Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আরামবাগ আসনটি ছিনিয়ে নিতে গেরুয়া শিবির কতটা মরিয়া। বিজেপি যখন আরামবাগকে ‘পাখির চোখ’ করেছে, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা যে থালায় খাচ্ছেন সেই থালা ফুটো করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তৃণমূলের কিছু ‘কালিদাস’ মার্কা নেতার জন্যই আরামবাগ দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি।
একটা সময় আরামবাগের নাম উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠত বোমা-গুলির লড়াইয়ের ভয়াবহ ছবি। বোমাবাজির শব্দে গ্রামের মানুষ দু’চোখের পাতা এক করতে পারত না। সকাল হতে না হতেই বোমার ব্যাগ, বন্দুক, লাঠি নিয়ে ছুটত ছেলে ছোকরার দল। উদ্দেশ্য, গ্রাম দখল। এইটা করতে পারলেই দেদার লুটপাট। গ্রামে ঢোকার মুখে থাকত চেকপোস্ট। বাঁশ দিয়ে আটকানো রাস্তা। বাঁশের এক প্রান্তে মাটির বস্তা, অন্য প্রান্তটা দড়ি দিয়ে বাঁধা। সেই দড়ির নিয়ন্ত্রণ থাকত গ্রামের ডাকাবুকোদের হাতে। অচেনা কেউ এলেই জেরা। উত্তর সন্তোষজনক হলে মিলত গ্রামে ঢোকার অনুমতি। এসব এখন গল্পকথা মনে হলেও, এটাই ছিল বাস্তব।
বাম আমলে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাটের বুকে একের পর এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে নৃশংসতায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিল যুধিষ্ঠির দোলুইয়ের খুন। সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আজও খানাকুলের মানুষ ভুলতে পারেনি। কী অপরাধ করেছিলেন যুধিষ্ঠির? গরিব হয়েও সিপিএমের বদলে করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি। তারই জন্য তাঁকে সবক শেখাতে মিছিল করে যুধিষ্ঠিরের বাড়ি ঘিরেছিল সিপিএম। বাঁচার জন্য ঘরে ঢুকে খিল এঁটে দিয়েছিলেন যুধিষ্ঠির। দরজা ভাঙতে না পেরে পেট্রল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল ওরা। ঘর যখন জ্বলছে, বাঁচার জন্য টালি খুলে বেরিয়ে এসেছিলেন যুধিষ্ঠির। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। মা ও স্ত্রীর চোখের সামনে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল সিপিএমের হার্মাদরা। 
অবসান ঘটেছে রাজনৈতিক খুনোখুনির। শান্তি ফিরেছে আরামবাগে। শুধু শান্তিই নয়, ফিরেছে গণতন্ত্রও। বাম আমলে এই আরামবাগে ভোটের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে দ্বিমত থাকত না। মনোনয়ন জমা দেওয়া মাত্রই নিশ্চিত হয়ে যেত সিপিএমের জয়। হিসেব-নিকেশ যা কিছু, সবটাই হতো ব্যবধান নিয়ে। আর সেটা লাখে। এক লক্ষ, দু’লক্ষ, তিন লক্ষ, এই করতে করতে ২০০৪ সালে তা পৌঁছে গিয়েছিল ৫লক্ষ ৯২ হাজার ৫০২তে। প্রায় ছ’লক্ষ! সিপিএমের সৌজন্যে অনিল বসুর এই রেকর্ড বাংলায় অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবে। যারা সেদিন অনিল বসুর জয়ের আনন্দে আরামবাগের রাস্তা আবিরে লাল করে দিয়েছিল, এখন তারাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের কথা বলে বড়গলা করে।
গণতন্ত্র ফিরেছে বলেই আরামবাগে কে জিতবে, তা নিয়ে এত চর্চা। গণতন্ত্র আছে বলেই পুরশুড়ার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের তোতন মহন্ত বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন, ‘আমি ভরপুর বিজেপি।’ তবে, লোকসভা নির্বাচনের পর কি মানুষ এভাবেই তাদের মতামত জানাতে পারবে? নাকি আরামবাগে ফিরবে বাম আমলের সেই আতঙ্ক? নির্বাচন এগিয়ে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। 
পুরশুড়ার চিলাডাঙি বাসস্ট্যান্ডে জগন্নাথ দাসের স্টেশনারি দোকান। জমজমাট এলাকা। চেষ্টা চলছে ভোটের হাওয়া কোনদিকে, তা বোঝার। এক একজন এক একটি দলের হয়ে কথা বলছেন। তারই মধ্যে গোবিন্দ জানা নামে একজন বলে উঠলেন, ‘কে আবাস যোজনার টাকা পেয়েছে, কে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছে, সেটা বড় কথা নয়। আসল কথাটা হল, শান্তি। এখন গ্রামের মানুষ শান্তিতে আছে। মারামারি, বোমাবাজি, চাষ বন্ধ, এই সব আর নেই।’ গোবিন্দবাবুর কথায় ঘাড় নাড়লেন সবাই। বললেন, এখানে আর অশান্তি নেই। যে যাকে ইচ্ছা ভোট দিতে পারে। গোবিন্দবাবু বলেন, ‘চাওয়া পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ থাকতেই পারে, কিন্তু মানুষ শান্তিতে আছে। এখানে শান্তিই শেষ কথা।’ 
শান্তি যে আরামবাগের ভোটে একটা ইস্যু, সেটা টের পাওয়া গেল খানাকুলে তৃণমূলের পথসভাতেও। ভাষণ দিচ্ছিলেন রাধাবল্লভপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সৌরভ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘বহু রক্তের বিনিময়ে খানাকুল, আরামবাগ, গোঘাটে শান্তি ফিরেছে। সিপিএম নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে। রাজ্যজুড়ে গণহত্যা চালিয়েছে। এখন তারাই জার্সি বদলে বিজেপি হয়েছে। আরামবাগে বিজেপি জিতলে ফের ফিরবে সেই অশান্তির দিন।’
