উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই বিষয়টি এমনই যার জুড়ি মেলা ভার। কারণ, বড় বড় বিল্ডিং, ব্রিজ সহ দেশের পরিকাঠামো উন্নয়ন তো আর বন্ধ হবে না। তাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কমবে না। কিছুদিন আগেই উদ্বোধন হল ধনধান্য অডিটোরিয়াম। সরকারি এই প্রেক্ষাগৃহ বাইরে থেকে শঙ্খর মতো দেখতে। কিংবা বিশ্ব বাংলা গেট, যা ইতিমধ্যেই শহরের সিগনেচার হয়ে গিয়েছে। এটা দেখতে দূরদুরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। এই সব কিছুর পিছনে রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের মস্তিষ্ক। প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন সিভিল বা তার শাখা বিষয় স্ট্রাকচারাল এবং কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পেশাদাররা। ভালো কাজ জানা ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা তাই থাকছেই।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিল্প উত্পাদনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এখানেই দরকার হয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের। শহরের একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলছিলেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে তুমুল চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে। এখন মেকানিক্যাল নিয়ে পড়লেও পরে চাকরির ক্ষেত্রে কিংবা গবেষণার ক্ষেত্রে যে কেউ চাইলেই স্ট্রিম পরিবর্তন করতে পারেন। কেউ যদি কম্পিউটার বা ডেটা সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে চান, সেদিকেও যেতে পারেন। কাজেই এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা সবসময় তুঙ্গে থাকে। শুধু তাই নয়, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও যথেষ্ট চাকরির সুযোগ রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন অধ্যাপকরা।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: যা কিছু হয়ে যাক, ওষুধের চাহিদা কখনওই কমবে না। আর সেই কারণে খোঁজ পড়বে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের। বর্তমানে ভারতের ওষুধ শিল্প ৬০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে। ভারতীয় অর্থমূল্যে তা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে তার দ্বিগুণেরও বেশি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ফলে বোঝাই যায়, এই ক্ষেত্রে কত ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন পড়বে। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা এখানেই থেমে থাকেন না। তাঁদের চাহিদা রয়েছে পেট্রোকেমিক্যাল, ব্যাটারি, খনি, বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রভৃতি উজ্জ্বল ক্ষেত্রগুলিতেও।
ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন: মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ—এসব ছাড়া কি এক মুহূর্ত বেঁচে থাকা যায়? এগুলো থাকলে আবার প্রয়োজন ওয়াইফাই-ইন্টারনেটের। অর্থাত্, ইলেকট্রনিক্স হল, তার সঙ্গে দরকার কমিউনিকেশন। এইসবকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিকল্প রোজগারের পথ। ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ৭০ কোটির বেশি। প্রতিদিন সংখ্যাটা বাড়ছে। ভারত এতদিন ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, সেমিকন্ডাক্টর প্রভৃতির জন্য চীনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকত। ভবিষ্যতে ভারত নিজের চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাও নিয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ কাঁচামাল (রেয়ার আর্থ মেটেরিয়াল) উত্তোলনের উপরও জোর দিচ্ছে ভারত সরকার। দেশে স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে ভারত পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেলে এই ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা আরও বাড়বে। একটা সময় আসতে চলেছে যখন স্রেফ অ্যাসেম্বলিং নয়, প্রতিটি যন্ত্রাংশই ভারতে উৎপাদনের পরিবেশ তৈরি হবে। আরও চাহিদা বাড়বে এই ইঞ্জিনিয়ারদের।
ইলেকট্রিক্যাল এবং পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং: বিদ্যুত্ ছাড়া সভ্যতা চলবে কীভাবে? ঘর-গৃহস্থালি হোক কিংবা বড় মাপের শিল্প। কিংবা ধরে নেওয়া যাক হাইস্পিড মেট্রো রেল থেকে বন্দেভারত। সমস্ত কিছুতেই বিদ্যুতের চাহিদা অপরিহার্য। ফলে ইলেকট্রিক্যাল বা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কখনওই কমবে না। বরং দিনে দিনে তা বাড়বে। আইআইটি খড়্গপুর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, এনআইটি দুর্গাপুর বা আইআইইএসটি শিবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির পাশাপাশি বহু ভালো মানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও উপরিউক্ত বিষয়গুলি পড়া যায়। এছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে রাজ্য সরকার পরিচালিত কলেজগুলিও রয়েছে।