সম্প্রতি ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে হয়ে গেল তিন দিনের ভ্রমণ মেলা— ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার সামার। দ্বিতীয় বছরের এই ভ্রমণ মেলায় প্রধান আকর্ষণ ছিল জম্মু-কাশ্মীরের স্টল। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে পর্যটন ব্যবসা ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই গ্রীষ্মের মরশুম শুরুর আগে পর্যটন ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে সেখান থেকে ছুটে এসেছেন প্রায় ৪০টি পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধি। তাঁদের লক্ষ্য বাংলার পর্যটক। এক পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধি তো হিন্দি মিশ্রিত বাংলায় বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, কাশ্মীরে কোন সমস্যা নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে ওয়াশিম বশির বলেন, ‘দশ বছর আগেও তো মোবাইলের সংযোগ ছিল না কাশ্মীরে। তখনও তো কোন অসুবিধা হয়নি। এখনও ধরে নিন মোবাইল হীন কাশ্মীরই রয়েছে। আপনাদের কোনও সমস্যা হবে না।আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। উপত্যকার সৌন্দর্যও সেই একই রকম আছে।
স্বর্গের আর এক নাম কাশ্মীর।’
দেওয়ালে পিঠ ঠিকে যাওয়া পর্যটন ব্যবসায়ীরা এই মেলায় মরিয়া চেষ্টা কাশ্মীরের ট্যুরিজমকে বাঁচানোর। এছাড়াও মেলা জুড়ে ছিল অসংখ্য পর্যটন ব্যবসায়ীর স্টল। যাঁরা সারা বিশ্বকে নিয়ে এসে হাজির করেছিলেন এক ছাদের তলায়। এ প্রসঙ্গে ফেয়ার ফেস্ট মিডিয়ার সিএমও গাজনফার ইব্রাহিম বলেন, ‘জুলাইয়ের মূল মেলায় রাজ্যের পর্যটন দপ্তরগুলি যোগ দিলেও সামার এডিশনে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি এজেন্সিদের। যাদের সামার ডেস্টিনেশন আছে।’ তিন দিনের মেলায় পর্যটকদের পাশাপাশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও হাজির ছিলেন।