উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
২ ফেব্রুয়ারি সর্বভারতীয় বার কাউন্সিল একটি বৈঠক করে। সেখানে প্রতিটি রাজ্যের বার কাউন্সিলকে ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত হয়, যাবতীয় দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করার জন্য তিনি যেন কাউন্সিলের তোলা দাবিসমূহ মেনে নেন। উল্লেখ্য, এদিন যখন আইনজীবীরা নিজ-নিজ রাজ্যের রাজ্যপাল, জেলা বিচারক বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে স্মারকলিপি জমা দিচ্ছেন, প্রায় সেই সময়েই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য সুখেন্দুশেখর রায় বিষয়টি সভায় উল্লেখ করেন। সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, যে ৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করার দাবি করা হয়েছে, উপরোক্ত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেই অর্থ রাজ্য বার কাউন্সিলগুলির মধ্যে ভাগ করে দেবে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। কি হবে সেই টাকায়? এক, সদ্য পেশায় যোগ দেওয়া আইনজীবীদের অন্তত পাঁচ বছর পর্যন্ত মাসে ১০ হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড প্রদান। দুই, জমি সংগ্রহ করে আইনজীবীদের জন্য আবাসন নির্মাণ। তিন, অসময়ে মারা যাওয়া আইনজীবীদের পরিবারের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। সেই সূত্রে পারিবারিক পেনশন প্রকল্প চালু করা। চার, সব আইনজীবীর জন্য ই-লাইব্রেরি গঠন। পাঁচ, বিভিন্ন কমিশনের দায়িত্বে কেবল প্রাক্তন বিচারপতিদের পরিবর্তে অভিজ্ঞ আইনজীবীদেরও নিয়োগ করার জন্য আইনি সংস্কার সাধন। ছয়, আইনজীবীদের জন্য বিমা সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি।
২ ফেব্রুয়ারির যে বৈঠক থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন আইনজীবীরা পথে নেমেছিলেন, সেই লিখিত সিদ্ধান্তের শুরুতেই বলা হয়েছে, এই বছরের ২২ জানুয়ারি বিসিআই চেয়ারম্যান এই প্রসঙ্গে যে চিঠি তথা স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে (পিএমও) দিয়েছিলেন, তাতে কোনও সাড়া দেওয়া হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের জন্য কিছুই না করার অভিযোগ হেনে ওই পদক্ষেপ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।