Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাজ্যের কোনও ইস্যু পেলে তো কথাই নেই। 
তিলকে তাল বানিয়ে ছাড়ছেন। সে সন্দেশখালিই হোক বা সাধু-সন্ত। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এক দশক দেশ শাসনের পরেও বলার মতো তিনি কিছুই করতে পারেননি। তাঁর ঝুলিতে নেই অটলবিহারী বাজপেয়ির সোনালি চর্তুভুজের মতো কোনও উজ্জ্বল প্রকল্প। আছে শুধু ভবিষ্যতের গ্যারান্টি, যা কোটি কোটি মানুষের মতে, সবটাই ধাপ্পা।
লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের বিষয় সাধারণত কী হয়? বিরোধী দলগুলি জানায়, তারা ক্ষমতায় এলে কী করবে। নির্বাচনের আগে দেওয়া অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি প্রায় কোনও দলই রাখে না। যেমন ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালাধন দেশে ফিরিয়ে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ও বছরে ২কোটি চাকরির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেননি। শুধু বিজেপি নয়, এই রকম অনেক প্রতিশ্রুতিই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেয়, কিন্তু রাখে না।
আর ক্ষমতাসীন দল দেশবাসীকে জানায়, গত পাঁচবছরে সরকার কী করেছে এবং আগামী দিনে কী করতে চায়। এক কথায় জনগণের কাছে শাসক দল সরকারের কাজের ‘রিপোর্ট কার্ড’ পেশ করে। সুতরাং মোদিজির কী উচিত ছিল? গত দশ বছরে তাঁর সরকার কী কাজ করেছে, তার হিসেব দাখিল করা। 
নরেন্দ্র মোদি বলতে পারতেন, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কত ছিল এবং পেট্রল ও ডিজেল কত টাকা লিটার দরে বিক্রি হতো। আর তাঁর আমলে অপরিশোধিত তেলের দাম কত এবং ডিজেল, পেট্রল কী দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলতে পারতেন, কংগ্রেস আমলে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার কত ছিল, আর এখন কত! নরেন্দ্র মোদি আর কী বলতে পারতেন? তিনি ক্ষমতায় বসার আগে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ভারতের ঋণ কত ছিল এবং এখন তা কত হয়েছে। কংগ্রেস আমলের তুলনায় এখন বেকার বেড়েছে নাকি কমেছে। বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন তিনি। তাঁর আমলে কত নতুন চাকরি পেয়েছে এবং তাতে কত বেকার কমেছে।
এই সমস্ত কথা তুলে ধরলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যেত। দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যেত, কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি সরকার ভালো নাকি খারাপ। এমনকী মানুষ এও বুঝতে পারত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই সেরার সেরা কি না! এমনকী অটলজির চেয়ে নরেন্দ্র মোদি কতটা সফল, সেটাও তাঁর ভক্তরা বুঝতে পারতেন। মোদিজি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এসব কিছুই বলছেন না। উল্টে দাবি করছেন, তিনি নাকি ঈশ্বরের বরপুত্র। আর নোটবন্দির প্রসঙ্গ ভুলেও মুখে আনছেন না। অথচ একটা সময় নোটবন্দিকেই মোদি সরকারের বিরাট সাফল্য বলে বিজেপি প্রচার করেছিল। 
নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহরা সে সবের ধারেকাছে না গিয়ে কেবল সন্দেশখালির কথা বলছেন। একটা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা ইস্যুকে জোর করে গেলাতে চাইছেন। এখন আবার পড়েছেন সাধু-সন্তদের নিয়ে। কামারপুকুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের একটা অংশকে উল্লেখ করে মেরুকরণের রাজনীতি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। 
অনেকে বলছেন, নরেন্দ্র মোদি অঙ্ক কষে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনের আগে কার্তিক মহারাজ বিজেপিকে ভোট দিন, এই কথাটিই শুধু বলেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির পক্ষে তিনি জোরদার সওয়াল করেছেন। তিনি ৩৭০ ধারা বিলোপ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কার্তিক মহারাজ নির্বাচনের আগে ঠিক কী বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, সমস্ত হিন্দুকে অনুরোধ করব, আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা সেই জায়গায় যাব, যিনি ভারতবর্ষের পরিচালক, যিনি ভারতবর্ষের সিংহপুরুষ, যিনি কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন, যিনি সিএএ প্রবর্তন করছেন আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াব। তাঁর হাতকে শক্ত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
এটা কি কোনও সাধুর ভাষা হতে পারে? সাধু-সন্তরা সকলের প্রণম্য। তাঁদের ধর্ম ও কর্ম একটাই, মানবসেবা। তাঁরা রাজনীতি, ক্ষমতা, সংসার থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন। সর্বত্যাগী বোঝাতে ধারণ করেন গেরুয়া বসন। তাঁরা সবাইকে আপন করে নেওয়ার দুর্লভ ক্ষমতার অধিকারী। তাই বয়সে বড়রাও তাঁদের নতমস্তকে প্রণাম জানান। তাঁদের কাছে জাতি ধর্ম, উচ্চ-নীচ, ধনী-দরিদ্র, কোনও ভেদাভেদ থাকে না। মা সারদা বলেছিলেন, ‘আমি সৎ-এরও মা, অসৎ-এরও মা। আমি সকলের মা।’ সেই কারণেই মা সারদা আজ ঘরে ঘরে পূজিত হন। 
