পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
এদিন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল ও বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ দু’জনেই বিষ্ণুপুরের ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পৃথক সময়ে পুজো দেন। পরে সুজাতা বিভিন্ন বিধানসভা ক্ষেত্র এলাকায় বুথ পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে সৌমিত্র পুজো দেওয়ার পর দু’একটি বুথ এলাকায় গেলেও দিনভর ফোনে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ভোটের গতিপ্রকৃতি জানার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে বামফ্রন্টের প্রার্থী শীতল কৈবর্ত এদিন তাঁর নিজের এলাকা কোতুলপুরের বেশ কিছু বুথ পরিদর্শন করেন। ফোনে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। তবে দু’একটি জায়গায় এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়া ছাড়া কোনও দলই অশান্তির অভিযোগ তোলেনি।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, বিষ্ণুপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কয়েকটি বুথে সকালে ইভিএম বিকল হয়েছিল। তা বদলে দেওয়া হয়েছে। কোতুলপুরে একজন ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর জায়গায় তৎক্ষণাৎ কর্মী দেওয়া হয়।
সুজাতা বলেন, বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকার মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে আপ্লুত। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে আমাকে বেছে নিয়ে জোড়াফুলে ভোট দিয়েছেন।
সৌমিত্র বলেন, বিষ্ণুপুরের সচেতন মানুষ মজবুত দেশ গড়তে মোদিজির উপর ভরসা রেখেছেন। শীতল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় দলের প্রতি যে সাধারণ মানুষ বিরক্ত, তা এদিনের ভোটে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে।
এদিন বিষ্ণুপুরের দ্বারিকায় ৫৭ নম্বর বুথে তৃণমূল ও সিপিএমের পোলিং এজেন্ট বসলেও বিজেপি কোনও এজেন্ট দিতে পারেনি। সোনামুখীর জঙ্গলমহল বলে পরিচিত কল্যাণপুর ১ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথরা জুনিয়ার বেসিক স্কুল, ভুলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোচডিহি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় প্রভৃতি এলাকায় চষে বেড়াচ্ছিলেন এলাকার জেলা পরিষদের সদস্যা মমতা মণি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোচডিহি এবং মানিকবাজার গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার মানুষ ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও আমরা ওই এলাকায় উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের নিরিখে মানুষ এবারের ভোট দিয়েছেন। যদিও সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, সোনামুখীর মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এদিন ভোট দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ এদিন বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চোরা স্রোতের জোর কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না। এদিন তার তেজ টের পাওয়া গিয়েছে। তাই বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকায় মিরাকেল হলে আশ্চর্য হবো না। সোনামুখীর বুথে ভোটের লাইন।