Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। কারণ এতক্ষণ আরও ৮টি সংস্থা  প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। সেরকম স্পার্ক নেই। পছন্দ হচ্ছে না। কিছু একটা মিসিং। অতএব লিও বার্নেট সদস্যরা প্রবেশ করার পর একমাত্র সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, হ্যালো.. সিট ডাউন। বাকিরা নিরাসক্ত হয়ে বসে। ১৫ মিনিট লেগেছিল ওই টিমের একটি প্রেজেন্টেশন দেখাতে। উপস্থিত মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। এমনিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অটলবিহারী বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আদবানির যুগলবন্দির বিজেপি হাই ভোল্টেজ একটি চূড়ান্ত স্মার্ট অ্যাড ক্যাম্পেন অর্থাৎ বিজ্ঞাপনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। টিভি থেকে বাস স্টপ। সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে সেই বিজ্ঞাপন। ক্যাচলাইন ছিল ইন্ডিয়া শাইনিং। ভারত উদয়। ফিল গুড। কারও মনে কোনও সন্দেহ ছিল না যে, আবার ফিরছে অটলবিহারী বাজপেয়ির এনডিএ সরকার। কংগ্রেসের কোনও সুযোগই নেই। তাদের কোনও মুখই নেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। বিজেপির লাগাতার প্রচারে সোনিয়া গান্ধীর পরিচয় ‘বিদেশিনী’। বিরোধী বলতে তেমন কোনও শক্তিশালী দল নেই। বিজেপি কেন ইন্ডিয়া শাইনিং এবং ফিল গুড নামক ক্যাচলাইন বলেছিল? প্রধান কারণ ছিল ২০০৩ থেকে ২০০৪ সালের প্রথমার্ধে শেয়ার বাজার সাংঘাতিক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার উপচে পড়ছে রাজকোষে। এসবকেই উন্নতির পরাকাষ্ঠা ভাবা হয়েছিল। লক্ষণীয়, ২০২৪ সালে ঠিক এই দুটি ফ্যাক্টরকেও বড়সড় উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এই মুহূর্তেও শেয়ার বাজার সর্বকালীন রেকর্ড করে শীর্ষস্তরে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও প্রচুর। এবং বিরোধীদের নেই প্রধানমন্ত্রী মুখ। 
২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে এহেন এক অবস্থায় কংগ্রেস ভোটের মাঠে নামার আগে শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে। তারই একটি অঙ্গ হল একটা কোনও অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করা। ততদিনে গ্রে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সংস্থার সঙ্গে বিজেপির চুক্তি হয়ে গিয়েছে। তাদের প্রথম দফার বিজ্ঞাপন পুরোদমে গ্রাস করে ফেলেছে দেশের মিডিয়া এবং জনমন। ঠিক এরকম সময় লিও বার্নেট সংস্থার ওই বিজ্ঞাপনী প্রেজেন্টেশন পছন্দ হল কংগ্রেসের। কিন্তু আটকে গেল পরের বৈঠকে। ৭ ফেব্রুয়ারি। কংগ্রেসের ট্রেজারার মতিলাল ভোরা বললেন, ৮০ কোটি টাকা দেওয়া যাবে না। অর্ধেক করতে হবে। কীভাবে সম্ভব? প্রস্তাব দেওয়া হল, বিজ্ঞাপনের প্রথম পর্ব বাদ দেওয়া হোক। কী ছিল লিও বার্নেটের বিজ্ঞাপন? দুটি পর্বে। প্রথম পর্বে বলা হবে, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা?’ অর্থাৎ ইন্ডিয়া শাইনিং তো বুঝলাম! আম আদমি কী পেল? আর ভোট শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আসবে দ্বিতীয় পর্ব। ‘কংগ্রেস কা হাত আম আদমি কে সাথ’। লিও বার্নেট সংস্থার ক্রিয়েটিভ টিম কিছুতেই মানবে না সেই প্রস্তাব। তারা বলল, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা’ এটা না থাকলে এই বিজ্ঞাপনের প্রভাবই থাকবে না। আমরা বলতে চাইছি, ইন্ডিয়া শাইনিং কাদের জন্য? আম আদমির তো কিছুই মেলে না। তাহলে আম আদমির কথা কে ভাববে? কংগ্রেস ভাববে। কংগ্রেসকে ভোট দিন। এভাবেই সাজানো হয়েছে স্লোগান। অতএব ওটা রাখতেই হবে। 
একটি বই প্রকাশিত হয়েছে কয়েক বছর আগে। সেই বইয়ের নাম, ‘ডোন্ট ফরগেট ২০০৪: অ্যাডভার্টাইজিং সিক্রেটস অফ অ্যান ইমপসিবল ইলেকশন ভিকট্রি’। সেই বইতে লেখক লিও বার্নেটের অন্যতম ডিরেক্টর জয়শ্রী এম সুন্দর লিখেছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সামনে রেডিও ক্যাম্পেন শোনানো হল আবার। একই কন্টেন্ট। প্রিয়াঙ্কা বললেন, আপনারা কি সব প্রস্তুতি করে ফেলেছেন? লিও বার্নেট বলল, না। আমাদের তো কাটছাঁট করতে বলা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ইটস অল অর নাথিং! অর্থাৎ হয় সবটা যাবে। নয়তো যাবেই না। প্রিয়াঙ্কার ওই সবুজ সংকেতের পর আর বাধা নেই। শুরু হল বিজ্ঞাপনের যাত্রা। অবিশ্বাস্য এক ফলাফল হয়েছিল। বিজেপি হেরে যায়। 
