উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে প্রায় ১৭০০ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। এবার মাধ্যমিকের রেগুলার হিসেবে ২৪৮জন পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা পড়েছে খড়গ্রামের দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। কিন্তু রেগুলার হিসেবে পরীক্ষার্থীরা সকলেই পরীক্ষা দিতে পারলেও, এবছর পরীক্ষা দিতে পারল না ৪২জন সিসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড না আসার কারণেই এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। পরীক্ষার্থী অম্লান প্রামাণিক জানায়, শনিবার স্কুলে গিয়ে জানতে পারি, সিসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট স্কুলে আসেনি। শিক্ষকরা আমাদের সোমবার স্কুলে আসতে বলেন। সোমবার ফের স্কুলে গিয়ে ফিরে আসি। ওইদিন সন্ধ্যায় স্কুলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তথা খড়গ্রামের বিডিও’র দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী। বিডিও বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এব্যাপারে বিডিও বলেন, আমি বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু ওই স্কুলের সিসি পরীক্ষার্থীদের কোনও কাগজপত্র বোর্ডে জমা পড়েনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র বোর্ডে পাঠায়নি। সিসি পরীক্ষার্থীদের কাছে রসিদ দিয়ে পরীক্ষার ফি নেওয়া হলেও তাদের কাগজপত্র বোর্ডে জমা না পড়ার কারণেই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারল না।
এদিকে সকালে ৪২জন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে পৌনে ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। কিন্তু কোনও শিক্ষক স্কুলে হাজির না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়ে স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চলে আসেন। পরে তাঁরা কুড়াপাড়া মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধের ঘণ্টাখানেক পর সেখানে খড়গ্রাম থানার ওসি সহ বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয়। পরে সেখানে যান বিডিও। বিডিও অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্কুলে টাকা জমা দেওয়ার রসিদের কপি ও পরীক্ষার ফর্মের ফটোকপি সংগ্রহ করেন। পরে বিডিও অবরোধকারীদের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। বিডিও জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাড়গ্রামের বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মণ্ডল বলেন, যাদের কারণে এতগুলো ছাত্রছাত্রীর একটা বছর নষ্ট হল, তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। তাদের কোনওমতে ছাড়া হবে না। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে বিষয়টির তদন্ত করতে চেয়ে আবেদন করব। খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু মণ্ডল বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হল। দোষীদের ছেড়ে কথা বলা হবে না।
তবে কোনও শিক্ষক এদিন স্কুলে আসেননি। প্রধান শিক্ষক জ্যোতির্ময় বসুর মোবাইল পরিষেবা সীমার বাইরে থাকায় বক্তব্য যানা যায়নি। বেলা ১১টার পর স্কুলের সমস্ত শিক্ষক মোবাইল বন্ধ করে রেখেছিলেন বলে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের অভিযোগ।