বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
আগের তুলনায় এখন ধারাবাহিকের শ্যুটিং অনেকটা আরামের জানালেন রেশমী। ‘এখন আর্টিস্ট ফোরাম থেকে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্যুটিং সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। একটা সময় ১৮ ঘণ্টা, ২২ ঘণ্টা টানা কাজ করেছি। সেই অর্থে এখন ধারাবাহিকের শ্যুটিং করাটা আরামের,’ বললেন তিনি। কাজের সময় বেঁধে দেওয়ার পর ধারাবাহিকের গুণগত মান নিশ্চয় কমে যায়নি? রেশমীর জবাব, ‘এতে ফাইনাল প্রোডাক্টের গুণগত মানও একই রয়েছে। কারও কোনও অসুবিধে হচ্ছে না। বেশিক্ষণ শ্যুট করলে যে ধারাবাহিকের গুণগত মান ভালো হবে, তা কিন্তু নয়।’
রেশমী পেশাদার অভিনেতা। বহু বছর টেলিভিশনে কাজ করছেন। থিয়েটার এবং টেলিভিশনে কাজের পদ্ধতি আলাদা। কম সময়ে টেলিভিশনের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন? রেশমী বললেন, ‘আমার কাজই অভিনয় করা। আমি যে মাধ্যমেই অভিনয় করি না কেন, সেখানে ১০০ শতাংশ দেওয়াটা আমার কাজ। থিয়েটারে চরিত্র তৈরি করতে সময় নিই। চরিত্রের জীবন আমাকে যাপন করতে হয়। আর টেলিভিশনে রিঅ্যাকশন তাৎক্ষণিক। ধারাবাহিকে আমরা চিত্রনাট্য হাতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হয়। এতদিনের অভিজ্ঞতায় একটা দক্ষতা তৈরি হয়েছে। আমার থিয়েটারের এত বছরের ট্রেনিংয়ের দক্ষতা দিয়ে আমি সহজেই আয়ত্ত করে নিতে পারি।’
প্রতিদিনই নতুন প্রজন্মের বহু অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেন রেশমী। কখনও থিয়েটারে, কখনও ছবিতে, কখনও বা টেলিভিশনে নতুনদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। নতুনরা অভিনয় সম্পর্কে কতটা সিরিয়াস? ‘কিছু ছেলেমেয়ে সিরিয়াস। তারা অনেক সময় সিনিয়রদের কাছে জানতে চায়, এই সংলাপটা কীভাবে বলব বা করব। অথবা এই উচ্চারণটা কীভাবে করব, এই বাংলা শব্দের মানে কী, জানতে চায়। আর কিছু ছেলেমেয়ে এসব প্রয়োজন মনে করে না। তারা মনে করে, অভিনয় করতে এসেছে। বড় হোর্ডিং পড়ছে। রিলস করছে। তাদের প্রচুর ফলোয়ার হতে পারে। কিন্তু আমরা দেখে নিজেরাই অনেক সময় হাসি, তাদের অভিনয়ের ‘অ’ও হচ্ছে না। আমি যেচে কাউকে কিছু বলতে যাই না। আসলে নাম, অর্থ, খ্যাতি এত ছোট বয়সে পেয়ে যাচ্ছে, ফলে তাদের শেখার আগ্রহই নেই,’ স্পষ্ট বললেন রেশমী।
ইদানীং টেলিভিশনের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার্সের বিচারে নাকি কাস্ট করা হয়। এই প্রবণতাকে স্বীকার করে রেশমী বললেন, ‘যার যত ফলোয়ার, তা বিচার করে কাজ দেওয়াটা ট্রেন্ড। আমি তো ট্রেন্ডের বিপরীতে গিয়ে কিছু করতে পারব না। আমার থিয়েটারের ছেলেমেয়েরা যখন অভিনয় করে, তাদের শেখাতে পারি। ধারাবাহিকে আমি এক পেশাদার অভিনেতা, অন্যরাও তাই। ফলে এই ধারা পরিবর্তন তো করতে পারি না।’