Bartaman Patrika
 
 

মাঠ থেকে কাটার পর বোরো ধান ঝাড়াইয়ের কাজ চলছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র

‘বিষমুক্ত’ ফসল উৎপাদনে বাড়ছে জৈব কৃষির চাহিদা, জেলায় জেলায় তৈরি হচ্ছে জৈবগ্রাম

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বিষমুক্ত’ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে জৈব কৃষির চাহিদা বাড়ছে। পরম্পরা কৃষি বিকাশ যোজনায় তৈরি হচ্ছে জৈব গ্রাম। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব উপায়ে ফসলের রোগপোকা দমনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় গড়ে উঠছে জৈবহাট। সেখানে সরাসরি চাষিরা রাসায়নিক বিষমুক্ত ফসল বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। ভিড়ও বাড়ছে ক্রেতাদের।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রচুর ফলন পাওয়ার আশায় কৃষকদের অনেকেই দিনের পর দিন চাষের জমিতে যথেচ্ছ হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে এসেছেন। এর ফলে মাটি তার স্বাস্থ্য হারাতে বসেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাটির স্বাভাবিক গঠন, জলধারণ ক্ষমতা। কমছে মাটিতে বসবাসকারি উপকারি জীবাণুর সংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে মাটি পুরোপুরি বন্ধ্যা হয়ে যাবে। এর থেকে বাঁচতে একমাত্র পথ জৈব কৃষি।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জৈব কৃষির মূল কথা হল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক বা রোগনাশক বা আগাছানাশক ব্যবহার না করা। স্থানীয় প্রযুক্তি ও সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন। মাটিতে বসবাসকারি উপকারি জীবাণুর সংখ্যা এবং মাটির মধ্যে জৈব বস্তুর পরিমাণ বৃদ্ধি করা। মাটির উর্বরতা ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বজায় রাখা। শুধু চাষবাস নয়, মিশ্র খামার পদ্ধতি অর্থাৎ একইসঙ্গে কৃষি, প্রাণীপালন ও মাছচাষ প্রভৃতির সমন্বয় ঘটানো। কৃষি বিজ্ঞানীদের দাবি, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে জৈব কৃষির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। জৈব পণ্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশের পক্ষে নিরাপদ। জৈব ও জীবাণুসার প্রয়োগের ফলে মাটিতে বা ফসলে রাসায়নিক দূষণ ঘটে না।
জমিতে প্রয়োগ করা রাসায়নিক সারের অপচয় অনেক বেশি। তুলনায় জৈব ও জীবাণুসার কম পরিমাণে লাগে। পতিত জমিকে জৈব কৃষির আওতায় এনে চাষের এলাকা বাড়ানো যায়। জৈব কৃষির ফলে জীব বৈচিত্র রক্ষা পায়। মাটির উর্বরাশক্তি বজায় রেখে টেঁকসই কৃষি ব্যবস্থার জন্য জৈব কৃষিই একমাত্র বিকল্প পথ বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