বিজেপির ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনে ডাবল ইঞ্জিন সুবিধা আছে। একদিকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন। তারা সরকারি টাকায় মোদি সরকারের হয়ে বিজ্ঞাপন করছে। মোদি সরকারের গ্যারান্টি শীর্ষক। আবার পাশাপাশি  বিজেপির ভোট প্রচারের বিজ্ঞাপনের কন্ট্রাক্ট পেয়েছে মূলত ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপ এবং স্কারক্রো এম অ্যান্ড সি। ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপের কর্ণধার হলেন বিখ্যাত কবি, গীতিকার প্রসূন যোশী। মোদি সরকার এবং বিজেপির প্রিয়পাত্র তিনি। অসংখ্য সুপারহিট গান ও সিনেমার গীতিকার তথা চিত্রনাট্যকার। বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল ও গানেও তিনি সফল এবং দক্ষ। অন্যদিকে, মোদির অমৃতকাল এবং মোদির গ্যারান্টি স্লোগানের বিপরীতে পাল্টা প্রচারের জন্য কংগ্রেস বেছে নিয়েছে ডিডিবি মুদ্রা নামক বিখ্যাত এজেন্সিকে। কারা এরা? দীর্ঘকালের সমীহ সৃষ্টিকারী অ্যাড সংস্থা। যাদের বিখ্যাত তথা আইকনিক বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন হল, ‘অনলি বিমল’ অথবা ‘কেরালা, গডস ওন কান্ট্রি’। ডিবিডি মুদ্রার ক্লায়েন্ট তালিকা ঈর্ষণীয়। ম্যাকডোনাল্ড, নেটফ্লিক্স, ধারা, ফোকসওয়াগন, রয়্যাল এনফিল্ড ইত্যাদি। 
এবারও কংগ্রেস ২০০৪ সালের ফর্মুলায় 
ফিরে গিয়েছে। অন্তত আগ্রাসী বিজ্ঞাপনে তেমনই দেখা যাচ্ছে। মোদির অমৃতকালে যে আম আদমি 
কিছু পায়নি, বেকারত্ব থেকে মূল্যবৃদ্ধির জেরে আম আদমি জেরবার, সেটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিটি অডিও ভিস্যুয়াল অথবা প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল প্রচারে। কংগ্রেসের এবারের স্লোগান হল, ‘হাত বদলেগা হালত’। 
২০০৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল ২০ বছর এগিয়ে এসেছে। বিজ্ঞাপনের অভিমুখ এবং টার্গেট অডিয়েন্সও বদলে গিয়েছে। তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ক্যাম্পেনের জন্য সব দলের বাজেট রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে গুগুল অ্যাডস খাতে অর্থাৎ গুগুল ২০১৮ সাল থেকে যে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করেছে তাদের প্ল্যাটফর্মে, তার ২৬ শতাংশই বিজেপির। ১০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপির ক্যাম্পেনে শুধু গুগুলে। পূর্বতন বিজ্ঞাপনের সঙ্গে ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনী স্ট্র্যাটেজি এবং থিওরির পার্থক্য কী? পার্থক্য হল, আগে টিভিতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখা ছিল ব্যক্তিগত দর্শন ও শ্রবণ। দেখলাম, শেষ হয়ে গেল, ভুলে গেলাম অথবা মনে রাখলাম। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান জগতে পছন্দ হলে সেই বিজ্ঞাপন শেয়ার করার সুবিধা আছে। অর্থাৎ একটি বিজ্ঞাপনের একজন ভিউয়ার সেটা শেয়ার করে করে আসলে নিজের অলক্ষ্যেই একজন ক্যাম্পেনারও হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে এখন ডিজিটাল ক্যাম্পেন এত গুরুত্বপূর্ণ। যে ওই ভিডিও অথবা প্রচারের স্লোগানটি শেয়ার করছে বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা গ্রুপে, সেজন্য সে কিন্তু কোনও টাকা পয়সা পাচ্ছে না। ভোটের পরও সে যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। অথচ সে একজন পরোক্ষ প্রচারক। ওই বিজ্ঞাপনের সংস্থা হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ভোটাররা যে দলকে জেতাবে, তারা সিংহাসনে বসবে। হাজার হাজার কোটি টাকা দলের ফান্ডে আসবে ক্ষমতাসীন হলে। কিন্তু ভোটারদেরও জীবন পাল্টায় না। এসব সবাই জানে। 
সব দলের এই যে প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ, একটি বা একাধিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিরা ভোটারদের কাছে তাদের ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে ভালো ভালো চিত্র ও স্বপ্ন নিয়ে আসবে এটা স্বাভাবিক। রাজনীতি এবং ভোট যে সংসদীয় গণতন্ত্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আবার এটাও ঠিক যে, এই গোটা প্রক্রিয়া একটি বৃহৎ বিজনেস। ‘ইলেকশন ইকনমি’ ভারতে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার একটি বাণিজ্য। সুতরাং এটা মাথায় রেখে আমাদের ভাবতে হবে যে,আমরা যারা এই ইলেকশন ইকনমির প্রত্যক্ষ অংশীদার নই, তারা ভোটটা কীভাবে দেব? নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে? নাকি প্রচার ও প্রোপাগান্ডায় আকৃষ্ট হয়ে? কোন দল আমাদের কী কী সুবিধা দিচ্ছে। সরাসরি নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হচ্ছে। আমাদের সংসারের কাজে লাগছে। পরিবারের সামান্য কিছু সুরাহা হচ্ছে। আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে অথবা হতে পারে। এসব ভেবেই কি ভোট দেওয়া উচিত নয়? সেটাই কি বুদ্ধিমত্তা নয়? নাকি নিছক দলীয় মতবাদের ক্রীতদাস হব? 
নবীন পট্টনায়ক কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রধান ভোটব্যাঙ্ক হলেন মহিলারা। তাঁরা দুজনেই মহিলাদের ভোট পেয়ে থাকেন। প্রধানত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। নবীন পট্টনায়কের মহিলা ভোটব্যাঙ্কের কারণ হল, মিশন শক্তি প্রকল্প। মহিলাদের স্বনিযুক্তি স্কিম। বিনা সুদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় ব্যাঙ্ক লোন। এবং বিজু স্বাস্থ্য কল্যাণ যোজনা। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এবং স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি প্রকল্পে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অটুট। এই দুই উদাহরণ দেওয়ার অর্থ হল, এই মহিলা ভোটব্যাঙ্ক কিন্তু ঘর পরিবার থেকে অনেক দূরে কোথায় মন্দির মসজিদে কী হয়েছে, কোথায় কোন সম্প্রদায় কোন গোষ্ঠীকে মারধর করেছে, কোনটা ফেক নিউজ, এসব ভাবেই না। রোজকার মোমেন্টারি ইস্যুতে তারা মাথাই ঘামায় না। তারা ভাবে নিজেদের পরিবারের কথা। সুবিধার কথা। সুরাহার কথা। আবার মোদি যতই হিন্দু মুসলিম নিয়ে বিভাজনের চেষ্টা করুন, সেভাবে বিরাট লাভ দিচ্ছে না। তাঁর অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক হল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লাভার্থীরা। অর্থাৎ বিনামূল্যে রেশন, আবাস যোজনা, কৃষকদের ৬ হাজার টাকা ইত্যাদি। অর্থাৎ সমাজের এই যে তথাকথিত নিম্নবর্গ এবং নিম্নবিত্ত অংশ, তারা সরাসরি সুযোগ সুবিধাকে প্রধান্য দিচ্ছে। প্রোপাগান্ডায় খুব একটা গা ভাসায় না। এটা কি সুবিধাবাদী ভোটব্যাঙ্ক? নাকি বাস্তববাদী পরিণতমনস্কতা? কোনটা ঠিক?
24th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
একনজরে
মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...

আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেই এগিয়ে রাখছেন ম্যাথু হেডেন ও কেভিন পিটারসেন। রবিবার চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চেয়ে কেকেআরের জেতার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ...

শনিবার নিজের দলের প্রার্থীকেই ভোট দিলেন না বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র মেজিয়ার দুলর্ভপুরের ভোটার। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। কিন্তু, এদিন সৌমিত্র সকাল থেকেই বিষ্ণুপুরে নিজের ফ্ল্যাটকেই ওয়াররুম বানিয়ে পড়ে থাকেন। ...

ফের হাসপাতাল চত্বরে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে রোগীর আত্মীয়দের সর্বস্ব লুট করা হল। ঘটনাস্থল সেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। শুক্রবার রাতে দুই রোগী পরিবারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM