উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
গত বছরের আগস্ট মাস থেকে সিবিআইয়ের অন্দরে দুই প্রধান কর্তা ডিরেক্টর অলোক ভার্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার মধ্যে চরম গোষ্ঠীকোন্দল প্রকট হয়। উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল দুবাইবাসী ব্যবসায়ীর থেকে কয়েক কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে কোনও একটি তদন্তে শৈথিল্য দেখানোর। সেই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ নিয়ে গোটা সরকারের অন্দরে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়। গত ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে আচমকা একটি বিশেষ সার্কুলার প্রকাশ করে মোদি সরকার এই দুই কর্তাকেই পদ থেকে সরিয়ে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয়। এবং রাতারাতি ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয় নাগেশ্বর রাওকে। চেয়ারে বসার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নাগেশ্বর রাও একের পর এক বদলির অর্ডার ইস্যু করেন। এদিকে গোটা বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন ছিল। এরকমই এক অফিসার ছিলেন এ কে শর্মা। যিনি বিহারের মুজফফরপুরের মহিলাদের আবাসিক হোমের ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত করছিলেন। তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তিনি অভিযোগ জানান। সুপ্রিম কোর্ট তারপরই তলব করেন নাগেশ্বর রাওকে। এবং গতকাল নাগেশ্বর রাও লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী অফিসারকে বদলির আগে কেন তিনি সুপ্রিম কোর্টকে জানালেন না এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে জবাব দিতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে সর্বোচ্চ আদালত আজ এই জরিমানা ধার্য করেন আদালত অবমাননার জন্য। উল্লেখ্য, এই নাগেশ্বর রাওই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীবকুমারকে জেরার করার জন্য সিবিআই অফিসারদের পাঠিয়েছিলেন কমিশনারের বাড়িতে সম্প্রতি। আর সেই নিয়েই চরম রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।