শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
থিমটাও বেশ প্রাসঙ্গিক। কদিন আগেই সীমান্তে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল। সেই অস্থির সময়ের কথা মাথায় রেখেই এবছর থিম রাখা হয়েছে ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’। প্রথাগত ম্যাজিক শো-এর সঙ্গে নাটক ও ম্যাজিকের ফিউশনে হবে ড্রাম্যাজিক। ‘আসলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও মতামত আদানপ্রদানের জন্য ম্যাজিক খুব কার্যকর। তাই ম্যাজিককে হাতিয়ার করেই আমরা শান্তির বার্তা দিতে চাই’, বললেন ফিমার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়।
জাদুসম্রাট পি সি সরকার বলতেন ম্যাজিক আসলে সায়েন্স আর এন্টারটেনমেন্টের মিশ্রণ। বিজ্ঞানকে এড়িয়ে কখনও ম্যাজিক হতে পারে না। সঞ্জয় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আর নেশায় ম্যাজিশিয়ান। ক্লাস সেভেনে ম্যাজিকের প্রতি ঝোঁক। পরে গৌতম গুহর কাছে হাতেখড়ি। ম্যাজিককে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহস সকলের হয় না। আর এই ম্যাজিক যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের জন্যই সঞ্জয়ের সংস্থা এই ম্যাজিক মেলা শুরু করে। পি সি সরকারকে নিশ্চয়ই আমন্ত্রণ জানান আপনারা? সঞ্জয় বললেন, আমাদের সকলের জন্যই অবারিত দ্বার। শ্রদ্ধেয় পি সি সরকার জুনিয়রকেও আগে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। সকলকেই স্বাগত।’
কী কী থাকছে এবার ম্যাজিক মেলায়? বর্ষীয়ান ম্যাজিক কিউরেটর শৈলেশ্বর ম্যাজিক মিউজিয়ামের নানা পসরা সাজিয়ে হাজির হবেন। মোহর কুঞ্জে প্রতিদিন দিনের বেলা চলবে ওয়ার্কশপ। ম্যাজিশিয়ান প্রিন্স শিলের ম্যাজিক নিঃসন্দেহে সেরা বাজি। আমেরিকা থেকে আসছেন সৌরভ বর্মন যিনি মূলত জাহাজে ম্যাজিক দেখিয়ে বেড়ান। স্ট্রিট ম্যাজিক দেখাবেন গণজাদুকর দীপক রায়চৌধুরী। থাকছে কনজ্যুরিং ট্রিক, ভেন্ট্রিলোক্যুইজম, বালির অ্যানিমেশন, আগুনের খেলা, জাগলিং, হ্যান্ড শ্যাডোগ্রাফি সহ হরেক রকম বিনোদন থাকবে। ম্যাজিকের প্রপস যাঁরা সংগ্রহ করতে চান তাঁদের জন্যও সুখবর। থাকবে প্রপসের দোকানও। পাওয়া যাবে ম্যাজিকের উপকরণ, বই, ডিভিডি। তবে ম্যাজিক মিউজিয়ামের জন্য একটা স্থায়ী জায়গা বাছার পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থার। তা বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে দেশের একমাত্র ম্যাজিক মিউজিয়াম।
তবে মেলার সেরা আকর্ষণই আর একটু হলে ভেস্তে যেতে বসেছিল। বন্দুক থেকে বেরনো গুলি দাঁতের ফাঁকে ধরবেন প্রিন্স শিল। কিন্তু সামনেই নির্বাচন। তাই কলকাতা পুলিস সমস্ত লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক বাজেয়াপ্ত করেছে। ‘আমরা কলকাতা পুলিসের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছি এই খেলা দেখাতে না পারলে কীভাবে মেলার স্পিরিট নষ্ট হতে পারে। আশা করছি অনুমতি মিলবে। এই খেলা দেখাতে অসুবিধে হবে না’, আশ্বাসবাণী দিলেন সংগঠনের এক সদস্য।
সন্দীপ রায়চৌধুরী