Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা ভারত সেবাশ্রমের পাশে থেকেছেন
শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাধুসন্তদের ছদ্মলড়াই পর্যন্ত লাগিয়ে দিলেন। কে না জানে, কোনও প্রয়োজনে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে কতবার ছুটে গিয়েছেন নেত্রী। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কখনও কার্পণ্য করেননি। আর্থিক সাহায্য থেকে নৈতিক সমর্থন, সব বিলিয়েছেন অকাতরে। সামান্য ভোটের জন্য ষড়যন্ত্র করে সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা! আর কোন মুখ্যমন্ত্রীকে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে দাঁড়াতে দেখেছে বাংলার মানুষ? যখনই ডাক এসেছে শত ব্যস্ততা বাধা হয়নি কখনও। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটের মধ্যে এই মিথ্যাচার ধর্মে সইবে তো? স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ (দিলীপ মহারাজ) বিবৃতি দিয়ে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু পিছনে কার ষড়যন্ত্র, খোলসা করেননি। বাংলার মানুষ এই চক্রান্ত ব্যর্থ করবেই ভোটযন্ত্রে।
কুকথার জঞ্জাল সাফ করবে কে?
শেষ দফায় বাংলার ৯ আসন সহ ৫৭ আসনের ভোটের সঙ্গেই শেষ হবে এবারের ঐতিহাসিক নির্বাচন পর্ব। অচিরেই ভোট মিটে যাবে। এক্সিট পোলের সাময়িক উত্তেজনা কেটে গিয়ে ৪ জুনের আসল ফলের পর সরকারও গঠন হয়ে যাবে যথাসময়ে। নন্দীগ্রামের রক্তপাত, আগুনও নিভে যাবে। মার খাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে শুধু গরিব মানুষ। কিন্তু এই অকথা কুকথার এভারেস্ট ছুঁই ছুঁই জঞ্জালের পাহাড় সাফ করবে কে? নেতাদের শরীর যত ভারিক্কি, সেই তুলনায় স্মৃতি খুব পাতলা। তাঁরা সব সহজে ভুলে যান। কিংবা ভুলতে চান, সেইসঙ্গে ভোলাতেও। ভোট গেলে রাজনীতি নামক সোনার ডিম পাড়া হাঁস নাড়াচাড়া করে নিত্যনতুন রোজগারে মাতবেন তাঁরা। তখন মন্ত্রী, ষড়যন্ত্রী সবার আমে দুধে মিশে যাওয়ার পালা। সেই পরম মুহূর্তে আঁটি জনগণ গড়াগড়ি খাবে রাস্তায়, বাজারে, পাড়ার আড্ডায় নিজের না-পাওয়ার চেনা আবর্তে। ব্রিগেডে সভার পরদিন ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের কাপ, এঁটো থালা, কলার খোসা, ফেলে দেওয়া জলের বোতল সরাতে নেমে পড়ে পুরসভা থেকে রাজনৈতিক দল, কিন্তু গত আড়াই মাসের কুকথার স্রোত মন থেকে ধুয়ে সাফ করবে কোন সংস্থা?
চোর বলতে প্রমাণ লাগে না ...
যে যাকে খুশি ‘চোর’ বলছে ভরা বাজারে প্রকাশ্য জনসভায়। প্রমাণ তথ্য নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ছাড়াই। নাকি নিজের গা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে অন্যের ঘাড়ে  কলঙ্ক চাপাও! একজন প্রাক্তন বিচারপতি যিনি কি না দু’দিন আগেও ন্যায়দণ্ড হাতে রায় দিতেন, লোকে বাহবা দিত কী সাহস কী সাহস বলে, তিনি প্রকাশ্যে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আগেই বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতার সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন। এখন আবার এরাজ্যেরই গত চার দশকের সর্বাধিক জনপ্রিয় জননেত্রীর ‘বাজারে দাম কত’ সেই প্রশ্ন তুলছেন সর্বসমক্ষে। এই সস্তা খেউড় যখন শিক্ষিত বাঙালিরও রাজনৈতিক আলোচনার প্রধান অঙ্গ হয় তখন বুঝতে অসুবিধে হয় না গণতন্ত্র, মূল্যবোধ গভীর সঙ্কটে। এসবই ভোটের পশরা। দু’দিন আগে কেউ দেখা করে কোন বই পড়ে আদর্শ মানুষ হওয়া যাবে প্রশ্ন করলে প্রাক্তন ওই বিচারপতি বলতেন, ‘হাউ টু বি এ গুড কমিউনিস্ট’ অবশ্য পাঠ্য সমস্ত যুবক-যুবতীর। তা এরাজ্যে বামেদের অবস্থা ক্রমেই সঙ্গীন দেখে তিনি হয়তো মুনাফার লোভে মত ও পথ দুই বদলেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই স্বার্থপর জগতে আদর্শ, মতবাদ, বিশ্বাস সব মিথ্যে, ঠুনকো। আসল হচ্ছে—কীসে ফায়দা, তা বেছে নেওয়া। আলিবাবা ও ৪০ চোরের বাজার নিয়ন্ত্রিত এই রঙ্গালয়ে সেইমতো পথ বেছে নাও, মুনাফা ঘরে তোলো। সেই অঙ্কেই তমলুককে পাখির চোখ করেছেন প্রথম থেকেই। সততা আদর্শ সত্যমিথ্যা সব কথার কথা, জয় হোক শুধু ধান্দার।
মোদিজির ভাষণ না বিষবর্ষণ
হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জেনেশুনে বিষ ছড়াচ্ছেন। আড়াই মাস ধরে এই যে স্বয়ং রাষ্ট্রনেতার মুখে বিভাজনের প্রাণঘাতী বিষবর্ষণ তা কি দেশকে দুর্বল করছে না, মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়ায়নি? সীমান্তপারের একে-৪৭ থেকে ক্রমাগত গোলাগুলির সন্ত্রাসের চেয়ে তা কম কীসে? জেনেশুনে তবু বিষ ছড়িয়েই চলেছেন। কী লক্ষ্য? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, না বিরোধীদের সাড়ে সর্বনাশ সুনিশ্চিত করা। একবার গুনে দেখেছেন, তিনি কতবার হিন্দু- মুসলিম করেছেন আর কতবার বেকার যুবকের চাকরির কথা বলেছেন? কতবার গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দূষণ নিয়ে কথা বলেছেন? সুলভে গরিবের ঘরে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন তিনি? আর কতবার বিরোধীদের তাক করে খুলে আম বদলা নেওয়ার কথা বলেছেন? কত ডজন বার অলীক ৪০০ আসনের বেলুন উড়িয়েছেন, আর কতবার দারিদ্র্য দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন? আর এখন শরিকদের তোয়াজ করছেন। কারণ, একক গরিষ্ঠতা মায়, ২৭২ আসন জেতা নিয়ে তাঁর মনেও নানা প্রশ্ন। মহারাষ্ট্র, বিহার, বাংলা, উত্তরপ্রদেশে আসন বৃদ্ধি দূরে থাক বিজেপি অপ্রত্যাশিত ধাক্কাও খেতে চলেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা ফুঁসছে। দাক্ষিণাত্য বিজয়ও থমকে। তাই বাধ্য হয়ে এনডিএ’র নামাবলি গায়ে চড়াচ্ছেন গেরুয়া নেতারা।
মানুষের জন্য মন্দির না মন্দিরের জন্য মানুষ!
শুধু একটা মন্দির দেশের বৃহত্তম রাজ্যে শাসক দলের আসন বাড়ায় না কমায়, তারও পরীক্ষা এবারের নির্বাচন। গতবার যোগী আদিত্যনাথের দল ৬২ আসন জিতেছিল। এবার রামমন্দিরের  শক্তিতে একবার বলছেন ৭২, আবার কখনও বলছেন না অতটা হবে না। বিরোধীরা বলছে, ৭২ নয়, ৬২’ও নয়, শেষ পর্যন্ত নামতে হবে ৫০’এ। প্রমাণ হবে এদেশে মন্দির নয়, এখনও মানুষের রুটিরুজিই শেষকথা বলে। হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণই রাজনীতির শেষকথা হতে পারে না। বিরোধীদের নিকেশ না করে বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আর পবিত্র ধর্ম ও মন্দিরকে ভোট কেনার জন্য ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
দোস্ত দোস্ত না রাহা!
স্বার্থের রাজনীতিতে কোনও দাম নেই বিশ্বাসের, বন্ধুত্বের। না-হলে যে শিবসেনা আদবানি ও বাজপেয়ির হিন্দুত্ব আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে একনিষ্ঠ সঙ্গী, বহু লড়াইয়ের সহযোদ্ধা—বাল থ্যাকারে আজ আর নেই—মোদিজি তাঁর শিবসেনাকে দু’টুকরো করে ছেড়েছেন! একনাথের না উদ্ধবের শিবসেনা, কোনটা ‘আসল’ তার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে মহারাষ্ট্র। আবার ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সব ইস্যুতে মোদি সরকারকে সংসদে সমর্থন দিয়ে এসেছেন—কী রাজ্যসভা, কী লোকসভায়। ওড়িশার স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাননি তিনি। অথচ ভুবনেশ্বরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মোদিজি নবীনবাবুকেও ছাড়লেন না! তিনি বললেন, ৪ জুনই বিজেডি সরকারের পতন। ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শক্তি। এত করেও বিষ নজর থেকে মুক্তি পেলেন না নবীনবাবু। এক বিজেপি প্রার্থী আবার ভগবান জগন্নাথদেবকে মোদিজির ভক্ত বানিয়ে দিলেন! এনডিএ’র অন্য শরিকদের জন্য ব্যাপারটা শিক্ষণীয় নয় কি? গেরুয়া শক্তির বিস্তারে মোদিজি শত্রু-মিত্র কাউকেই রেয়াত করেন না।
দুর্নীতি নিয়ে মানুষ মাথা ঘামায়?
এদেশে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মানুষ চঞ্চল হয় সাময়িকভাবে। কাগজে হেডলাইন হয়। আলোচনার খোরাক হয় দু’দিন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দুর্নীতির মামলার নিষ্পত্তি হয় না। বোফর্স থেকে রাফাল। কফিন থেকে টু’জি। কয়লা ব্লক বণ্টন। চারা ঘোটালা। ওই পহেলে জেলবাস ফির মুক্তি, অউর সব ভুল জানা। নির্দিষ্ট করে মানি ট্রেইলের হদিশ মেলে না কোথাও। ইউপিএ আমলে বিজেপি সিবিআইকে বলত কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। আর আজ ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স সব শাসকের আঁচলে বাধা। ধরপাকড়, তল্লাশি, পুছতাছ সব চলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে—দেশের হিতে নয়। আমার দলে এলেই কলঙ্ক সাফ। মানুষ যখন আসল কারণটা জানবে, ততক্ষণে ভোট শেষ। গদি দখলের নাটকে যবনিকা।
ভারতের শত্রুরা খুশি
ভোট শেষ হয়ে যাবে। ফল বেরিয়ে সরকার ভাঙাগড়া তাও সম্পন্ন হবে নির্বিঘ্নে। এরাই থাকবে কিংবা অন্যরা আসবে। কিন্তু দেশের মানুষ এই কথার বিষ প্রাণপণে দু’হাতে সরিয়ে আবার শান্তিতে ঘরে ধূপ জ্বালতে পারবে কি? না সমাজ, বিশ্বাস, একই বৃন্তে দু’টি ফুলের ঘ্রাণ— সব কেড়ে নেবে ক্ষমতা দখলের নোংরা রাজনীতির অবিচল ধারাপাত? মানুষে মানুষে সম্পর্ক যদি ধর্মের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে দেশ দুর্বলই হয়। তা কখনও শত্রুর কাছে দুর্ভেদ্য দুর্গ হতে পারে না। সীমান্ত পারের শত্রুরাও সেটাই চায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা। আর জপ করে, ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে মরুক। বাকিটা দেখে নেব।
গরিব জনগণ ঘর কা না ঘাট কা ...
সরকার গড়া হবে। নেতারা গত ৭৫ দিনের ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভুলে স্বাভাবিক কামানোর রাজনীতিতে ফিরে যাবেন ৪ জুন রাত থেকেই। নতুন সমীকরণ তৈরিতে মন দেবেন। কোটি টাকা নিমেষে একশো-দু’শো গুণ হয়ে ফিরে আসবে। আর তখন উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় কিংবা বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আক্রান্ত হবেন। ভাঙচুর হবে তাঁদের আবাস যোজনার বাড়ি, রক্তাক্ত হবে পরিবার। মঙ্গলসূত্র নয়, হারিয়ে যাবে ছোট্ট আশ্রয়টুকু। নেতাদের কিচ্ছু হয় না। তাঁরা হারুন-জিতুন নিরাপদ ঘেরাটোপেই মুরগি, মাটন, পানীয় সহযোগে আরামে আয়েশে থাকেন। মার খায় শুধু গরিব জনগণ, না ঘর কা, না ঘাট কা! নেতাদের দু’শো উঞ্ছবৃত্তির দগদগে ঘা বয়ে নিশ্চিত সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যেতে হয় তাদের! ভিয়েতনামে পরবর্তী বিমান আক্রমণের মতোই অপেক্ষা পরের ভোটের। মঙ্গলসূত্র নয়, গরিবের দু’মুঠো ভাত যেন কেউ কেড়ে নিতে না-পারে, তা আগে নিশ্চিত করুন মোদিজি। 
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
একনজরে
আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেই এগিয়ে রাখছেন ম্যাথু হেডেন ও কেভিন পিটারসেন। রবিবার চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চেয়ে কেকেআরের জেতার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ...

খড়কুসমার ২১২ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গড়বেতার মোগলাপাতা এলাকা। ...

পুনের গাড়ি দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। এবারের ঘটনাস্থল নাগপুর। বেপরোয়া গতিতে থাকা গাড়িটির ধাক্কায় তিন মাসের শিশু সহ সাতজন জখম হয়েছেন। ...

শনিবার নিজের দলের প্রার্থীকেই ভোট দিলেন না বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র মেজিয়ার দুলর্ভপুরের ভোটার। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। কিন্তু, এদিন সৌমিত্র সকাল থেকেই বিষ্ণুপুরে নিজের ফ্ল্যাটকেই ওয়াররুম বানিয়ে পড়ে থাকেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM