সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
মুড়ির (Puffed rice) সঙ্গে বাঙালির যোগ রন্ধ্রে রন্ধ্রে। একবারে ‘রেডিমেড’ এই খাবারটি যে যাঁর মতো করে চিবিয়ে নেন। কেউ খান শুধু মুড়ি, কেউ জলের সঙ্গে মিশিয়ে, কেউ চানাচুর-তেল মাখিয়ে, কেউ চপ দিয়ে, কেউ তরকারি দিয়ে মেখে... সত্যিই হালকা টিফিন হিসেবে এই খাদ্যের জুড়ি মেলা ভার। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই খেয়ে চলেছেন। তাই এ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই মুড়ির প্যাকেট পৌঁছে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, প্রতি বাড়ির রোজকার খাদ্য তালিকায় থাকা এই বিশেষ খাবারটি সম্বন্ধেও মানুষের তেমন জ্ঞান নেই। এই অজ্ঞানতার প্রভাব পড়তে পারে শরীরের উপরও। তাই মুড়ি সম্বন্ধে এই কয়েকটি জরুরি তথ্য জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
মুড়িতে রয়েছে
মুড়ির মধ্যে বেশিরভাগটাই কার্বোহাইড্রেট। রয়েছে অল্প পরিমাণ ফাইবার। ফ্যাট প্রায় নেই। এছাড়া এই খাদ্যটিতে ভিটামিন বি বেশি পরিমাণে থাকে। পাশাপাশি মুড়িতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ বেশ কিছু খনিজও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
কারা খাবেন?
কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে যে কোনও বয়সের মানুষ মুড়ি খেতে পারেন। মুড়ির মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়া মুড়ির মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন, খনিজ শরীরের পুষ্টিতে যথেষ্ট সাহায্য করে। পাশাপাশি এর দামও তুলনায় অনেকটাই কম। তাই টিফিন হিসেবে এই খাদ্যের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, মুড়ি খুবই সহজপাচ্য একটি খাবার। পাশাপাশি এর মধ্যে খনিজও ভরপুর রয়েছে। তাই ডায়ারিয়া, বমি, বদহজমের মতো পেটের সমস্যায় মুড়ি জল খেলে সমস্যা অনেকটাই কমে।
কীভাবে খাবেন?
দিনের যে কোনও সময়ে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম মুড়ি খাওয়া যায়। আর অবশ্যই তেল, চানাচুর, চপের সঙ্গে মুড়ি মাখলে কিন্তু পেটের সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া সহ নানা অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। তাই এগুলির থেকে দূরে থাকুন। বরং মুড়ি খাওয়া যেতে পারে ছোলা সিদ্ধ, বাদামের সঙ্গে। পাশাপাশি থাকতে পারে সবুজ স্যালাড। এর মাধ্যমে শরীরের সার্বিক উন্নতি ঘটবে।
কারা খাবেন না?
১. মুড়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি। অর্থাৎ মুড়ি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগীকে মুড়ি খেতে হবে ভেবেচিন্তে। এক্ষেত্রে সকালের দিকে মুড়ি না খাওয়াই ভালো। অবশ্য চিকিৎসক, পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো সন্ধের টিফিনে অল্প মুড়ি, ছোলা সিদ্ধ এবং স্যালাড সহযোগে খাওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে রক্তের সুগারের মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে, পাশাপাশি প্রোটিন সহ দেহের ভিটামিন, খনিজের চাহিদাও মিটবে।
২. আগেই বলেছি, মুড়ির মধ্যে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। তাই ক্রনিক কিডনির অসুখে ভোগা রোগীকে মুড়ি খাওয়ার আগে সচেতন থাকতে হবে। এই শারীরিক অবস্থায় চিকিৎসক, ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মতো ‘লো সল্ট’ মুড়ি খাওয়া যেতে পারে।
৩. কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় মুড়ি ওজন বাড়াতে পারে। তাই স্থূলত্বের সমস্যায় ভোগা রোগীর মুড়ি না খেলেই ভালো।