Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় আজ থেকে শ’দেড়েক বছর আগের কলকাতার কথা। এসি-কুলার ও রেফ্রিজারেটর ছাড়া কেমন কাটত শহরবাসীর গ্রীষ্ম? 
হ্যাঁ, জানি পাঠক বলবেন সে সময়ে এত গরম পড়ত না। কিন্তু ১৮৮৯ সালে কলকাতার আবহাওয়া নিয়ে সঙ্কলিত তথ্য অনুযায়ী এপ্রিল-মে মাসে শহরের সর্বাধিক তাপমান প্রায়ই ১০৫ বা ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছে যেত। মানে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেই তাপপ্রবাহে সমান নাজেহাল হতেন সাহেব, নেটিভ নির্বিশেষে আপামর শহরবাসী।  সাহেবদের মতো এদেশীয় ধনীরাও টানা পাখার হাওয়া, ভেজা খসখসের পর্দার আরাম বা আইস হাউস থেকে নগদে কেনা বরফের বিলাসিতায় খানিকটা সামাল দিতেন। স্বাভাবিকভাবেই সে সব তো ছিল সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে। তবে তাদের হাতে ছিল এক প্রাচীন পদ্ধতি।  সেটা হল ‘স্নান’। ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সকলেই গায়ে মাথায় জল ঢেলে গরমের জ্বালা জুড়োতেন।  
ভারতে স্নানের, বিশেষ করে গঙ্গা স্নানের মাহাত্ম্য ধর্মীয় আচারের পথ ধরে ব্যক্তিগত আচরণের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। শীত-গ্রীষ্ম বারো মাস মানুষ গঙ্গা স্নান করে এসেছেন। অমৃতলাল বসুর স্মৃতিকথায় পাওয়া যায় উত্তর কলকাতার ভোরে ‘শিব ধন্য কাশী’ ‘শিব ধন্য কাশী’ জপ করতে করতে যাওয়া এক নামহীন গঙ্গা স্নানার্থীর কথা। বনেদি বাড়ির মহিলারা গঙ্গা স্নানে যেতেন ঘেরাটোপ ঢাকা পালকিতে চড়ে। সেই পালকি সমেত গঙ্গায় ডুব দিয়ে আব্রু-সম্ভ্রম বজায় রেখে স্নানপর্ব মিটত নির্বিঘ্নে। আবার গঙ্গার তীর বরাবর যে সব বিত্তবান প্রাসাদ গড়তেন, তাদের অনেকে বাড়িতে সরাসরি জোয়ারের জল নির্দিষ্ট অংশে ঢুকে আসার জন্য সুড়ঙ্গ জাতীয় পরিকাঠামো তৈরি রাখতেন। দিনে দু’বার সেই জলে স্নান করার সুযোগ পেতেন বাড়ির বাসিন্দারা। তবে দৈনন্দিন ব্যবস্থা হিসাবে স্নানের জন্য ভারীদের এনে দেওয়া তোলা জলের উপরই ভরসা করা হতো। গ্রীষ্মের দুপুর পেরিয়ে সেই জলেই বিকেলের গা ধোয়া ছিল মেয়ে মহলের এক নিজস্ব শৌখিনতা।
সমাজের উঁচুতলার কথা ছেড়ে যদি সাধারণ মানুষের স্নানের কথা বলি, তাহলে গঙ্গা স্নান ছাড়াও প্রতিটি পাড়াতেই ছড়িয়ে থাকা পুকুরগুলি ছিল মানুষের স্নানের জায়গা। কিন্তু শহর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব পুকুরের জল দূষিত হয়ে নানা রোগের উৎস হয়ে উঠল। উনিশ শতকের শেষ দিকে পুরসভার হেলথ অফিসার ডাক্তার পেইন-এর উদ্যোগে এই বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ শুরু হয়। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮৮৩-’৮৪ সালে কলকাতা পুরসভা প্রচলন করে নিঃশুল্ক সর্বজনীন স্নানাগারের। ১৯১৪ সালে পুরসভার দেওয়া গঙ্গার অপরিস্রুত জল ব্যবহার করা কাঠামোগুলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১২।  
অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকেই শহরের বিশেষ কিছু জায়গায় ‘হামাম’ বা সর্বজনীন স্নানাগারের কথা জানা যায়। মধ্য কলকাতায় একটি রাস্তার নামই ছিল হামাম গলি। ঠিক টার্কিশ হামাম বলতে যে স্নান-বিলাসিতার ছবি মনের আয়নায় ভেসে ওঠে, ঠিক তেমনটা হয়তো নয়, তবে পুরসভার ব্যবস্থাপনায় পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা স্নান ও কাপড় কাচার জায়গাগুলি বিশ শতকের মাঝের সময়েও রীতিমতো কার্যকর ছিল। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ অতুল সুর তেমন তিনটি  হামামের কথা বলেছেন নিজের স্মৃতিকথায়। প্রথমটি ছিল শ্যামবাজার পোস্ট অফিসের সামনে মোহনবাগান লেনে ঢুকতে বাঁ-দিকে। দ্বিতীয়টি রাজাবাজারের সামনে আর তৃতীয়টি প্রিন্সেপ স্ট্রিটে। ঔপনিবেশিক শহরের স্বাস্থ্যবিধান ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি এই জায়গাগুলোকে স্থানীয়রা 
বলতেন ‘হৌস’।    
‘হৌস’ শব্দটি হয়তো চৌবাচ্চা বোঝাতেই ব্যবহার করা হতো। ‘কলিকাতা দর্পণ’ বইতে রাধারমণ মিত্র শহরের জল সরবরাহ ব্যবস্থার কথা বলতে লিখেছেন যে, ১৮২০ সালে চাঁদপাল ঘাটের পাশে একটি ছোট স্টিম ইঞ্জিন বসিয়ে গঙ্গার জল পাম্প করে তুলে এক প্রকাণ্ড হৌস বা চৌবাচ্চায় রাখা হতো। চৌবাচ্চা থেকে বেরনো সরু নালা বেয়ে সেই জল বিভিন্ন পাড়ায় যেত। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে একসময় এভাবে জল সরবরাহ করার প্রয়োজন ফুরল। তবে মজার কথা হচ্ছে যে, তখন সেই বিশাল চৌবাচ্চা, যাকে চৌবাচ্চা না বলে পুকুর বলাই ভালো, তার উপরেই গড়ে উঠল ‘ক্যালকাটা বাথ হাউস’।  প্রাচীন বাথ হাউসের সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে ১৮৮৭ সালে শহরের শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের স্নানকেন্দ্রিক সামাজিক মেলামেশার স্থান হিসাবে শুরু হয় সংস্থাটি। ‘বাথ হাউস’ হিসাবে শুরু হয়ে পরবর্তী সময়ে অবশ্য পরিচয় বদল করে হয় ‘ক্যালকাটা সুইমিং ক্লাব’।  সেই সাবেক পরিকাঠামো আজও টিকে আছে শহরের বুকে। তার উৎস এবং বিবর্তনের সঙ্গে শহরের গ্রীষ্মের সম্পর্কের কথা ক’জনই বা খোঁজ রাখে! 
পাইপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি অপরিস্রুত গঙ্গার জল পৌঁছে দেওয়া ছিল শহরের পুর উন্নয়নের একটি ধাপ। বিশেষ করে ১৮৮৫ সালে মল্লিকঘাটে নতুন পাম্পিং স্টেশন বসানোর পর।  সেই জলে কাপড় কাচা বা ঘর ধোয়ার মতো কাজ চলত। আবার সেই পাইপে হাইড্রান্ট বসিয়ে জল দিয়ে রাস্তা ও ফুটপাত ধোয়ার মতো নাগরিক পরিষেবাও দেওয়া হতো। এক পর্যায় সেই হাইড্রান্টের সংখ্য ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। তারপর একসময় সেই কাজ পুরসভা বন্ধ করল। কিন্তু গঙ্গার জলের সেই কল কি একেবারেই মুছে গেল শহরের বুক থেকে? 
এই গ্রীষ্মের সকালে একবার উত্তর বা মধ্য কলকাতার কিছু অঞ্চলে ঘুরলেই  পেয়ে যাবেন এই প্রশ্নের উত্তর। দেখবেন প্রচুর মানুষ ফুটপাতের ধারে কোনও চৌবাচ্চা থেকে ঘোলা জল তুলে গরমের জ্বালা মেটাচ্ছেন। সেই জলে শীত-গ্রীষ্ম তাঁদের স্নান চলে। গ্রীষ্মে অবশ্যই একটু বেশি সময় ধরে। ব্রিটিশ আমলে বিনে পয়সায় পাওয়া পরিষেবা স্বাধীনতাত্তোর দেশে টাকার বিনিময়ে নিতে বাধ্য করতে একসময়ে এই স্নানার্থীদের পুলিস দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখেছে শহর! তারপর সময় বদলেছে সব অর্থেই। কিন্তু রয়ে গিয়েছে ফুটপাত ভরসা করে জীবনধারণ করা এই সব মানুষ আর তাদের ‘গঙ্গা কল’। যে জলের উৎস মা গঙ্গা। একটু আশ্চর্য লাগলেও, এটাই ঘটনা যে গঙ্গার জলের লাইন হিসেবে যে ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল উনিশ শতকে, তা আজও গ্রীষ্মের তাপ ক্লিষ্ট সহ নাগরিকদের কাছে শান্তির বারি পৌঁছে দিচ্ছে।  
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...

পুনের গাড়ি দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। এবারের ঘটনাস্থল নাগপুর। বেপরোয়া গতিতে থাকা গাড়িটির ধাক্কায় তিন মাসের শিশু সহ সাতজন জখম হয়েছেন। ...

ফের হাসপাতাল চত্বরে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে রোগীর আত্মীয়দের সর্বস্ব লুট করা হল। ঘটনাস্থল সেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। শুক্রবার রাতে দুই রোগী পরিবারের ...

খড়কুসমার ২১২ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গড়বেতার মোগলাপাতা এলাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM