Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। তারপরও কারা বলছেন আপনি নাগরিক নন? আপনি তা বিশ্বাসও করছেন! আপনি নিজে ‘শরণার্থী’ নন। হয়তো শরণার্থী  ছিলেন আপনার বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্য কেউ। তবু আপনাকে নতুন করে নাগরিক হতে হবে বলে বোঝানো হচ্ছে এবং আপনি তা মেনে নিয়েছেন।  
অথবা আপনি মতুয়া এবং ছিন্নমূল ‘শরণার্থীও’। কুড়ি, তিরিশ, চল্লিশ কিংবা তারও আগে আপনি সপরিবারে ওপার বাংলা ছেড়ে এসেছেন। কোনও সরকারি খাস জমিতে কিংবা একখণ্ড জমি কিনে বসবাস করছেন। এযাবৎকাল জানতেন, আপনি ভোট দিতে পারেন মানে আপনি এদেশের নাগরিক। কখনও মনে হয়নি আপনার একখানা নাগরিক সার্টিফিকেট লাগবে। হঠাৎ দশ বছর আগে জানলেন আপনি নাগরিক নন! আইন করে এখন আপনাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কে বললেন? আপনারই ভোটে নির্বাচিত সেই মন্ত্রী, এমপি, এমএলএরা। তাঁরা এও বললেন, ওই সার্টিফিকেট না-থাকলে আপনাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। অসমে নির্যাতনের ছবিটা সামনে ভেসে উঠল। নেতারা দিল্লি থেকে উড়ে এসে বলে গেলেন, এতকাল কেউ আপনাদের কথা ভাবেনি। আপনারা শুধু শুধু কংগ্রেস, সিপিএম কিংবা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। তখনই আপনার মনে হল, সত্যিই তো, আমাদের কথা তো কেউ ভাবেনি। কিন্তু আমি যে সরকারি জায়গায় থাকছি। জল রাস্তা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। সেই জমির মালিকানাও পেয়েছি কিংবা আমার নিজস্ব রায়তি সম্পত্তিতে থেকে সমস্ত পরিষেবা এবং প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছি। তবু আমার জন্য কেউ কিছু করেনি! আমাকে তো নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট দেয়নি কেউ। বিজেপির নেতারা বলছেন, এবার আমি সত্যিকারের নাগরিক হয়ে উঠব, না-হলে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে! 
অতএব আপনি দশ বছর আগে থেকে ভিড়ে গেলেন বিজেপির পতাকাতলে। এই আশায় যে মোদি এবার আপনাদের নাগরিকত্ব দেবেন। ভরিয়ে দিলেন তাঁদের ভোটবাক্স। জিতে তাঁরা এমএলএ, এমপি, কেউ কেউ কেন্দ্রের মন্ত্রীও হলেন। কিন্তু আপনি রয়ে গেলেন সেই ‘বিদেশিই’! একবারও ভাবলেন না, আপনি নাগরিক না-হলে ভোটটা দিলেন কীভাবে? আপনি মোদি-শাহ কিংবা স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ শান্তনু ঠাকুরদের কথা বিশ্বাস করলেন। জয়ডঙ্কা কাঁসর বাজিয়ে, আপনাদের ধর্মীয় নিশান উড়িয়ে উদ্বাহু নৃত্য শুরু করলেন। নেতারা যখন বলছেন তাঁরাও এবার নাগরিক হবেন, আপনি খুশিতে ডগমগ হয়ে উঠলেন। আপনি বুঝলেন, সত্যিই তো, বিজেপি ছাড়া আর কেউ আপনাদের কথা ভাবে না। আর সেই খুশিতে আপনাদের ধর্মীয় বিধানের বাইরে গিয়ে হিন্দুত্ববাদের পতাকাতলে শামিল হলেন। রামলালার পুজোয় মেতে উঠলেন। আপনাদের স্বঘোষিত ধর্মগুরু বললেন, তাঁর স্বাক্ষরিত মতুয়া কার্ড থাকলেই আপনি নাগরিকত্ব পাবেন। অমনি আপনি ঝাঁপিয়ে পড়ে টাকা দিয়ে সেই কার্ড কিনলেন। 
কিন্তু আপনার কি একবারও মনে হল না, মতুয়াদের স্বঘোষিত ধর্মগুরু (মতুয়া মতে কোনও গুরুপ্রথা নেই। তাদের একমাত্র ঈশ্বর হরিচাঁদ ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের জন্ম যদি ঠাকুরনগরে হয়, তাহলে তিনি তো জন্মসূত্রেই নাগরিক, তিনি কেন আবার নাগরিকত্ব নিতে যাবেন? তাঁর পিতামহ পি আর ঠাকুর যখন এদেশে চলে আসেন তখনই তিনি নাগরিক হয়েছেন। তাঁর ছেলে, নাতি-নাতনি সবাই এদেশের  নাগরিক। আর তাই শান্তনু ঠাকুররা কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি, কখনও করবেনও না। 
আসলে এসবই যে আপনাকে ভুল বোঝানোর কৌশল, সেটুকুও ধরতে পারছেন না। বিজেপি নেতাদের ধাপ্পাবাজি ধরার চিন্তা আপনার মাথায় আসছে না, কারণ আপনি সেই ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির পাঁকে ডুবে গেছেন। মোদি-শাহরা এটুকু জানেন, মতুয়াদের যা বোঝানো হবে তাঁরা তাই বুঝবেন। অন্ধ ভক্তরা যে প্রশ্ন করতে জানে না! তাঁদের আবার ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হয়েছে। তাঁরা মেরুকরণের যে বিষ মনে ঢুকিয়ে দিয়েছেন তাতেই উদ্বেলিত আপনারা। মতুয়া ধর্ম সব মানুষকে যতই ভালোবাসার কথা বলুক, সেই ধর্মীয় বিভেদের মোড়কে আপনাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই প্রথম মোদি সরকারই আপনাদের জন্য নাগরিকত্ব আইন এনেছে এবং এবার আপনারা নাগরিকত্ব পাবেন। 
কিন্তু আপনি জানার চেষ্টা করেননি যে সিএএ প্রথম সৃষ্ট কোনও নাগরিকত্ব আইন নয়, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের একটি সংশোধনী মাত্র। ১৯৫৫ সালে যে নাগরিকত্ব আইন তৈরি হয়েছে তারই একটি অংশ সংশোধন করা হয়েছে যা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৯ বা সিএএ। এমন সংশোধনী আগে আরও পাঁচবার হয়েছে। ১৯৮৬, ১৯৯২, ২০০৩, ২০০৫ এবং ২০১৫ সালে। তা নিয়ে কখনও কিন্তু কোনও হইচই হয়নি। কারণ সেই সংশোধনী ছিল নাগরিকত্ব প্রদানে কিছু অন্তর্ভুক্তি, যাতে আরও সহজে নাগরিকত্ব মেলে। মূল আইন বা পাঁচবারের সংশোধনীতে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কোনও ধর্মীয় বিভাজন ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন কিংবা অন্য যেকোনও ধর্মের মানুষ শর্ত মেনে তাতে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এযাবৎকাল এটাই ছিল নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়।
কিন্তু আপনি জন্মসূত্রে নাগরিক হলে এসবের দরকার পড়ে না। আপনি যদি বহু বছর আগে ছিন্নমূল ‘শরণার্থী’ হয়ে এদেশে এসে থাকেন, তাহলেও আপনি স্বাভাবিক নিয়মে নাগরিক হয়ে উঠেছেন। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, কেউ টানা অন্তত ১১ বছর এদেশে বসবাস করলে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। যদি নাগরিক সার্টিফিকেটেরই প্রয়োজন ছিল, তাহলে আগেও আপনি আবেদন করতে পারতেন। এমন বহু মানুষই তো আবেদন করে সেই সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এই বঙ্গেই। বিখ্যাত পাকিস্তানি গায়ক আদনান সামিকে ২০১৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব দিয়েছে এই বিজেপি সরকারই। 
অথচ ২০১৯ সালের সংশোধনী আইনে মোদি-শাহরা বলেছেন, মুসলমান বাদে অন্য যেকোনও ধর্মের মানুষ নাগরিকত্ব পাবেন। এই ধর্মীয় বিভাজন নিয়েই দেশ উত্তাল। যদি বলা হতো ছ’বছর বসবাস করলেই যে কেউ নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করতে পারবেন তাহলে কোনও বিতর্কই হতো না। কিন্তু গেরুয়া পক্ষ তা চায় ন। তারা চায়—সোজাসাপ্টা ধর্মীয় বিভেদ, আপনার মনে বিদ্বেষের বিষবৃক্ষ রোপণ। বলতেই হয়, তাতে সফল মোদিবাবুরা। দ্বিতীয়ত, আপনাকে নাগরিকত্ব দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য নয়, স্রেফ গাজর ঝুলিয়ে আপনার ভোট পাওয়াটাই তাঁদের ফন্দি। এজন্য এত শর্তের বোঝা, যেসব শর্ত আপনি কখনওই পূরণ করতে পারবেন না। নাগরিকত্ব পাওয়ার যে স্বপ্নে আপনি বিভোর তাও অধরা থেকে যাবে।    
আজ হয়তো বুঝতে পেরে অনেকেই বলছেন, আমরা নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই। কিন্তু তার উত্তরে মোদি, শাহ অ্যান্ড কোম্পানি বলে দিয়েছেন, শর্ত পূরণ না-হলে নাগরিকত্ব মিলবে না। বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঙ্কার ছেড়েছেন, নিঃশর্ত আবার নাগরিকত্ব হয় নাকি? 
মোদি-শাহরা মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না। কারণ তাঁরা সেই সদিচ্ছা থেকে আইনের সংশোধনী আনেননি। কিন্তু আপনি কি জানেন, ১৯৫৫ সালে নাগরিকত্ব আইন তৈরি হওয়ার পর সমস্ত ছিন্নমূল উদ্বাস্তু মানুষজনকে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন নেহরু সরকার। হ্যাঁ, কংগ্রেসের সরকার। ১৯৫৫ সালে স্বাধীন ভারতে প্রথম ‘ইন্ডিয়ান সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, ১৯৫৫’ তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এদেশের হাজার হাজার রিফিউজি ক্যাম্পে বসতি স্থাপন করা লক্ষ লক্ষ মানুষজনের হাতে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়েছিল সরকার। নিঃশর্ত এই কারণে যে, সেই সার্টিফিকেট পেতে কাউকে কোনও আবেদন করতে হয়নি। কোনও সরকারি অফিসেও ছোটাছুটি করতে হয়নি। শর্তাবলি যাই থাক না কেন, কাউকে সেই শর্তের জাঁতাকলে পিষে দেওয়া হয়নি। আজকের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নিশ্চয় স্মরণ করতে পারবেন, উদ্বাস্তু ক্যাম্পে রীতিমতো দপ্তর পেতে ছিন্নমূল মানুষজনের হাতে সাদরে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছিল সরকার। পরিবারের প্রধান থেকে শিশু, প্রত্যেকের জন্য দেওয়া হয়েছিল নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। আর তার সুবাদে সাবালক এবং বয়স্করা সঙ্গে সঙ্গে পেয়েছিলেন এদেশের ভোটাধিকার। দেশভাগের পর বহুবছর ধরে এদেশে যাঁরা এসেছেন তাঁরা সবাই পেয়েছেন সেই নথি। তাঁদের জন্মস্থান হিসেবে লেখা আছে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা কিংবা ফরিদপুরের কোনও গ্রাম বা শহরের নাম। তার জন্য কাউকেই কোনও প্রমাণপত্র দাখিল করতে হয়নি। আজও হয়তো তোরঙ্গ খুঁজলে সেই সময়কার শিশু-কিশোর, যাঁরা আজ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কিংবা তাঁদের সন্তান-সন্ততিরা পেয়ে যেতে পারেন সেই কাগজখানি। আপনিও খুঁজে দেখতে পারেন, যদি আপনার পিতা কিংবা পিতামহ দেশভাগের পর ছিন্নমূল হয়ে এদেশে এসে থাকেন। তারপরও কেন আপনাকে নতুন করে নাগরিক হতে হবে? কিংবা আপনি এসেছেন বিশ-তিরিশ বছর আগে। আপনার নাগরিকত্ব প্রাপ্তির সমস্ত শর্ত পূরণ হয়েই গিয়েছে। তারপরও কেন আবার নিজেকে ‘বিদেশি’ ঘোষণা করতে হবে? আসলে মোদি-শাহরা চান না আপনি শর্তহীন স্বাভাবিক নাগরিক জীবনযাপন করুন। তাই আপনাকে বিদেশি সাজিয়ে প্রতিশ্রুতির গাজর ঝোলানো হয়েছে। আপনাকে নাগরিকত্ব দেওয়া নয়, জীবন বিষময় করে তোলাই লক্ষ্য—যাতে আপনি সর্বদা নেতাদের পিছনে ঘোরেন এবং একজন অন্ধ অনুগত ভোটার হয়েই থাকেন। আপনি শুধুই ‘ভোটব্যাঙ্ক’, এদেশের নাগরিক হবেন না কখনও।
15th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
একনজরে
মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...

আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেই এগিয়ে রাখছেন ম্যাথু হেডেন ও কেভিন পিটারসেন। রবিবার চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চেয়ে কেকেআরের জেতার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ...

ফের হাসপাতাল চত্বরে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে রোগীর আত্মীয়দের সর্বস্ব লুট করা হল। ঘটনাস্থল সেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। শুক্রবার রাতে দুই রোগী পরিবারের ...

খড়কুসমার ২১২ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গড়বেতার মোগলাপাতা এলাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM