পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
এই পর্বের ভোটে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র ছিল কাঁথি, যা অনেকের মতে, অধিকারী পরিবারের খাস তালুক। সেই কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল এবার ‘উত্তম’ চাল দিয়েছিল। পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক এলাকায় পিলু নামে পরিচিত। তাঁকে কাঁথিতে প্রার্থী করে তৃণমূল। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত ছিলেন ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি সারতে। নিজেই বললেন, ‘পাঁচটার সময় ঘুমাতে গিয়েছি। ঘন্টা দু’য়েক বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে।’ চৌরঙ্গী পার্টি অফিস থেকে উত্তম প্রথমেই যান নিজের গ্রামে। গোটসাউড়ি গ্রামে গিয়ে মায়ের থেকে আশীর্বাদ নেন। তাঁর মা সন্ধ্যারানিদেবী প্রদীপ জ্বালিয়ে ছেলেকে বরণ করেন। বাবার ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় গ্রামে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। মা ও ছেলের চোখে জল। সন্ধ্যারানিদেবী বলেন, ‘ওর অনেক শত্রু রয়েছে। ভগবান আমার ছেলেকে রক্ষা করো। ও জয়ী হোক।’ এরপর তৃণমূল প্রার্থী গোটসাউড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তারপর শুরু হয় বুথে বুথে ঘোরা। এসবের মধ্যে বেশিরভাগ সময়েই তাঁকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে ফোনে। মাঝেমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে ফোন করে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। খবর আসে, ভগবানপুর ও খেজুরিতে বিজেপি হুমকি দিচ্ছে ভোটারদের। এজেন্টদের বসতে বাধা দিচ্ছে। খেজুরির পথে ছুটে যায় তাঁর গাড়ি। খেজুরির কলাগাছিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পার্টি অফিসে প্রায় আধঘন্টা বসে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও হিসেবনিকেশ করেন। তাঁর পরের গন্তব্য ছিল জনকা। ইতিমধ্যে খবর আসে, ইটাবেড়িয়াতে বিজেপি ভোটারদের ভোটদানে বাধা দিচ্ছে। সেখানে ছুটে যান তিনি। ইটাবেড়িয়া তৃণমূল কার্যালয়ে বসে প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেন। তাঁর মূল প্রতিপক্ষ বিজেপির সৌমেন্দু অধিকারীকে যেখানে একাধিকবার মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে, সেই জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী আগাগোড়াই ছিলেন ‘কুল’। ছুটেছেন কম, কিন্তু নজর দিয়েছেন সব জায়গায়। সময় পেলেই মুখে গুঁজেছেন পান। দিনের শেষে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘যে রেগে যায়, সে হেরে যায়। ভোটের বাক্স খোলার পরই সব খেলা দেখতে পাবেন।’ নিজস্ব চিত্র