অ্যাজোলা, ধইঞ্চা চাষ করে জমিতে মিশিয়ে দিতে পারলে মাটির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি পায়। জৈব কৃষিতে তরল সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাছ সহজেই তরল সার গ্রহণ করতে পারে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কয়েকটি পরীক্ষিত ও সুপারিশকৃত জৈব তরল সার বলতে সঞ্জীবক, জীবাম্রুত, পঞ্চগব্য, সমৃদ্ধ পঞ্চগব্য প্রভৃতি। ২০ কেজি গোবর, ১০ লিটার গোমূত্র, ৫০০ গ্রাম ঝোলাগুড়, ৩০ লিটার জলে গুলে আবদ্ধ ড্রামে ১০দিন ধরে পচানো হয়। তার পর ওই মিশ্রণ জলে মিশিয়ে ২০ গুণ বৃদ্ধি করে তৈরি হয় সঞ্জীবক তরল সার। জীবাম্রুত তৈরি করার পদ্ধতি, ১০ কেজি গোবর, ১০ লিটার গোমূত্র, ২ কেজি ঝোলাগুড়, ২ কেজি গমের আটা, ২ কেজি জৈব বস্তু সমৃদ্ধ মাটি ২০০ লিটার জলে ৫-৭ দিন পচানো হয়। পচানোর সময় দিনে তিনবার করে দ্রবণটিকে নাড়ানো হয়। সেচের জলের সঙ্গে মিশিয়ে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। একটি ফসলে তিনবার এই মিশ্রণ প্রয়োগ করা যায়। প্রথমবার বীজ বোনার আগে, দ্বিতীয়বার বীজ বোনার ২০দিন পর, তৃতীয়বার ৪৫ দিন পর। পঞ্চগব্য তৈরির পদ্ধতি, ৪ কেজি গোবর গোলা, ১ কেজি টাটকা গোবর, ৩ লিটার গোমূত্র, ২ লিটার গোরুর দুধ, ২ লিটার দই, ১ কেজি মাখন তেল মিশিয়ে আবদ্ধ পাত্রে ৭দিন পচাতে হবে। প্রত্যেকদিন ২ বার করে মিশ্রণটি নাড়তে হয়। ২০ লিটার পঞ্চগব্য জলে গুলে ৬০০ লিটার মিশ্রণ তৈরি করে ১ একরে স্প্রে করা হয়। এটি দিয়ে বীজ শোধনও করা যেতে পারে। সমৃদ্ধ পঞ্চগব্য তৈরির পদ্ধতি হল, ১ কেজি টাটকা গোবর, ৩ লিটার গোমূত্র, ২ লিটার গোরুর দুধ, ২ লিটার দই, ১ কেজি দেশি ঘি, ৩ লিটার আখের রস, ৩ লিটার ডাবের জল, ১২টি পাকা কলা একসঙ্গে মিশিয়ে আবদ্ধ পাত্রে ৭দিন ধরে পচাতে হয়। ২০ লিটার এই মিশ্রণ ৬৫০ লিটার জলে গুলে এক একরে স্প্রে করতে হবে।
জমিতে গোবর সার, খামার সার, কম্পোস্ট সার, কেঁচোসার, নানা ধরনের খোল, হাড়ের গুঁড়ো প্রভৃতি প্রয়োগ করেও মাটির উর্বরাশক্তি বাড়ানো যেতে পারে। প্রতি একরে ১০ টন অ্যাজোলা মাটিতে মিশিয়ে দিলে ২৫ কেজি নাইট্রোজেন জমিতে যোগ হয়। জীবাণুসার প্রয়োগ করেও ২০-৩০ কেজি নাইট্রোজেন ও ১২-২০ কেজি ফসফরাস গাছের গ্রহণযোগ্য অবস্থায় এনে দেওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, ধইঞ্চা চাষে প্রতি একরে ৭০ কুইন্টাল জৈব সার ও ২০-২৫ কেজি নাইট্রোজেন, শন চাষে সমপরিমাণ জৈবসার ও ১৪-১৫ কেজি নাইট্রোজেন যুক্ত হয়। জৈব কৃষিতে কচুরিপানা, খড়, তুষ প্রভৃতি জমির উপর জৈব আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন জমিতে আগাছা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমনই সার, জলের অপচয় রোধ হয়। ফলে পরিচর্যা জনিত খরচ কমে। তাছাড়া জৈব আচ্ছাদন ধীরে ধীরে পচে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে মাটিতে জৈব পদার্থের জোগান বৃদ্ধি পায়। এবং ফসল সেই খাদ্যোপদান সংগ্রহ করতে পারে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জৈব কৃষিতে একটি খামারে একক ফসলের গুরুত্ব নেই। প্লট ভাগ করে অন্তত ৭-৮ রকমের ফসল লাগানো উচিত। তার মধ্যে একটি অবশ্যই ডাল জাতীয় ফসল থাকতে হবে। উচ্চ খাদ্য চাহিদাযুক্ত ফসলের আগে ও পরে ডাল চাষ করতে পারলে ভালো। রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষতিকর দিকের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন উদ্ভিদজাত কীটনাশক ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে জৈব কৃষিতে। নিম, তামাক, ধুতুরা, চন্দ্রমল্লিকা, করঞ্জা, থুজা, রসুন, জোয়ার প্রভৃতি গাছের নির্যাস থেকে কীটনাশক তৈরি হচ্ছে। ফসলের বিভিন্ন পর্যায়ে জৈব প্রযুক্তি প্রয়োগ করা যায়। যেমন, বীজ শোধনে ব্যবহার করা যেতে পারে বিজাম্রুত। ৫ কেজি গোবর, ৫ লিটার গোমূত্র, ৫০ গ্রাম বাগানের মাটি, অল্প পরিমাণ গোরুর দুধ, ৫০ গ্রাম কলিচুন এবং ১০ লিটার জল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পরে তা বীজের গায়ে মাখিয়ে দিতে হবে। ওই দ্রবণে চারার শিকড় আধঘণ্টা ডুবিয়ে রেখে তুলে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে জমিতে লাগানো যেতে পারে। এতে বীজ ও চারা শোধন হয়ে যায়। হলুদ গুঁড়ো মেশানো গোমূত্র, পঞ্চগব্য নির্যাস, জীবাণুসার, ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি দিয়েও বীজ শোধন করা যায়। শস্যরক্ষায় ব্যবহার করা যেতে পারে দশপর্ণী। ৫ কেজি নিমপাতা, ২ কেজি নিশিন্দা পাতা, ২ কেজি ঈশ্বরীমূল পাতা, ২ কেজি পেঁপে পাতা, ২ কেজি গুলঞ্চ পাতা, ২ কেজি আতা পাতা, ২ কেজি করঞ্জা পাতা, ২ কেজি রেড়ি পাতা, ২ কেজি করবী পাতা, ২ কেজি মাদার পাতা, ২ কেজি কাঁচালঙ্কা, ২৫০ গ্রাম রসুন, ৩০ কেজি গোবর একসঙ্গে করে জলে মিশিয়ে আবদ্ধ পাত্রে ১০ দিন পচাতে হবে। প্রত্যেকদিন ৩বার করে ওই মিশ্রণ নেড়ে দিতে হবে। তার পর ছেঁকে ওই মিশ্রণ জলে মিশিয়ে ২০০ লিটার করতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত এই নির্যাস সংরক্ষণ করা যায়। ফসলে দয়ে পোকা, শোষক পোকা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োগ করা যেতে পারে নিমাস্ত্র। ৫ কেজি নিমপাতা, ২ লিটার গোবর, ৫ লিটার গোমূত্র একসঙ্গে মিশিয়ে আবদ্ধ পাত্রে পচাতে হবে। তার পর ওই মিশ্রণ ছেঁকে জল মিশিয়ে ১০০ লিটার করে জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে। শোষক পোকা ও শুঁটি ছিদ্রকারি পোকা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা যেতে পারে ব্রহ্মাস্ত্র। ৩ কেজি নিমপাতা, ১০ লিটার গোমূত্র, ২ কেজি আতাপাতা, ২ কেজি পেঁপে পাতা, ২ কেজি ডালিম পাতা, ২ কেজি পেয়ারা পাতা থেঁতো করে এসঙ্গে মেশানো হয়। মিশ্রণটি ফুটিয়ে পরিমাণে অর্ধেক করা হয়। ওই নির্যাস আড়াই লিটার নিয়ে ১০০ লিটার জলে মিশিয়ে তা এক একর জমিতে প্রয়োগ করলে সুফল মিলবে বলে দাবি কৃষি বিশেষজ্ঞদের।

27th  March, 2019
মিলছে না দাম, পেঁয়াজ চাষিদের মাথায় হাত

সংবাদদাতা: দাম মিলছে না। ফলে মাথায় হাত পড়েছে পেঁয়াজ চাষিদের। ৩ টাকা কেজি দরেও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা। এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো। এটা পেঁয়াজের দাম না পাওয়ার একটা কারণ হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
বিশদ

03rd  April, 2019
পলিহাউসে ক্যাপসিকামের ফলন মিলবে তিনগুণ বেশি

নিজস্ব প্রতিনিধি: পলিহাউসে ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো লাভ পাওয়া যায়। লাল, হলুদ, সবুজ, কমলা নানা রঙের ক্যাপসিকাম হয়ে থাকে। এটি ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সারাবছরই বাজারে চাহিদা থাকে। অনুষ্ঠানের মরশুমে এর দাম বাড়ে। এ রাজ্যে মূলত শীতকালীন ফসল হিসেবে ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়ে থাকে।
বিশদ

03rd  April, 2019
সুন্দরবনের তিনটি ব্লকে স্বল্প জলে জৈব পদ্ধতিতে জিওল মাছ চাষ চলছে

নবজ্যোতি সরকার: স্বল্প জলে জৈব পদ্ধতিতে জিওল মাছের চাষ করছেন উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবনের অনেকে। মিনাখা, সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লকের চাষিরা দুই থেকে আড়াই ফুট গভীরতার পুকুর খুঁড়ে শিঙি, মাগুর, কই, শোল ও ল্যাটা মাছ চাষ করছেন।
বিশদ

03rd  April, 2019
সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয়

 নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করতে পারলে সুপারি বাগান থেকে ভালো লাভ পাওয়া যায়। সাথী ফসল হিসেবে সুপারি বাগানে গোলমরিচ চাষ আরও লাভজনক। শুধু গোলমরিচ নয়, সুপারি বাগানে পান, আদা, ওল, কচু, কলা, লঙ্কা, হলুদ, সব্জি ও গাঁদা, গ্লাডিওলাস ফুলচাষ করা যেতে পারে।
বিশদ

03rd  April, 2019
ধানচাষ ছেড়ে হাইব্রিড ভুট্টার বীজ উৎপাদন করছেন নদীয়ার বহু কৃষক, বেড়েছে লাভ

বিঘায় ২ কেজির মতো স্ত্রী ভুট্টার বীজ লাগে। পুরুষ ভুট্টার বীজ লাগে ৮০০ গ্রাম। বিঘাপ্রতি ৪ কুইন্টাল হাইব্রিড ভুট্টার বীজ উৎপাদন হয়। হাইব্রিড ভুট্টার বীজ উৎপাদনে প্রায় ৬ মাস সময় লাগে। হাইব্রিড ভুট্টার বীজ উৎপাদন করতে এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য ৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। বীজ বিক্রি করে প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা আয় হয়
বিশদ

03rd  April, 2019
শখ থেকেই বাড়তি উপার্জন, ঝোঁক বাড়ছে রঙিন মাছ চাষের

ডিসকাস। দুর্লভ জাতের মাছ। বাদামি, হলুদ, নীল, লাল নানা রঙের হয়। একটি অ্যাকোরিয়ামে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী ডিসকাস যথেষ্ট। কেঁচো বা ডাফনিয়া, পালং শাকের মণ্ড এদের প্রিয় খাবার। মলি খুব জনপ্রিয়। অতি পরিচিত ব্ল্যাক মলি। উজ্জ্বল কালো। বিজ্ঞানীরা সাদা মলিও সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া কিছু মলির পাখনার রং সবুজ ও সোনালি। গোল্ড ফিশ বিভিন্ন আকৃতির হয়। কোনওটির একটি, কোনওটির দু’টি লেজ থাকে। টেট্রার রং ও পাখনার জেল্লা অসাধারণ। লাল, নীল, সাদা, সবুজ, খয়েরি, বেগুনি নানা রঙের হয়।
বিশদ

27th  March, 2019
টবেই ফলবে লাল ও চীনা বাঁধাকপি থেকে লেটুস, পার্সলে, চেরি টম্যাটো

নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেকেরই ঘরোয়া সব্জি বাগান করার শখ থাকে। উদ্যানপালন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু খোলা জমিতে নয়, টবেও প্রচলিত সব্জির পাশাপাশি অপ্রচলিত সব্জি চাষ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে টবে ব্রকোলি, লাল বাঁধাকপি, চীনা বাঁধাকপি, লেটুস, পার্সলে, পাকচই, চেরি টম্যাটো, সেলেরি খুব ভালোভাবে চাষ করা সম্ভব।
বিশদ

27th  March, 2019
টিস্যু কালচার চারায় মিলবে প্রচুর ফলন

সংবাদদাতা: প্রচুর ফলনের লক্ষ্যে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে জি-৯ কলার চারা উৎপাদন চলছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্রের আইআরডিএম ফ্যাকাল্টিতে। কোষের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে নাইট্রোজেন, পটাশ, ফসফেট, বিভিন্ন অনুখাদ্য ও নানা অ্যামাইনো অ্যাসিডে তৈরি পেস্ট।
বিশদ

27th  March, 2019
 কোকোপিটে সব্জিচাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে সুন্দরবন এলাকায়

নবজ্যোতি সরকার: সুন্দরবন অঞ্চলের বাসন্তী ও গোসাবা ব্লকে মাটির বদলে ১ থেকে দেড় ফুট পুরু কোকোপিট (নারকেলের ছোবড়া) দিয়ে তার উপর সব্জিচাষ পদ্ধতি ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। প্রথমে জমিতে মোটা পলিথিন পেতে তার উপর কোকোপিট বসিয়ে সব্জিচাষ করা হচ্ছে।
বিশদ

20th  March, 2019
 জমিচাষ থেকে ফসল তোলা, কৃষিতে বাড়ছে যন্ত্রের ব্যবহার

  নিজস্ব প্রতিনিধি: চাষের বিভিন্ন পর্যায়ে একেবারে জমি তৈরি করা থেকে শুরু করে ফসল তোলা পর্যন্ত প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। যত দিন যাচ্ছে, শ্রমিক অপ্রতুলতার কারণে চাষের কাজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বিশদ

20th  March, 2019
কম খরচেই সাজিয়ে তোলা
যেতে পারে ছাদের বাগান

 নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ি-ফ্ল্যাট কিংবা অফিসে বাগান করার শখ থাকে অনেকেরই। নানারকম হতে পারে এই বাগান। যেমন, ছাদে লন করে বা টবে বাগান। আবার ঘরে জানালার পাশে ‘উইন্ডো বাগান’। ব্যালকনিতে ঝোলানো পাত্রে বা কাচের পাত্রে বাগান।
বিশদ

20th  March, 2019
পুষ্টিগুণে ভরপুর লাল ও কালো চাল, বাজারে চাহিদা থাকায় চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, রেড রাইস ও ব্ল্যাক রাইসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়াও এই দুই ধরনের চাল লোহা, জিঙ্ক ও ফাইবার সমৃদ্ধ। এবং কম শর্করাযুক্ত। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৪০-৪২। ফলে মধুমেহ রোগীরা অনায়াসেই এই চালের ভাত খেতে পারেন। তাঁদের বক্তব্য, ব্ল্যাক রাইস তার গুণের কারণে মানবদেহ থেকে টক্সিন নির্গমণে যেমন সহায়তা করে, তেমনই হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে, ওজন কমাতেও বিশেষ কার্যকরী
বিশদ

20th  March, 2019
প্রাক খরিফে চিনা বাদাম চাষ শুরুর সময় এখনই

যেসব কৃষক প্রাক খরিফ মরশুমে চিনাবাদাম চাষ করতে চান, ট্রাক্টরের সাহায্যে তাঁদের এখনই চাষ দিয়ে জমির মাটি ওলোট-পালোট করে দিতে হবে। যাতে নীচের মাটি উপরে চলে আসে এবং উপরের মাটি নীচে চলে যায়। সূর্যালোকে মাটিবাহিত জীবাণুর সক্রিয়তা নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি এখনই কৃষককে শংসিত বীজ সংগ্রহ করে ফেলতে হবে 
বিশদ

13th  March, 2019
কৃষককে লাভের মুখ দেখাতে বাজারমুখী ফসল চাষ ও বিপণনে আবাসিক প্রশিক্ষণ

ব্রতীন দাস : কৃষককে লাভের মুখ দেখাতে বাজারমুখী ফসল উৎপাদন ও সঠিক দামে তা বিপণনের ব্যবস্থা করে দিতে মিলবে নিখরচায় তিনমাসের উন্নত আবাসিক প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে রয়েছে ২ লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান ও ব্যাঙ্কঋণের সুযোগ।
বিশদ

13th  March, 2019

Pages: 12345

একনজরে
কলম্বো ও রাষ্ট্রসঙ্ঘ, ১৪ মে (পিটিআই): ন্যাশনাল থাওহিত জামাত (এনটিজে) সহ আরও দু’টি মুসলিম চরমপন্থী মৌলবাদী সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কার সরকার। প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেনা সোমবারই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এনটিজে ছাড়া বাকি দু’টি সংগঠন হল জামাতে মিলাতে ইব্রাহিম  এবং ...

 রোম, ১৪ মে: বয়স ৩৭, ঝুলিতে রয়েছে ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেতাব। রজার ফেডেরার এখনও টেনিস উপভোগ করছেন। তিনি আরও ম্যাচ খেলতে চান। মে মাসের শেষে ফরাসি ...

সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি, ১৪ মে: ‘বাক স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকারেও হস্তক্ষেপ নয়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করে ফেসবুক পোস্ট করার অপরাধ মামলায় আজ এই মন্তব্য ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে গত ৬ এপ্রিল। কিন্তু, এখনও হাওড়া জেলায় ভোটের চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে ব্যস্ত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কোন বিধানসভা এলাকা থেকে কত লিড আসবে বা কোন বিধানসভা কেন্দ্রে ফল খারাপ হতে পারে, তা নিয়ে ব্লক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: ধর্মীয় সংস্কারক ও দার্শনিক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৯: নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থ বিজ্ঞানী পিয়ের কুরির জন্ম
১৯০৫: কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯৬৭: অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৬৫ টাকা ৭১.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৭৪ টাকা ৯২.৯৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৩ টাকা ৮০.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩১ বৈশাখ ১৪২৬, ১৫ মে ২০১৯, বুধবার, একাদশী ১৩/৫৮ দিবা ১০/৩৬। উত্তরফাল্গুনী ৫/৩৯ দিবা ৭/১৬। সূ উ ৫/০/৩৬, অ ৬/৫/১৮, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/১৩ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৮ মধ্যে।
৩১ বৈশাখ ১৪২৬, ১৫ মে ২০১৯, বুধবার, একাদশী ১০/৫১/২১ দিবা ৯/২১/২২। উত্তরফাল্গুনীনক্ষত্র ৩/২৩/৩৫ দিবা ৬/২২/১৬ পরে হস্তানক্ষত্র ৫৯/৫৮/৫১, সূ উ ৫/০/৫০, অ ৬/৬/৪২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৩/৪৬ গতে ১/১২/১ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৭/১৮ গতে ৯/৫৫/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৭/১৮ গতে ৩/৩৯/৪ মধ্যে। 
৯ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: সৎ পরামর্শ মতো চললে ভালো হবে। বৃষ: বুঝে শুনে বিনিয়োগ করলে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: ধর্মীয় সংস্কারক ও দার্শনিক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম১৮৫৯: নোবেলজয়ী ফরাসি ...বিশদ

07:03:20 PM

বন্ধ হলদিয়া বন্দর 
শ্রমিক বিক্ষোভে স্তব্ধ হয়ে হলদিয়া বন্দর। বন্দর বন্ধ হওয়াতে অচলাবস্থা ...বিশদ

10:17:37 PM

এমন নির্বাচন কমিশন জম্মে দেখিনি: মমতা
বিজেপি যা বলছে নির্বাচন কমিশন তাই করছে। এমন নির্বাচন কমিশন ...বিশদ

09:22:00 PM

 অমিত শাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: মমতা

09:17:27 PM

জরুরী সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী 

09:16:21 PM