উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ২টো নাগাদ রাস্তা লাগোয়া বাড়ির সামনে বসে ইউনুস টোম্যাটো খাচ্ছিল। সেই সময় মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রামের দিক থেকে লোহাপুরগামী একটি ফাঁকা ডাম্পার বেপরোয়া গতিতে সাপের মতো এঁকেবেঁকে আসছিল। ওই শিশুটি তা দেখে ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে যাবে, এমন সময় ডাম্পারের চাকা তার মাথার উপর দিয়ে গিয়ে একটি তালগাছে ধাক্কা মেরে হেলে যায়। শিশুটির মৃতদেহ কোনওভাবে চাকার সঙ্গে আটকে যায়। সেই সময় চালক গেটের কাচ ভেঙে পালানোর চেষ্টা করলেও গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে। চালককে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর গ্রামবাসীরা রাস্তার উপর হাম্প ও সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী শেখ ইসরাইল বলেন, ডাম্পারটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এঁকে বেঁকে আসছিল। চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। ছেলেকে হারিয়ে শোকগ্রস্ত গোটা পরিবার। মৃত শিশুর দিদিমা হাসনেয়ারা বিবি বলেন, গোপালচক মোড় দিয়ে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম যাওয়ার রাস্তা চলে গিয়েছে। রাস্তা নির্মাণের সময় ঠিকাদার সংস্থাকে এখানে হাম্প তৈরির জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, শোনা হয়নি। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য তিনি ঘাতক লরির চালকের শাস্তি দাবি করেছেন। এদিন খবর পেয়ে পুলিস এসে চালককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে শিশুটির দেহ চাকার সঙ্গে আটকে থাকায় পুলিস তা প্রথমে উদ্ধার করতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিকেল ৫টা নাগাদ নলহাটি থেকে ক্রেন এসে ডাম্পারটি সরিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গ্রামবাসীরা পুলিসের কাছে ওই মোড়ে রাস্তায় হাম্প বসানো ও সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়ার দাবি করে। পুলিস তাদের আশ্বাস দিয়েছে।