বিজেপি জিতলে খানাকুল যে বাম আমলের অবস্থায় ফিরবে, তা টের পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মিতালি বাগ। বিজেপি শাসিত খানাকুল-২ ব্লকের মোস্তাফাপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে  ‘প্রাক্তন কমরেড’রা বুঝিয়ে দিয়েছে, জার্সি বদলালেও বদলায়নি তাদের স্বরূপ। শুধু পলাশপাই অঞ্চলেই নয়, খানাকুলের চিংড়া, ধান্যগোড়ি সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকাকে মুক্তাঞ্চল বানানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। উদ্দেশ্য, ভোটের দিন তৃণমূলের এজেন্ট বসতে না দেওয়া। একটা সময় সিপিএম যে কায়দায় ভোট করত, এবার সেভাবেই ভোট করাতে চাইছে বিজেপি।
আরামবাগকে রেলওয়ে মানচিত্রে যুক্ত করার কৃতিত্ব কার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আরামবাগের মতো মহকুমা শহরকে মেডিক্যাল কলেজ দিয়েছেন কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও আরামবাগ মহকুমার চারটি আসনেই হেরেছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে খানাকুল ও পুরশুড়ায় রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। এজন্য দায়ী ঠিকাদারিরাজ। পুরশুড়া এবং খানাকুলের কিছু ‘ঠিকাদার’ নেতা ফুলেফেঁপে ওঠায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, তৃণমূল কর্মীরাও ক্ষুব্ধ। তারই প্রভাব পড়েছে পঞ্চায়েত ভোটে। খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির এখন বিজেপির দখলে। 
এছাড়াও ইকবাল আহমেদ একটা ফ্যাক্টর। তিনি যতদিন ছিলেন, খানাকুল ও পুরশুড়া এলাকাকে তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন। প্রয়াণের পর তাঁরই হাতে তৈরি লোকজন এলাকায় ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন। সেই সব নেতার খবরদারির জন্যই প্রশস্ত হয় বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির রাস্তা। বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সংশোধনের রাস্তায় হাঁটা শুরু করেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে শাসক দলের প্রতি আস্থা ফিরছে। সঙ্গে জুড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুফল। কিন্তু সাইড লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া নেতারা এখন দলকেই ‘শিক্ষা’ দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। 
খানাকুলের এক প্রবীণ তৃণমূল নেতার কথায়, ‘দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এমন কয়েকজন ভাবছে, দল খারাপ ফল করলে নেতৃত্ব তাদের ফের গুরুত্ব দেবে। সেই অঙ্কে তারা কালিদাস হয়ে যে ডালে বসে আছে, সেই ডালটাই কাটতে চাইছে। কিন্তু তারা একবারও ভাবছে না, তৃণমূল হারলে তাদেরই পিঠের চামড়া আগে উঠবে। কারণ তৃণমূলকে ভাঙিয়ে সম্পত্তি করায় মানুষ তাদের উপরেই সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ। তাদের উপর ঝাল মেটানোর আশায় ১২ বছর ঘাপটি মেরে বসে থাকা কমরেডরা এখন জার্সি বদলে হয়েছে বিজেপি।’
আরামবাগ লোকসভা আসনের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা। বাকি ছ’টি হুগলি জেলার। গেরুয়া শিবিরকে আরামবাগ আসনটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখাচ্ছে খানাকুল ও পুরশুড়া। সেই কারণেই আরামবাগের পর ফের পুরশুড়াতে নির্বাচনী সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই দু’টি আসন থেকেই জয়ের মূলধন ঘরে তুলতে চাইছে বিজেপি। কারণ, আরামবাগ ও গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। চন্দ্রকোণা ও তারকেশ্বরে এখনও লিড নেওয়ার জায়গায় নেই গেরুয়া শিবির। আর বাকি রইল হরিপাল। এই হরিপালই বদলে দিতে পারে আরামবাগ লোকসভার ভাগ্য। তাই জেতার জন্য হরিপালকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল।
৪৮ ঘণ্টা পর পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচন। হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার সাতটি আসনের ভোট নেওয়া হবে। ঠাকুরবাড়ির প্রতি মতুয়া আবেগ অটুট আছে কি না, বনগাঁয় হবে তারই অ্যাসিড টেস্ট। দল বড় নাকি ব্যক্তি, বারাকপুরে তার পরীক্ষা। আর আরামবাগে? শান্তি থাকবে, নাকি ফিরবে সেই আতঙ্কের দিন, পরীক্ষা সামনেই। তবে, তৃণমূল আত্মঘাতী গোল না করলে মোদির আরামবাগ দখলের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
18th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
একনজরে
শনিবার নিজের দলের প্রার্থীকেই ভোট দিলেন না বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র মেজিয়ার দুলর্ভপুরের ভোটার। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। কিন্তু, এদিন সৌমিত্র সকাল থেকেই বিষ্ণুপুরে নিজের ফ্ল্যাটকেই ওয়াররুম বানিয়ে পড়ে থাকেন। ...

আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেই এগিয়ে রাখছেন ম্যাথু হেডেন ও কেভিন পিটারসেন। রবিবার চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চেয়ে কেকেআরের জেতার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ...

পুনের গাড়ি দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। এবারের ঘটনাস্থল নাগপুর। বেপরোয়া গতিতে থাকা গাড়িটির ধাক্কায় তিন মাসের শিশু সহ সাতজন জখম হয়েছেন। ...

মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM