সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ইদানীং রাজনীতির ময়দানেও দেখা যায় না তাঁকে। ২০১১-এ দাপুটে বাম নেতা ও মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে হারিয়ে রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আবহে দেবশ্রী কিন্তু রাজনীতির মঞ্চে নেই। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান তিনি। বরং অভিনয় নিয়ে নিজের পছন্দ অপছন্দের প্রসঙ্গে ফিরে আসেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘কোনওদিনই আমি ছবির সংখ্যা গুণতে চাইনি। চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছে, তারপর রাজি হয়েছি। অন্যদের তুলনায় কম কাজ করেছি। তাতে আমার আপশোস নেই। যেটুকু করেছি, ভালোবেসে করেছি। এটাই আমার তৃপ্তি।’ অনেকদিন ধরেই ছবি পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন দেবশ্রী। বললেন, ‘চিত্রনাট্য লেখার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমার স্বপ্নের প্রোজেক্ট। কোনও খুঁত রাখতে চাই না।’
ছবি ছাড়াও টেলিভিশন এবং ওটিটিতেও নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছেন দেবশ্রী। ‘সর্বজয়া’ রূপে ছোটপর্দায় ফিরেছিলেন একদা দূরদর্শন ধারাবাহিক ‘দেনাপাওনা’র ষোড়শী। কিন্তু ‘সর্বজয়া’ শেষ হওয়ার পর ফের আড়ালে অভিনেত্রী। বছর খানেক পর ফিরেছিলেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। ‘কেমেস্ট্রি মাসি’ দেবশ্রীর প্রথম ওয়েব সিরিজ। সেখানেও তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক। পুরনো জুটি মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্প্রতি শেষ করলেন ‘শাস্ত্রী’ ছবির শ্যুটিং। বড়পর্দার পরিচিত পরিসরে ফিরতে পেরে দৃশ্যতই খুশি দেবশ্রী বললেন, ‘অনেকদিন পর একটা ভালো চরিত্রে অভিনয় করলাম। আগে মিঠুনের সঙ্গে যতগুলো ছবি করছি, সবগুলোই হিট। আশা করি আমার আর মিঠুনের জুটির পুরনো রসায়ন দর্শকদের তৃপ্তি দেবে।’ তাঁর মতে, ‘সব ধরনের ছবি হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে সাহিত্য নির্ভর ছবি।’ সম্প্রতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রজনী’ অবলম্বনে তৈরি ‘আমার লবঙ্গলতা’র মিউজিক রিলিজ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সাহিত্যধর্মী ছবির পক্ষেই সওয়াল করলেন নায়িকা। বললেন, ‘আমাদের সাহিত্যের মধ্যে সিনেমার প্রচুর উপাদান আছে।’ প্রসঙ্গত, ‘আমার লবঙ্গলতা’র সুরকার প্রয়াত বাপি লাহিড়ী। সম্পর্কে আত্মীয় বাপির কথায় নস্টালজিক দেবশ্রী। ‘ওঁদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক যোগাযোগ। রানিকুঠির বাড়িতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়ার স্মৃতি আজও মনে পড়ে। বাপি নেই ভাবলেই কষ্ট হয়। আমার কত হিট ছবির গানের সুরকার বাপি,’ বলতে বলতে গলা ধরে আসে অভিনেত্রীর। ‘বাপির সুরের মধ্যে বাংলাদেশের লোকগানের পরশ থাকত। ওই মাটির টান বাপিকে সবার থেকে আলাদা করে দিয়েছিল।’