নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: কৃষকদের ফসল বিক্রির জন্য জেলায় কৃষক বাজার বা কিষাণ মাণ্ডি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, অনেক জায়গায় ভৌগোলিক দূরত্ব বা অন্যান্য কারণে সেই কিষাণ মাণ্ডি কার্যত ফাঁকা পড়ে থাকছে। এবার সেই কিষাণ মাণ্ডিগুলিকে কৃষকদের স্বার্থে অন্যভাবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে পুরুলিয়া নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। এই জেলায় ১৩টি কিষাণ মাণ্ডি রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তারমধ্যে ৯টি কৃষক বাজারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু, ঝালদা, জয়পুর, হুড়া ও পুরুলিয়া ২ ব্লকের কৃষক বাজারে সেভাবে কৃষকরা আসছেন না। সেখানে যাতে কৃষিভিত্তিক বিকল্প কিছু করা যায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই সেখানে কৃষক বাজারে কৃত্রিমভাবে মাছচাষের জন্য হাপা তৈরি করা হচ্ছে। আপাতত জয়পুর, ঝালদা এই দুটো কৃষক বাজারে এটা শুরু হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি এর জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে দিচ্ছে। মাছচাষ করার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে মৎস্য দপ্তরের অধীনে। শুক্রবার পুরুলিয়া জেলায় নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব অসিত বর এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ১২ ফুট বাই ৮ ফুটের চৌবাচ্চা করে কই হাপা তৈরি হচ্ছে ঝালদা ও জয়পুর কৃষক বাজারে। সেখানে বিকল্প হিসেবে আমরা অন্য কিছু না করে কৃষকদের উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ওই উদ্যোগ নিচ্ছি। ভবিষ্যতে ওই কৃষক বাজারগুলিতে প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে কাজে লাগানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, এমনিতে কৃষক বাজারে কৃষকদের সবজি যাতে ভালোভাবে রাখতে পারেন, তার ব্যবস্থা আছে। সেখানে কৃষকদের সচেতনতা কর্মসূচির জন্য মিটিং হল আছে। কেউ স্টল দিতে চাইলে, তার ব্যবস্থা আছে। শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে। আচ্ছাদন রয়েছে। অথচ সেগুলি যেখানে কৃষকদের কাজে আসছে না, সেখানে নতুন ভাবনা নেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক চাইছেন সেখানে যা কিছু করা হোক, তাতে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।
পুরুলিয়া জেলায় মৎস্য দপ্তরের সহ অধিকর্তা গুরাইচাঁদ সিং এদিন জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজ চলছে। সরকারি উদ্যোগে এটা করা হচ্ছে। আমরা সহায়তা করছি। সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং যাঁরা এই কাজ করবেন, তাঁদের সম্যক জ্ঞান বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। তারপর তাঁরা নিজেরাই বড় আকারে করতে পারবেন। আশা করা যায়, চার-পাঁচ মাস পর তাঁরা এখান থেকে নতুন প্রোডাকশন দিতে পারবেন। তাতে তাঁদের আয় হবে।