উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বেশ কয়েক বছর পর সারেগামাপা লি’ল চ্যাম্পে ফিরছেন। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত?
আমি তো এর আগে এই অনুষ্ঠানে অ্যাঙ্কারিং করেইছি। মাঝে ২০১৪ সালে বিচারক হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আমি আর বাচ্চাদের অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে চাইছিলাম না। তখন আমাকে চ্যানেলের তরফে বলা হয়, আপনি রাজি না হলেও তো আর অনুষ্ঠান থেমে যাবে না। কেউ না কেউ ঠিক রাজি হবেন। তবে, আমাদের মনে হয়, আপনি বিচারকের আসনে থাকলে বাচ্চাদের যত্নের সঙ্গে ‘হ্যান্ডেল’ করতে পারবেন। এই কথাটাই আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। আমি রাজি হয়ে গেলাম।
এই ধরনের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাচ্ছিলেন কেন?
যখন সঞ্চালক ছিলাম চোখের সামনে দেখেছি, এক-একটা বাচ্চা বাদ পড়ে হুহু করে কাঁদছে। বলছে মা আমায় মারবে! অনেক বিচারকও প্রতিযোগীদের সঙ্গে ঠিকমতো ব্যবহার করেননি। এতে আমি প্রচণ্ড মর্মাহত হই। আর স্থির করে নিই, বাচ্চাদের অনুষ্ঠানে আর কখনও যুক্ত হব না।
তাহলে তো এবার বিচারক হিসেবে আরও ‘বৃহত্তর’ দায়িত্ব সামলাতে হবে!
নিশ্চয়ই। প্রতিযোগীদের বাবা-মাকে বুঝিয়েছি, বাচ্চাগুলোর উপর কখনওই নিজেদের প্রত্যাশাপূরণের চাপ দেবেন না। তাছাড়া বিচারক হিসেবে আমি মনে করি, বাচ্চাই হোক বা বড়ই হোক প্রতিযোগীদের কোনওদিনই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত নয়। গান শুনে বললাম, তুমি এই হবে, ওই হবে। তোমার সঙ্গে শো করব। তারপর সব ভুলে গেলাম। একজন বিচারকের এ ধরনের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক নয়। সেদিকটাও খেয়াল রাখব।
বাবা-মায়ের প্রত্যাশাপূরণের চাপ তো নিশ্চয়ই আরও বেড়েছে?
উল্টোটা। প্রথম প্রথম রিয়েলিটি শো-এ অভিভাবকরা ভাবতেন, আমার ছেলে-মেয়ে স্টার হয়ে গেল। এখন অনেকেই বুঝতে পারেন, এই শোগুলো একটা লার্নিং প্রসেস।
আপনি যখন এই শোয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তখনকার কোনও প্রতিযোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে?
অনেকের সঙ্গেই রয়েছে। এখন তো হোয়াটসঅ্যাপ হওয়াতে আরও সুবিধা হয়েছে। ওদের কারও কারও গান ইউটিউবে শুনলে লাইক দিই। চেষ্টা করি কারও যেন মনে না হয়, শোয়ের সময় শানদা আমাদের এত ভালোবাসতেন, আর এখন বেমালুম ভুলে গিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে যে চারজন প্রতিযোগীর সঙ্গে পরিচয় করানো হল, তাদের সবারই জীবনে একটা লড়াইয়ের দিক রয়েছে। বলা হচ্ছে, লি’ল চ্যাম্পে আরও এমন নজির রয়েছে। এটা কি দর্শক-শ্রোতাদের সমবেদনা আদায়ের চেষ্টা?
মোটেও না। যখন দর্শক-শ্রোতারা তাদের গান শুনবেন, ভালোবাসবেন। তখন অনেকের মনেই জিজ্ঞাসা শুরু হয়ে যায়, এ কোথাকার বাচ্চা? এর ব্যাকগ্রাউন্ড কী? তার জন্যই এই প্রচেষ্টা। পাশাপাশি, আপনার-আমার বাড়ির বাচ্চারাও তো এদের লড়াইয়ের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হতে পারে। তবে, এটা ভাবার কোনও জায়গা নেই যে, লড়াইয়ের গল্প দিয়ে লি’ল চ্যাম্পের মঞ্চে তাদের বিচার হবে। বিচার হবে শুধু গানের উপর। কারণ দিনের শেষে ভালো গানের রেশটাই মানুষের মনে থেকে যায়।
বাংলা সারেগামাপা দেখার সুযোগ হয়?
নিশ্চয়ই। বাড়িতে সময় কাটানো মানেই বাংলা সারেগামাপা। শান্তনুদা (মৈত্র) আমায় বলেওছেন, ‘এবার দারুণ ব্যাপার-স্যাপার হচ্ছে।’ আমি বাংলা সারেগামাপার বিরাট ফ্যান।
এখনকার গায়কদের অনেককেই চলতি ট্রেন্ডসে গা-ভাসাতে দেখা যায়!
এ বিষয়টা নিয়ে আমার বেশি কিছু বলা উচিত হবে না। শুধু এটুকু বলতে পারি, ট্রেন্ডস বদলে যাবে, সময় বদলে যাবে। ভার্সেটাইল সিঙ্গার হতে না পারলে কখনওই বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়া যায় না।
আপনার ছেলেরা এখন কী করছেন?
আমার ছেলেরা এখন লম্বায় আমায় ছাপিয়ে যেতে বসেছে (হাসি)। বড় ছেলে মিউজিক প্রোডিউস করছে। আর ছোট ছেলে গজল মিউজিক, পিয়ানো আর গিটার শিখছে।
নতুন কী গান করছেন?
নতুন একটা মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে (খানিকটা গান গেয়ে শোনালেন)।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরস্কার পেলেন...
(থামিয়ে দিয়ে) দারুণ অনুভূতি। আমি রাজ্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।