কার্তিক মহারাজ হয়তো অনেকেরই শ্রদ্ধার পাত্র, ভরসার কেন্দ্রস্থলে বিরাজ করেন। কিন্তু তিনি কি এই সব ‘সাধু গুণে’র অধিকারী? নির্বাচনের আগে কালীমন্দিরে দাঁড়িয়ে দেওয়া কার্তিক মহারাজের বক্তব্য শুনলে যে কেউ তাকে রাজনৈতিক নেতার ভাষণ বলেই ভুল করবেন। 
এই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করতেই পারেন। যিনি সেটা করতে চান বুকে দলীয় প্রতীক লাগিয়ে করুন। কোনও ধর্মীয় সংগঠন বা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে নয়।’ আর তাতেই গায়ে ফোস্কা পড়েছে বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে চায়ের দোকানে, পাড়ার আড্ডায় চর্চা হতেই পারে। কিন্তু তা জায়গা করে নিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। ভাবা যায়?
কার্তিক মহারাজের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেননি অধিকাংশ সাধু-সন্ত। এমনকী তিনি যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সেই ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘও নয়। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের পাশে থাকেন। নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আর রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ সাধু-সন্তদের অবস্থান ও ভূমিকা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে। বলেছে, বেলুড় মঠ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এখানকার সন্ন্যাসীরা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন না। এমনকী ভোটও দেন না। ভক্তরা কাকে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে হস্তক্ষেপও করেন না। 
বঙ্গ রাজনীতিতে কট্টর মমতা বিরোধী বলে পরিচিত অধীর চৌধুরীও এই ইস্যুতে কার্তিক মহারাজেরই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কার্তিক মহারাজের হয়ে ব্যাট ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কট্টর মুসলিমদের চাপে সাধুসন্তদের উপর আক্রমণ করছেন। মুসলিম ভোট এককাট্টা করাই তাঁর উদ্দেশ্য। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু বিরোধী প্রমাণের চেষ্টা নতুন কিছু নয়। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে মুসলিম তোষণকারী তকমা সেঁটে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে যে লাভ হয়নি, সেটা ভোটের ফলেই প্রমাণ হয়েছে। শুধু সংখ্যালঘু ভোটের উপর নির্ভর করে যে বাংলায় ২১৩টি আসন জেতা সম্ভব নয়, সেটা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। 
এবারও বিজেপি পরিকল্পনা করে বাংলায় ভোট মেরুকরণের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি তবুও মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু এবার ৪২টি আসনের একটিতেও মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। উদ্দেশ্য, বিজেপি হিন্দুদের দল, এই বার্তা দেওয়া। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাধুর দিকে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেই তাকে ইস্যু করছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচন হোক বা বিধানসভা নরেন্দ্র মোদিই বিজেপির মুখ। প্রচারের দৌলতে বিজেপি আর মোদি সমার্থক হয়ে গিয়েছে। তাঁর আগে বা পরে কেউ নেই। মোদি ব্র্যা঩ন্ডিংয়ের জন্য বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের দফা যত এগচ্ছে, ততই যেন টলে যাচ্ছে আত্মবিশ্বাসের ভিত। তাই বাংলায় এসে শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুঁত খুঁজে বেড়াচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদি বুঝে গিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় বিজেপির ভরসা সেই নেগেটিভ ভোট। তাই তিনি যতই ঠকঠকান না কেন, ঘি বেরবে না। কারণ ভাঁড়ার শূন্য।
25th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। বিশদ

23rd  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

22nd  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
একনজরে
পুনের গাড়ি দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। এবারের ঘটনাস্থল নাগপুর। বেপরোয়া গতিতে থাকা গাড়িটির ধাক্কায় তিন মাসের শিশু সহ সাতজন জখম হয়েছেন। ...

মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...

শনিবার নিজের দলের প্রার্থীকেই ভোট দিলেন না বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র মেজিয়ার দুলর্ভপুরের ভোটার। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। কিন্তু, এদিন সৌমিত্র সকাল থেকেই বিষ্ণুপুরে নিজের ফ্ল্যাটকেই ওয়াররুম বানিয়ে পড়ে থাকেন। ...

ফের হাসপাতাল চত্বরে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে রোগীর আত্মীয়দের সর্বস্ব লুট করা হল। ঘটনাস্থল সেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। শুক্রবার রাতে দুই রোগী পরিবারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM