপরে রুষ্ট হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেকারণেই তাঁর অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক অরূপ বিশ্বাসকে যাদবপুরে দলের পর্যবেক্ষক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাউন্সিলাররাও এখানে অনেকটাই সঙ্ঘবদ্ধ। যাদবপুরের শাসকদলের এক কাউন্সিলারের কথায়, বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুরের ১০টি ওয়ার্ডের সবক’টিতেই হেরেছিলাম আমরা। কিন্তু এবার ১০টির মধ্যে আটটিতেই আমরা এগিয়ে থাকব।