উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার অভিষেক গুপ্তা বলেন, এদিন দুপুরে ঘুঘুমারির একটি ধাবা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। একটি গাড়িতে চেপে তারা এসেছিল।
এদিন দুপুরে কোতোয়ালি থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পায় ঘুঘুমারির একটি ধাবার কাছে কয়েকজন জড়ো হয়েছে। কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় সহ অন্যান্যরা গাড়িটিকে আটকে তল্লাশি শুরু করে। গাড়িতে চালক সহ পাঁচ জন ছিল। তাদের চার জনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পুলিস পেয়েছে। তবে চালকের কাছ থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সি ওমর ফারুককে পুলিস পুরনো মামলায় খুঁজছিল। তার বিরুদ্ধে আগেই সাহেবগঞ্জে বোমাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাকে চিনতে পেরে পুলিসের আরও সন্দেহ হয়। এরপর পুলিস মিজানুর রহমান, সুজন ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও গাড়ির চালক সৈয়দ আলি খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ম্যাগাজিন সহ সেভেন এমএম চারটি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক পুলিস বাজেয়াপ্ত করে। পুলিসের দাবি, তারা ডাকাতি বা অন্য কোনও অপরাধ করার জন্য জমায়েত হয়েছিল। গাড়ির চালক বিষয়টি পুলিসের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকারও করেছে। অন্যদিকে ধৃত ওমর ফারুককে এক্সপ্লোসিভ সংক্রান্ত মামলায় পুলিস খুঁজছিল। পুলিসের খাতায় সে কুখ্যাত অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে তাকে গ্রেপ্তার তাৎপর্যপূর্ণ। তবে ধৃতদের মধ্যে একজনের সঙ্গে শাসক দলের এক জনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ঠতা ও তার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপটি ওই যুবক চালাত বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিস ও শাসক দলের নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু মানতে চায়নি। তারা এনিয়ে খোঁজখবর করছে। পুলিস জানিয়েছে, হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের জেরা করা হবে। এর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। সম্ভবত তারা বড় কোনও অপরাধ করার জন্যই এলাকায় জমায়েত হয়েছিল।